Tag Archives: old woman

Alipurduar News: বৃদ্ধাকে শূন্যে তুলে আছাড় হাতির! পালাতে গিয়েও পারলেন না…

আলিপুরদুয়ার: বুনো হাতির হানায় মারাত্মক ভাবে জখম হলেন ফুলকুমারী ওরাঁও নামের এক মহিলা। ভোর রাতে বীরপাড়া দলমোড় চা বাগান এলাকায় বুনো হাতি হানা দেয়। দলমোড় চা বাগানের এই এলাকা অর্থাৎ বড় লাইন এলাকাতে প্রায়শই হাতির তাণ্ডব দেখা যায়।

জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে এসেও লুটপাট চালায় বুনো হাতিরা। সেই রকমই এক দলছুট বুনো হাতির হানায় এলাকার বাসিন্দা ফুলকুমারী জখম হন।

আহত ফুলকুমারীকে প্রথমে বীরপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে আলিপুরদুয়ার নিয়ে যাওয়া হয়। হাতি দেখে ফুলকুমারী পালাতে গিয়েই শেষমেশ হাতির মুখে পড়ে যান। হাতি তাঁকে আছাড় দেয় শুঁড়ে করে শূন্যে তুলে! কোমর এবং হাতে আঘাত পেয়েছেন ফুলকুমারী।

বর্তমানে তাঁকে কোচবিহারে র হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঘটনায় শোরগোল এবং আতঙ্ক এলাকায়।

আরও পড়ুন- অস্ত্রোপচার, থমকে আউডোর! আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভে চিকিৎসকরা

অনন্যা দে  

Helpless Old Woman: ছেলেরা খোঁজ রাখে না, অবহেলা ও দারিদ্রে প্রতিবেশীদের ভরসায় দিন কাটে অসহায় স্বামীহীনা বৃদ্ধার

অনন্যা দে, আলিপুরদুয়ার: বয়সের ভারে চলা ফেরার ক্ষমতা প্রায় হারিয়েছেন তিনি।বেশ কয়েক বছর গত হয়েছেন স্বামী। মাথা গোঁজার জন্য রয়েছে ভাঙাচোরা একটি টিনের ঘর। ফালাকাটার বৃদ্ধা ছবি দত্তের জীবন সংগ্রাম চোখে জল আনবে আপনার।

খাবার তৈরি করতে পারেন না,বাইরে বের হতেও কষ্ট হয়। বাড়িতে পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা কলেজপাড়ার ছবি দত্তের জীবন চলছে দারিদ্রের সঙ্গে যুদ্ধ করেই। তিন ছেলে রয়েছে কিন্তু তাঁরা আলাদা থাকেন। মায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন না তাঁরা। প্রতিবেশীরা কোনও দিন খাবার দিলে খেতে পান। নয়তো না খেয়েই দিন কাটে। অস্পষ্ট কথায় বুঝিয়ে দিলেন ছবি দত্ত, বললেন “আমি ভাল নেই।”

আরও পড়ুন : ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দিয়ে বিপন্ন জীবন, বীরাঙ্গনা হয়েও ব্রাত্য সাবিত্রীবালা

তবে তার দুরবস্থা জানতে পেরে এগিয়ে এসেছেন ফালাকাটার একদল যুবক।এই যুবকদের মধ্যে এক যুবক শুভব্রত দে জানান, “আমি অসহায় এই বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়েছি।বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলেছি।পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী দিয়ে এসেছি।” এই অসহায় বৃদ্ধা যেন প্রতিনিয়ত খাবার পান সে ব্যবস্থাও করবেন যুবকরা।পাশাপাশি প্রতিবেশীদের এই যুবকরা জানিয়েছেন বৃদ্ধাকে একটু দেখভাল করে রাখার জন্য।

Alipurduar News: ঘরের জরাজীর্ণ পরিস্থিতি! পথ কুকুরদের সঙ্গেই দিন কাটাচ্ছেন এই মহিলা

আলিপুরদুয়ার: মাটির মেঝে। ত্রিপল দিয়ে ঘেরা ঘর। এই ঘরেই বোন ও ভাইকে নিয়ে গত প্রায় ১৫ বছর ধরে থাকছেন কালচিনি ব্লকের হ্যামিল্টনগঞ্জের উত্তর ফরোয়ার্ড নগরের বাসিন্দা তাপসী দত্ত।

শুধু বোন ও ভাই নয়, প্রায় দশটি পথ কুকুরের আস্তানাও তাপসী দত্তের এই জরাজীর্ণ ঘর। একে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। রেশনে পাওয়া চালটুকুও কুকুরগুলো খেয়ে নেয় বলে অভিযোগ।

মাঝে মধ্যে এলাকাবাসীদের দেওয়া খাবারেই দিন চলছে তাপসী ও তার পরিবারের। এ ছাড়া ঘরের এরূপ বেহাল অবস্থা যে ঘুমোনোরও উপায় নেই। তাপসীর কথায়, “ঘরের মেঝেরও বেহাল অবস্থা। ঘরে দরজা না থাকায় পথকুকুরও ঘরেই থাকে। কোনও মতে দুই বোন রাত কাটিয়ে দিই। আর ভাই অন্যত্র যায় ঘুমাতে।”

আরও পড়ুন- তরকারিতে ঘন ঘন চুল পাচ্ছেন? কিসের ইঙ্গিত জানেন? দেরি নয়, আজই ব্যবস্থা নিন!

তাপসী আরও জানান, তাঁরা তিনজনই অসুস্থ। এই অবস্থায় সরকারি লক্ষীভান্ডারের যে ভাতাটুকুও পান সেটাও ওষুধ কিনতে চলে যায়। কোনও মাসে সেটাও হয় না। তাঁর ভাই দিনমজুরির কাজ করে বেশিরভাগ দিনই কাজ পান না। আর দুই বোন ভিক্ষা করে কোনও মতে অন্ন জোগাড় করেন। এই পরিবারটিকে যাতে অনাহারে মরতে না হয় সেই আর্জি প্রশাসনের কাছে জানিয়েছেন এলাকাবাসীরাও।

অনন্যা দে 

Bangla Video: চামড়ায় পড়েছে ভাঁজ, তবু ৮০ বছরেও খালি চোখেই জাল বুনে চলেছেন সনেকা সরকার

দক্ষিণ দিনাজপুর: বয়সের ভারকে দূরে সরিয়ে সরু সুতো দিয়ে অনায়াসে জাল তৈরিতে ব্যস্ত বৃদ্ধা সনেকা সরকার। বেঁচে থাকার অদম্য জেদকে সঙ্গী করেই ৮০ বছর বয়সেও খালি চোখে ফাদি জাল তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন এই বৃদ্ধা। বয়সটা ৮০ বছর হলেও চশমার দরকার পড়ে না।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরাম এলাকায় বাড়ি বৃদ্ধা সনেকা সরকারের। তিনি শৈশব থেকেই লড়াই করে চলেছেন। বর্তমানে এই ফাদি জাল বুনেই তাঁর সংসার চলে। এক একটি জাল বুনতে সময় লাগে ৪-৫ দিন। তাই সকাল থেকেই জাল বুনতে চরম ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায়। এই জাল বুনে কেজি প্রতি ৬০ টাকা করে পান।

আর‌ও পড়ুন: সুবর্ণ সুযোগ! উত্তর দিনাজপুরে এবার স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মী নিয়োগ

এই বিষয়ে সনেকা সরকার জানান, জ্ঞান বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই কাজের সঙ্গে যুক্ত। পরবর্তী সময়ে সংসারে চাপে এই কাজ তেমনভাবে করা হয়ে ওঠেনি। বর্তমানে বেশ কয়েক বছর যাবত সংসারের অভাব অনটনের জেরে এই জাল বুনানোর কাজ আবার শুরু করতে হয়েছে। কিন্তু বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখন তেমনভাবে কাজ করতে পারি না। তবু পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে করতে হচ্ছে।

যেদিন প্রথম হাতে জাল তুলে নিয়েছিলেন, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত কেটে গিয়েছে কয়েক বছর। কিন্তু সেই হাত আর চোখের কোনও আরাম নেই। নিজের খরচ চালানোর একমাত্র ভরসার জায়গা তো ওই সূক্ষ সুতোয় বোনা ফাদি জাল।

সুস্মিতা গোস্বামী

Old Woman Rescued by Boatman: নাতনির মৃত্যু শোক সহ্য করতে না পেরে গঙ্গায় ঝাঁপ ঠাকুমার!

হুগলি: নাতনির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ধাক্কা সামলাতে না পেরে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা বৃদ্ধার। যদিও ত্রিবেণী ঘাটের নৌকার মাঝিরা সাঁতরে গিয়ে আরতী ঘোষ (৭৮) নামে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন। ফলে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি।

দু’বছর আগে ছেলে ও মাস কয়েক আগে নাতনির মৃত্যুতে নিজেকে অপয়া ভেবে বসেছিলেন বৃদ্ধা আরতী ঘোষ। সেই থেকেই গভীর মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। আত্মহত্যা করার জন্যই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ত্রিবেনী ঘাটের কাছে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। সঙ্গে সঙ্গে জলের স্রোতে ভেসে যেতে থাকেন। বিষয়টি নজরে আসে নৌকার মাঝিদের। তাঁরাই ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন।

আর‌ও পড়ুন: রাতে পার্কিং করে রাখা গাড়ি ঘুম থেকে উঠে দেখলেন পুকুরে ভাসছে! এ কী কাণ্ড

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃদ্ধার বড় ছেলে শৈলেন ঘোষের মেয়ে ডালিয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় মাস দুয়েক আগে। পোলবার আমনান গ্রামে মারা যান তিনি। মা মরা মেয়ে ঠাকুমা আরতিদেবীর কাছেই মানুষ হয়েছিলেন। নাতনিকে নিজের মেয়ের মত করে মানুষ করেন বৃদ্ধা। বড় ছেলের বছর দুয়েক আগে মৃত্যু হলে বৃদ্ধার একমাত্র অবলম্বন ছিলেন এই নাতনি। সেই নাতনি চলে যাওয়ায় আরতি ঘোষ অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তবুও নিজের কাজ নিজেই করতেন।

এদিন ব্যাঙ্কে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হন। ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় বৃদ্ধা তাঁর বাপের বাড়ি বেহুলায় চলে যান। সেখান থেকে টোটোতে করে ত্রিবেণী ঘাটে স্নান করবেন বলে আসেন। টোটো চালককে বৃদ্ধা বলেন ফিরে যেতে, তিনি পরে বাড়ি ফিরবেন। ঘাটে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পর হঠাৎ নদীতে ঝাঁপ দেন বৃ্দ্ধা। কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়াররা দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ওঠেন। ঘাটে থাকা নৌকার মাঝিরা ভেসে যেতে থাকা ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন। পরে বলাগড় থানার ওসি রাজকিরণ মুখোপাধ্যায় বৃদ্ধার বাড়িতে খবর দেন। নাতি সুমন ঘোষ ত্রিবেণী ঘাটে এসে ঠাকুমাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে যান।

রাহী হালদার

GRP Recovered Cash Bag: বৃদ্ধার সারা জীবনের সঞ্চয় ফিরিয়ে দিল জিআরপি

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বৃদ্ধার সারাজীবনের সঞ্চয় ফিরিয়ে দিল সোনারপুর জিআরপি। মথুরাপুরের বাসিন্দা গীতা হালদার (৭৪)। গোটা জীবনটা সল্টলেকের এক ব্যক্তির কাছে কাজ করে কাটিয়েছেন। ৪০ বছরের‌ও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন লোকের বাড়িতে ঠিকে কাজ করে গিয়েছেন। সেখান থেকে পাওয়া বেতন একটু একটু করে সঞ্চয় করেন। এইভাবেই লক্ষাধিক টাকা জমিয়ে ফেলেন ওই বৃদ্ধা। কিন্তু হঠাৎই ঘটে বিপত্তি।

সঞ্চয়ের টাকা নিজের কাছে রাখতে চাননি বৃদ্ধা গীতা হালদার। শেষ জীবনে এসে তা সন্তানদের মধ্যে ভাগ করে দেবেন বলে মনস্থির করেছিলেন। আর সেই কারণেই সল্টলেকের যে বাড়িতে থেকে কাজ করেন সেখান থেকে মথুরাপুরে নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল সারা জীবনের সঞ্চয়ের সব টাকা। কিন্তু মেয়ে না আসায় টাকা ভাগনা করে সবটা সঙ্গে নিয়ে মথুরাপুরের বাড়ি থেকে আবার সল্টলেকে ফিরছিলেন। যথারীতি লোকাল ট্রেনে চেপে বসেছিলেন। আর তারপরই ঘটে বিপত্তি।

আর‌ও পড়ুন: বৃষ্টির জলে ফুঁসছে তোর্ষা, আতঙ্কে কোচবিহারবাসী

সোনারপুর স্টেশনে টাকা ভর্তি তাঁর ব্যাগ খোয়া যায়। রীতিমত হতাশায় মুষড়ে পড়েন বৃদ্ধা গীতা হালদার। বিষয়টি জানতে পারে স্টেশনে নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত জিআরপি। তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করে। আর তাতেই মেলে সাফল্য। সোনারপুর স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে বৃদ্ধার হারানো টাকা ভর্তি ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ১ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা ও ২ টি সোনার বালা। উদ্ধার হওয়া টাকা ও গয়না বৃদ্ধার হাতে ফিরিয়ে দেয় জিআরপি। সারাজীবনের জমানো সঞ্চয় ফিরে পেয়ে চোখে জল চলে আসে গীতা হালদারের।

সুমন সাহা

৯৫ বছরেও কঠিন লড়াই, দুর্বল শরীরেই ফুচকা বিক্রি করেন এই বৃদ্ধা

কাত্তরের বাংলাদেশের সন্ত্রাসে স্বামীকে গুলি করে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। তারপর প্রাণ বাঁচাতে এপার বাংলায় এসে আশ্রয়। কালে কালে পার হয়েছে বহু যুগ। এখন তার বয়স প্রায় ৯৫ বলেই দাবি করেন মধ্যমগ্রামের পুষ্প মন্ডল। এপার বাংলায় আসলেও এখনও নেই কোন পাকাপাকি আশ্রয়। স্থানীয় যুবকদের সহায়তায় রেল পাড়ের অস্থায়ী মাথা গোজার ছাউনিতেই কাটে জীবন। এই বয়সেও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করেন বৃদ্ধা পুষ্পরানি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন রীতিমতো ভাইরাল ৯৫ বছরের এই বৃদ্ধা।