সবজি তুলছেন মিড ডে মিলের কর্মীরা

Nadia News: শিক্ষকদের উদ্যোগে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনেই হচ্ছে মিড ডে মিলের সব্জির চাষ

মাজদিয়া: মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে অনেক সময় ছাত্র-ছাত্রীদের শরীর খারাপ হতে দেখা গিয়েছে। কখনও মিড ডে মিলে দেওয়া খাবারের গুণগত মান নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন কিংবা কখনো তাতে পাওয়া গিয়েছে নানা রকম পোকামাকড়। এই ধরনের খবর বেশিরভাগ সময়ই উঠে আসে শিরোনামে। তবে ব্যতিক্রম কার্যকলাপ ও দেখা যায় বেশ কিছু জায়গায়। তার মধ্যে অন্যতম মাজদিয়া রেলবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেখানে প্রধান শিক্ষক সুকুমার হালদারের উদ্যোগে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে মিড ডে মিলের সবজি চাষ করে সেই সবজি পরিবেশন করা হয়, পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের খাবারে।

আরও পড়ুন: ব্যবসার প্রয়োজনে স্বামীর পরিবার টাকা দাবি করলে তা যৌতুক নয়: এলাহাবাদ হাই কোর্ট

বাজারে বিভিন্ন রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দেওয়া হয় শাকসব্জিতে। এই ধরনের শাকসব্জি খেয়ে বিশেষ করে শিশুদের নানা রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে বলে জানান চিকিৎসকেরা। আর সেই কারণেই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ধরনের শাকসব্জি লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তবে শুধু গাছ লাগানোই নয়, সেগুলি নিয়মিত পরিচর্যা করে বড় করে তোলা সমস্ত কিছুই দেখভাল করেন তিনি। এরপর সেই গাছের সব্জি দিয়েই রান্না করা হয় মিড ডে মিল। এতে যেমন শিশুরা ভেজাল বিহীন উন্নত শাকসবজি খেতে পারছে ঠিক তেমনি অন্যদিকে বর্তমানে অগ্নিমূল্য বাজারের থেকে কিছুটা হলেও পয়সা সাশ্রয় হচ্ছে বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

আরও পড়ুন: বাংলাকে টুকরো টুকরো করার পরিকল্পনা! দিল্লি যাওয়ার পথে বিস্ফোরক মমতা

শিক্ষকের এই উদ্যোগের ফলে খুশি পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকেরাও। তারা জানান, এই ধরনের উদ্যোগ প্রত্যেকটি বিদ্যালয়েরই নেওয়া উচিত। প্রায় সমস্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়াতেই উঠোন কিংবা প্রাঙ্গণের বেশ কিছুটা জায়গা থাকে। সেই জায়গাগুলিতে যদি এভাবে মিড ডে মিলের শাকসব্জি উৎপাদন করা হয় তাতে যেমন আর্থিক সাশ্রয় হবে ঠিক তেমনি বাজারের ভেজাল জাত সবজি থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে তাদের ছেলে মেয়েরা, এমনটাই মত অধিকাংশ অভিভাবকদের।