Tag Archives: Primary School

Mango Festival: আম চিনতে পড়ুয়াদের জন্য আমের মেলা! উপভোগ করল কচিকাঁচারা

উত্তর দিনাজপুর: আম খেতে তো ছোট বড় সকলেই ভালবাসে। কিন্তু কোন আমের কি নাম? আমাদের রাজ্যের কোন আমগুলো জিআই ট্যাগ যুক্ত? অথবা আমকে ফলের রাজা কোন কবি আখ্যা দিয়েছেন? এই প্রশ্নের উত্তরগুলো জানা আছে আপনার?

অনেকেই হয়ত এই প্রশ্নের উত্তরগুলো জানেন না। তবে এবার আম নিয়ে বাচ্চাদের বিভিন্ন বিষয়ে ছোট ছোট তথ্য দিতে কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুরে অবস্থিত বড়াল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হল আম উৎসব। সরকারি বিদ্যালয়ে বিভিন্ন আম ও আমের গুনাগুন সম্পর্কে বাচ্চাদের অবগত করাতে অভিনব উপায় বসেছিল আমের আসর। যেখানে আম্রপালি, লক্ষণভোগ, হিমসাগর, দৌসরি, ল্যাংড়া সহ বিভিন্ন ধরনের আম নিয়ে এসে ছাত্র-ছাত্রীদের সেই আমগুলো চেনানো হয় এবং আম নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতাও রাখা হয়। 

আরও পড়ুন: গোটা দেশ ব্যর্থ, মধ্যপ্রদেশ থেকে হাতি তাড়িয়ে ছত্তিশগড়ে পৌঁছে দিল বাংলার ছেলেরা

এদিন স্কুলের একটি ক্লাসরুমকে আমের বিভিন্ন ধরনের ছবি দিয়ে সাজানো হয়। এই আম উৎসবে অংশগ্রহণ করেছিল স্কুলের প্রায় দেড়শো থেকে দুশোজন বাচ্চা। বড়াল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ সন্দীপ ভট্টাচার্য জানান, বিদেশে সাধারণত এই আম উৎসব পালন হয়। তা অনুসরন করে একটা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শুধু বাচ্চারাই নয়, অনেকেই আছেন যারা আমের নাম জানেন না। তাই আম নিয়ে এদিন এই উৎসবে বিভিন্ন ধরনের আমের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। আগামী দিনে যদি কেউ এই সমস্ত কিছু নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় বা হর্টিকালচার লাইনে যেতে চায় তাহলে তারা কিভাবে পড়াশোনা করবে সে বিষয়গুলো ছাত্র-ছাত্রীদের জানানো হয়। 

পিয়া গুপ্তা

Closed Primary School: বন্ধ সরকারি স্কুল ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘দখলে’! দিব্যি চলছে সংসার

উত্তর ২৪ পরগনা: বন্ধ প্রাথমিক স্কুলেই রান্না করা থেকে থাকা-খাওয়া, রীতিমতো সংসার পেতেছেন ভিন রাজ্য থেকে আসা ঠিকা শ্রমিকরা। এক সময় যে স্কুল পড়ুয়াদের কোলাহলে মেতে থাকত বর্তমানে সেটাই শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। আর সেই সুযোগে গোটা স্কুলটি কার্যত ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের বাসস্থানে পরিণত হয়েছে।

অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বন্ধ নিত্যানন্দ জিএফপি স্কুল কার্যত ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের দখলে চলে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় প্রাথমিক স্কুলটি। সেই বন্ধ স্কুলেই দিব্যি ঘর-সংসার পেতে বসবাস করছে ঝারখণ্ড সহ এ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রায় ২০ জনের মত নির্মাণ কর্মী ও রাস্তা তৈরির শ্রমিকরা। রাতে স্কুলের মধ্যে রীতিমত মশারি খাটিয়ে ঘুমোতে দেখা যায় তাঁদের।

আরও পড়ুন: মালদহের দৃষ্টিহীনরা এবার জেলাতেই ফিরে পাবেন দৃষ্টি শক্তি

স্কুলের ভেতর থাকা নিয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে আসা নির্মাণ শ্রমিক মুন্না নিজে অকপটে স্বীকার করেছেন, তাঁদের রাজ্যের কোন‌ও স্কুলে এমন দৃশ্য দেখতে পাওয়া যাবে না। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন ঠিকাদার নিজে তাঁদের এখানে থাকার বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন। একই কথা শোনা গেল স্কুলে বসবাসকারী রান্নায় ব্যস্ত থাকা এক গৃহবধুর গলায়। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই স্থানীয়রা সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। সকলেই চাইছেন দ্রুত এই স্কুলটি ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের দখলমুক্ত করা হোক।

স্থানীয় বাসিন্দারা এই বন্ধ প্রাথমিক স্কুলকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। একান্তই সেটা সম্ভব না হলে এখানে পুরসভার তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ার দাবি তোলা হয়েছে।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Birthday Gift: ভাগ্নের জন্মদিনে স্কুলকে বিরাট উপহার মামার! জানলে এই গরমেও আপনি ঠান্ডা হয়ে যাবেন

মুর্শিদাবাদ: তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে এবার অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করল এক স্কুল পড়ুয়ার পরিবার। ভাগ্নের জন্মদিনে গরমের হাত থেকে বাঁচতে ছোট ছোট শিশুদের জন্য স্কুলকে ১১টি ফ্যান উপহার দিলেন মামা। বেলডাঙার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা।

জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা চক্রের ৩০ নম্বর আণ্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খুব প্রয়োজন ছিল ১১ টা ফ্যানের। বিদ্যালয়ের ডিজিটাল ক্লাসরুমে আটটা ও রিডিং রুমে তিনটে ফ্যান উপার্থে লাগানো হয়েছে। এই জায়গাগুলোয় ফ্যান না থাকার কারণে গরমে খুব কষ্ট পেতে হচ্ছিল সকলকে। সম্প্রতি স্কুলের পড়ুয়া দেবপ্রিয় দত্ত’র জন্মদিন ছিল। সেই উপলক্ষে ওই পড়ুয়ার পরিবার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। স্কুলের পক্ষ থেকে ফ্যানের প্রস্তাব করতেই এক কথায় রাজি হয়ে ২০ হাজার টাকা দিয়ে স্কুলের জন্য ১১ টি ফ্যান কিনে দেন ওই পড়ুয়ার মামা সুরজিৎবাবু।

আরও পড়ুন: ছবির মত সুন্দর পাহাড়ি গ্রামটা হারিয়ে যাবে!

ছাত্রের জন্মদিনে এমন দুর্দান্ত একটি উপহার পেয়ে খুশি স্কুল কর্তৃপক্ষ‌ও। গতবছর বিদ্যালয়ের ২২ জন শিশুর জন্মমাসের সঙ্গে দেবপ্রিয়র জন্মদিন পালন করা হয়। স্কুলে খাওয়া দাওয়া ও কেক কেটেই হয় এই জন্মদিন উদযাপন। গোটা ঘটনায় খুশি সকলে।

কৌশিক অধিকারী

School Library: অজ গ্রামের স্কুলে এলে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকবেন

পশ্চিম মেদিনীপুর: গ্রামীণ এলাকায় ছোট্ট একটি একচালা প্রাথমিক বিদ্যালয়। হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি শ্রেণিকক্ষ। বাইরে থেকে তেমন বোঝা না গেলেও বিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে এক আলাদা অনুভূতি দেবে আপনাকে। বিদ্যালয়ের একটি কোণে একটি ছোট্ট আলমারি। লাইব্রেরি হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে একটি দিক। যেখানে রয়েছে নানান গল্পের বই এবং খেলার সামগ্রী। ছাত্রদের মধ্যে বই পড়ার মানসিকতা গড়ে তুলতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই লাইব্রেরি গড়ে তুলেছেন। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয়ের প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ তৈরি করতে একচালা এই বিদ্যালয়কে সাজানো হয়েছে নতুনভাবে। দেওয়াল জুড়ে শিক্ষাদানের নানা বিষয়বস্তুকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গ্রামের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলছুট রুখতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন অভিনব ভাবনা আপনাকে মুগ্ধ করবেই।

স্কুলের পাঠ্য বইয়ে থাকা বিষয়গুলো কি কেবলই মুখস্তের জন্য? নম্বর তোলার ইঁদুর দৌড়ে কিছু বুঝে বা না বুঝে মুখ বুজে পড়ে যাওয়া বর্তমানে একটি ক্ষতিকারক সমাজিক ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সেই চাপ এসে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার প্রতি ভীতি কাটাতে এবং সকল ছেলেমেয়েদের কাছে একটি আনন্দের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে বিদ্যালয়কে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সাজানো হয়েছে নতুনভাবে। দেওয়ালে নানান ছবি, সঙ্গে বর্ণপরিচয়কে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পড়ুয়াদের কাছে। রয়েছে ইংরেজি বর্ণমালা থেকে মাস কিংবা বিভিন্ন দিনের নাম।

আর‌ও পড়ুন: হিউয়েন সাং, মেগাস্থিনিস’র মত পরিব্রাজক হতে চান তারকেশ্বরের যুবক, সাইকেলে পাড়ি বাংলাদেশ

বিভিন্ন গল্প অবলম্বনে আঁকা হয়েছে নানান ছবিও। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের প্রান্তিক এক এলাকা রাধামোহনপুরে এমনই বিদ্যালয় নজর কেড়েছে জেলার মানুষের। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অন্যরকমভাবে শিক্ষাদানের জন্য অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ডেবরা ব্লকের রাধামোহনপুর হাটপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। একচালা স্কুল হলেও শিক্ষকদের উদ্যোগে এক লহমায় বদলে গিয়েছে গোটা স্কুলের পরিবেশ। মজার ছলে শিশুরা শিখতে পারছে তাদের প্রাথমিক পাঠ।

যখন প্রান্তিক এলাকায় সরকারি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করার প্রবণতা কমছে, তখনই এই স্কুলে এলে আপনিও মুহূর্তেই বদলে যাবেন। শিক্ষার যাঁতাকলে বাচ্চাদের ফেলে রাখা নয়, তাদের মধ্যে আনন্দের সঙ্গে পড়াশোনা এবং খেলাধুলোর মানসিকতা গড়ে তুলতে এমন উদ্যোগ সকলের প্রশংসা পেয়েছে। গতানুগতিক সরকারি স্কুলের সেই ছবির বাইরে শিক্ষকদের সদিচ্ছা এবং গ্রামের মানুষের সহায়তায় এমন যে স্কুলের রূপ দেওয়া সম্ভব তা প্রমাণ করেছে জেলার প্রত্যন্ত এলাকার এই প্রাথমিক স্কুল।

রঞ্জন চন্দ

Bangla Video: অস্থায়ী শিক্ষকের কাণ্ড! ফেলে দেওয়া জিনিসে সাজছে স্কুল

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: স্কুলে এসেছেন অস্থায়ী অঙ্কন শিক্ষক। তাঁর উদ্যোগেই নামখানার কালিনগর নিম্ন বুনিয়াদি স্কুল সেজে উঠেছে ফেলা দেওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে। এই কাজে সহযোগিতা করছে ক্ষুদে ছাত্র-ছাত্রীরা।

নামখানা ব্লকের কালিনগর নিম্ন বুনিয়াদি স্কুলে শুরু হয়েছিল ফেলে দেওয়া বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় পদার্থ দিয়ে হাতের কাজ তৈরি করার প্রশিক্ষণ। সেই কাজ করতেন স্কুলের অস্থায়ী অঙ্কন শিক্ষক সায়ন মিদ্দা। তিনি এই স্কুলে পাঁচ বছর পড়ুয়াদের ছবি আঁকার প্রশিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনিই প্রথম ফেলে দেওয়া অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন বস্তু দিয়ে কীভাবে একাধিক সৌখিন সামগ্রী তৈরি করা যায় তার হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। পরে সেই কাজকে বিদ্যালয়ের রুটিন কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেন প্রধান শিক্ষক কুসুম ভট্টাচার্য। এরপর দেখা যায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা এই সৃজনশীলতার প্রশিক্ষণ খুব ভালভাবে নিচ্ছে এবং বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করছে।

আর‌ও পড়ুন: সাড়ম্বরে স্কুলে জন্মদিন উদযাপন! মাসের শেষ শনিবারের অপেক্ষায় থাকে সবাই

বর্তমানে এই স্কুলে ফেলে দেওয়া চায়ের কাপ দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন সৌখিন সামগ্রী, ফুলদানি সহ আরও অন্যান্য জিনিসপত্র। থার্মোকলের প্লেটকে করা হচ্ছে আরও আকর্ষণীয়। ফলে স্কুল প্রাঙ্গণ সেজে উঠেছে ফেলে দেওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি সামগ্রীতে। দেখতেও খুব‌ই সুন্দর লাগছে। এভাবে স্কুলের উদ্যোগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার শিক্ষা দেওয়ায় খুশি সকলেই।

নবাব মল্লিক

Birthday Celebration: সাড়ম্বরে স্কুলে জন্মদিন উদযাপন! মাসের শেষ শনিবারের অপেক্ষায় থাকে সবাই

হাওড়া: সাড়ম্বরে জন্মদিন উদযাপন বিদ্যালয়ে। জন্মদিনে ছাত্র-ছাত্রীদের মুখে সন্তান স্নেহে পায়েস তুলে দিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এখানেই শেষ নয়, জন্মদিন উপলক্ষে বিদ্যালয় চত্বর সাজানোর পাশপাশি জন্মদিনে ছাত্রদের হাতে তুলে দেওয়া হল উপহার। উলুবেড়িয়া বাড় মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে এমনই অবাক করা দৃশ্য নজরে এল।

এমনিতে রাজ্যের অন্যান্য সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে যখন পড়ুয়ার সংখ্যা কমছে, তখন উল্টো পথে হেঁটে হাওড়া জেলার এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়ছে। শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে জন্মদিন পালন হয় প্রতিমাসের শেষ শনিবার। জন্মদিন এলেই দারুণ খাওয়া-দাওয়া, গিফট পাওয়ার আনন্দে উৎসাহিত হয়ে ওঠে ছাত্র-ছাত্রীরা। আরও আত্মিক বন্ধন গড়ে তুলতে হয় রাখি বন্ধন। শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছাত্রছাত্রীদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন। একইসঙ্গে শিশুকাল থেকে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বৃক্ষ প্রেম জাগাতে জন্মদিনে শিশুর নামে গাছ লাগানো হয়। নামকরণ করা সেই গাছের রাখি পরিয়ে দেয় ছোট ছোট পড়ুয়ারা।

আর‌ও পড়ুন: ভুটান পাহাড়ের জলে হড়পা বানের আশঙ্কা জয়গাঁয়

এই বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এতটাই প্রিয় যে, প্রাক্তন হ‌ওয়ার পরেও আত্মিক যোগ থেকে যায়। প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে যাওয়ার পরেও স্কুলের বাগান তৈরি, স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং তাদের জন্মদিন পালনে এসে হাজির হয় বহু প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী। বাড় মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উদযাপিত জন্মদিন স্থান পেয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রকাশিত ক্যালেন্ডারে।

এই প্রসঙ্গে বাড় মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজদূত সামন্ত জানান, এমন বিদ্যালয়ই বেছে নিয়েছিলাম যেখানে বিদ্যালয় ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নিজে কিছু করতে পারব। তাই সে সময় বেছে নিয়েছিলাম প্রত্যন্ত গ্রামের এই বিদ্যালয়। সেই মতই এগিয়ে চলা। ভাল কাজ করার ইচ্ছে তো ছিল। সেই সঙ্গে শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, বাড় মংরাজপুর ও মংরাজপুর দুই গ্রামের মানুষ দারুনভাবে সহযোগিতা করেছেন। তার ফলেই এসেছে এই সাফল্য।

রাকেশ মাইতি

Class 1 Admission Age: ক্লাস-ওয়ানে ভর্তির বয়স কত হওয়া উচিত…? ফর্ম তোলার আগে দেখে নিন ‘ন্যূনতম’ বয়স, জানুন লেটেস্ট নিয়ম!

সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে যেমন অভিভাবকদের চিন্তার অন্ত নেই, ঠিক তেমনই তার স্কুলে ভর্তি নিয়ে মা-বাবার উদ্বেগ কিছু কম নয়। বাস্তবে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো সহজ নয়।
সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে যেমন অভিভাবকদের চিন্তার অন্ত নেই, ঠিক তেমনই তার স্কুলে ভর্তি নিয়ে মা-বাবার উদ্বেগ কিছু কম নয়। বাস্তবে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো সহজ নয়।
একদিকে যেমন স্কুলে ভর্তির জন্য সন্তানকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণে তৈরি করা জরুরি, ঠিক তেমনই আবার দেশের স্কুল ভর্তির নিয়ম সম্পর্কে অবগত থাকাও খুব প্রয়োজন। কারণ স্কুলে ভর্তির নিয়ম ঘন ঘন পরিবর্তন হতে থাকে।
একদিকে যেমন স্কুলে ভর্তির জন্য সন্তানকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণে তৈরি করা জরুরি, ঠিক তেমনই আবার দেশের স্কুল ভর্তির নিয়ম সম্পর্কে অবগত থাকাও খুব প্রয়োজন। কারণ স্কুলে ভর্তির নিয়ম ঘন ঘন পরিবর্তন হতে থাকে।
মা-বাবাদের অবগতির জন্য জেনে রাখা ভাল, জাতীয় শিক্ষানীতির আওতায় শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বর্তমানে এর অধীনে, কেন্দ্র সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ১ম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিশুর বয়স নির্ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছে।
মা-বাবাদের অবগতির জন্য জেনে রাখা ভাল, জাতীয় শিক্ষানীতির আওতায় শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বর্তমানে এর অধীনে, কেন্দ্র সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ১ম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিশুর বয়স নির্ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছে।
গত বছরও, NEP 2020 কে মাথায় রেখে, ক্লাস ১-এ ভর্তির জন্য একটি শিশুর সর্বনিম্ন বয়স ৬ বছর রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চলছে। অনেক স্কুলে এই ন্যূনতম বয়সসীমার ভিত্তিতে ভর্তিও নেওয়া হয়।
গত বছরও, NEP 2020 কে মাথায় রেখে, ক্লাস ১-এ ভর্তির জন্য একটি শিশুর সর্বনিম্ন বয়স ৬ বছর রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চলছে। অনেক স্কুলে এই ন্যূনতম বয়সসীমার ভিত্তিতে ভর্তিও নেওয়া হয়।
২০২৩ সালে, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে রাজ্যগুলিতে পাঠায়। এরপর ২০২৪-এ ওই একই নির্দেশের পুনরাবৃত্তি করে আবার পাঠানো হয়।
২০২৩ সালে, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে রাজ্যগুলিতে পাঠায়। এরপর ২০২৪-এ ওই একই নির্দেশের পুনরাবৃত্তি করে আবার পাঠানো হয়।
ক্লাস 1 -এ ভর্তির বয়স: ন্যূনতম ৬ বছরশিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪-এ একটি চিঠি প্রকাশ করে। তাতে স্পষ্ট লেখা আছে যে শীঘ্রই ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, আশা করা হচ্ছে যে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে, গ্রেড ওয়ানে ভর্তির জন্য শিশুর বয়সসীমা এখন ৬ বছর প্লাস হবে।
ক্লাস 1 -এ ভর্তির বয়স: ন্যূনতম ৬ বছর
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪-এ একটি চিঠি প্রকাশ করে। তাতে স্পষ্ট লেখা আছে যে শীঘ্রই ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, আশা করা হচ্ছে যে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে, গ্রেড ওয়ানে ভর্তির জন্য শিশুর বয়সসীমা এখন ৬ বছর প্লাস হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও তাদের এক্স হ্যান্ডেলে এই সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে। NEP 2020 এবং শিশুদের বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা আইনের (RTE Act 2009) অধীনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও তাদের এক্স হ্যান্ডেলে এই সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে। NEP 2020 এবং শিশুদের বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা আইনের (RTE Act 2009) অধীনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর।
কেন্দ্র লোকসভা অধিবেশনে এই বিষয়ে জানিয়েছে, দেশে এমন ১৪ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে, যেখানে যে শিশুর বয়স ৬ বছর নয়, তারাও ক্লাস ১ এ ভর্তি হতে পারে। এই রাজ্যগুলি হল – অসম, গুজরাত, পুদুচেরি, তেলেঙ্গানা, লাদাখ, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, গোয়া, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক এবং কেরল। এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে স্কুলের অধ্যক্ষের ন্যূনতম বয়সসীমাতে শিথিলতা দেওয়ার অধিকারও থাকবে।
কেন্দ্র লোকসভা অধিবেশনে এই বিষয়ে জানিয়েছে, দেশে এমন ১৪ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে, যেখানে যে শিশুর বয়স ৬ বছর নয়, তারাও ক্লাস ১ এ ভর্তি হতে পারে। এই রাজ্যগুলি হল – অসম, গুজরাত, পুদুচেরি, তেলেঙ্গানা, লাদাখ, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, গোয়া, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক এবং কেরল। এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে স্কুলের অধ্যক্ষের ন্যূনতম বয়সসীমাতে শিথিলতা দেওয়ার অধিকারও থাকবে।

Model School: যেন আস্ত এক খেলাঘর! এই স্কুলে এলে ছেলেমেয়েরা বাড়ি ফিরতে চায় না

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সমগ্র স্কুল যেন আস্ত খেলাঘর। স্কুলের প্রতিটি দেওয়াল, মেঝেতে রয়েছে শিশুমনের আনন্দ দেওয়ার একাধিক বিষয়ের ছবি। যা দেখে শিশুরা স্কুল থেকে আর বাড়িতেই আসতে চাইছে না।এমন ঘটনা দেখা গিয়েছে কাকদ্বীপের প্রত্যন্ত এলাকা রামগোপালপুরে। সেখানের স্কুলটিকে এমনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে, যাতে শিশুরা সর্বদা আনন্দের মধ্যে থাকে।

মূলত খেলার ছলে শিশুদের শিক্ষা দিতে সমগ্র বিদ্যালয়টিকে এই রূপ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মানস সাউটিয়া। স্কুল প্রাঙ্গণে করা হয়েছে নতুন পার্ক। স্কুলের সিঁড়ি এবং দেওয়াল জুড়ে বিভিন্ন মনিষীদের ছবি সহ স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। স্কুলে রাখা হয়েছে ভিস্যুয়াল রিপ্রেজেন্টেশনের ব্যবস্থা। প্রত্যন্ত এলাকায় এই শহরের ধাঁচে স্কুল তৈরি হওয়ায় খুশি স্থানীয়রা। এ নিয়ে স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি শুভেন্দু জানা জানান, স্কুলটি শিশুদের আনন্দ দিচ্ছে।

আর‌ও পড়ুন: কম বৃষ্টিতেও দুর্দান্ত ফলন হবে ধানের!

স্কুলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আ্যটেন্ডেস নেওয়া হচ্ছে। রয়েছে সিসিটিভি। সবথেকে ভাল বিষয়টি হল, এখানে শিশুদের মানুষ করে গড়া হচ্ছে। যা অন্য স্কুলের থেকে এই স্কুলকে আলাদা করেছে। এই স্কুলে শিশুরা ঘুরে বেড়ালেই শিখতে পারবে অনেক কিছু। স্কুলের মেঝে, দেওয়াল থেকে শুরু করে ছাদ পর্যন্ত সমস্ত জায়গাতেই রয়েছে একাধিক ছবি। এখন দেখার এই শিক্ষাপ্রণালী কতটা প্রভাব ফেলে শিশুমনে।

নবাব মল্লিক

Primary School: স্কুল-পড়ুয়া সব আছে, রোজ হয় মিড ডে মিল, তবুও এখানে শিকেয় উঠেছে পড়াশোনা!

পশ্চিম বর্ধমান: এটা এক বহু পুরনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাহিনী। আজ‌ও এখানে নিয়মিত আসে পড়ুয়ারা। বিদ্যালয় ভবনের হালও বেশ ভাল। সেখানে নিয়মিত মিড ডে মিল দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। বিদ্যালয়ে এসে খেলাধুলার অবাধ অবসর রয়েছে পড়ুয়াদের কাছে। কিন্তু এই সব কিছুর মাঝেই হয় না আসল কাজটাই, বিদ্যালয়ে এসে পড়াশোনার সুযোগ‌ই পায় না ছোট ছোট পড়ুয়ারা!

এমন অবাক করা অবস্থাটি হল আসানসোল পুরনিগমের অন্তর্গত ৯০ নম্বর ওয়ার্ডের নিম্ন বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এই বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই অভিভাবকদের বড় অভিযোগ। তাঁদের অভিযোগ, এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাঠ কার্যত চুকে যেতে বসেছে। কারণ বিদ্যালয়ে প্রায় ১৫০ জন পড়ুয়া থাকলেও, শিক্ষক রয়েছেন মাত্র একজন! যিনি আবার বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ পদেও রয়েছেন। ফলে পড়ানোর থেকে অফিশিয়াল কাজকর্ম বেশি করতে হয়।

আর‌ও পড়ুন: চিংড়ি চাষ করলেই মোটা লাভ! সাহায্য করতে এগিয়ে এল মৎস্য দফতর

গত কয়েক বছরে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংখ্যা কমে গিয়েছে। অথচ নতুন শিক্ষক এখানে আর আসেননি। একজন সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনিও গত এপ্রিল মাসে অবসর গ্রহণ করেন। আর তারপর থেকে বিদ্যালয়ের পুরো দায়িত্ব এসে পড়েছে বর্তমান টিচার ইনচার্জের কাঁধে। তার কাঁধে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম থেকে শুরু করে বিদ্যালয় দেখাশোনার সমস্ত দায়িত্ব রয়েছে। প্রতিদিন নিয়ম করে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের খাবার দেওয়ার বিষয়টিও দেখতে হয়। এত কিছু করে একা মানুষের পক্ষে স্কুলের চারটি শ্রেণির ক্লাস নেওয়া আর সম্ভব হচ্ছে না।

এই সব কিছু কাজ যে একসঙ্গে একজন শিক্ষকের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়, তা কার্যত মেনে নিয়েছেন বর্তমান টিচার ইনচার্জ। এই বিষয়টি মেনে নিচ্ছেন অভিভাবকরাও। এই বিদ্যালয়ে স্থানীয় অনেক দরিদ্র পরিবারের পড়ুয়ারা পড়াশোনা করে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলে সকলের ক্ষতি হবে। তাই দ্রুত শিক্ষক পাঠিয়ে স্কুলের হাল ফেরানোর আবেদন জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

নয়ন ঘোষ

Classes With Umbrella: ছাতা মাথায় ক্লাস করছে পড়ুয়ারা! শ্রেণিকক্ষের ভেতর আজব দৃশ্য

উত্তর ২৪ পরগনা: স্কুলের মধ্যে ছাতা মাথায় দিয়ে বসে পড়ুয়াদের! সুন্দরবনের দুলদুলি পুকুরিয়া আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা গেল এমনই অবাক দৃশ্য। অবশ্য এটা করা ছাড়া ওই ছোট ছোট পড়ুয়াদের আর কোনও উপায় নেই। কারণ স্কুলের ছাদ থেকে চাঙড় ভেঙে ভেঙে পড়ছে। তাই নিজেদের মাথা বাঁচাতে ছাতা টাঙিয়ে চলছে ক্লাস।

উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। জরাজীর্ণ শ্রেণিকক্ষের মধ্যে বসেই চলে প্রতিদিনের পঠন-পাঠন। স্কুল ভবনের অবস্থা এতটাই খারাপ যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এর আগে বেশ কয়েকদিন ধরেই ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়ছে। এদিনও যখন স্কুল চলছিল তখন চাঙড় ভেঙে পড়ে। অল্পের জন্য রক্ষা পায় ছাত্র-ছাত্রীরা। তাই বাধ্য হয়ে ছাতা মাথায় দিয়ে স্কুল করছে ছাত্র-ছাত্রীরা।

আর‌ও পড়ুন: শ্যাওড়া, ঘেটু ও ডুমুর গাছ‌’ই দেবতা! বুড়ো বাবা আর দেবী মনসার পুজো এখানে মিলেমিশে একাকার

এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত অভিভাবকরা জানিয়েছেন, যতদিন না স্কুল ভবনের সংস্কার হচ্ছে ততদিন তাঁরা সন্তানদের আর স্কুলে পাঠাবেন না। স্কুলের এই বেহাল অবস্থা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক রুদ্রপ্রসাদ মণ্ডল। তিনি বলেন, বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, কিন্তু কোন‌ও কাজ হয়নি।