বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্য 

Freedom Fighter: অত্যাচারী ব্রিটিশ জজের প্রাণ নেওয়া বীর সন্তানের আত্মহুতি আজও স্মরণ করে জয়নগর

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শহিদ স্বাধীনতা সংগ্রামী কানাইলাল ভট্টাচার্যের (১৯০৯-১৯৩১) নাম অনেকেই জানেন। কিন্তু যেটা জানেন না তা হল এই শহিদ স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন জয়নগর-মজিলপুরের বাসিন্দা। আজও তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এলাকার মানুষ। ২৯ জুলাই দিনটি তাঁর আত্মহুতি দিবস হিসেবে পালিত হয়। এর জন্য গোটা সপ্তাহব্যাপী নানান কর্মসূচি পালিত হয় জয়নগরে।

শহিদ স্বাধীনতা সংগ্রামী কানাইলাল ভট্টাচার্যের আত্মহুতি সপ্তাহ উপলক্ষে বিশাল পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। জয়নগর-মজিলপুরের ভট্টাচার্য পাড়ার সন্তান কানাইলাল ভট্টাচার্য। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা রাইটার্সের অলিন্দের যুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন বিনয় বসু ও বাদল গুপ্ত, বেঁচে গিয়েছিলেন দীনেশ গুপ্ত। কিন্ত অত্যাচারী বৃটিশ শাসকরা তাঁকে বাঁচতে দেয়নি। বিচারের প্রহসনে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে ১৯৩১-সালের ৭ জুলাই। আর ১৯৩১-এর ২৭ জুলাই দীনেশ গুপ্তর ফাঁসির হুকুমদাতা আলিপুরের তদানীন্তন দায়রা জজ্ আর আর গর্লিককে আদালতেই গুলি করে হত্যা করে বিচারপতির শেষ বিচার করেছিলেন জয়নগরের বীর সন্তান কানাইলাল ভট্টাচার্য।

আর‌ও পড়ুন: রাত নামলেই আতঙ্ক, সাফ হয়ে যাচ্ছে চা বাগান! এ কী কাণ্ড

গালির্ক সাহেবকে হত্যা করার পরই তীব্র বিষ পটাসিয়াম সায়ানাইডের ক্যাপসুল খেয়ে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন কানাইলাল ভট্টাচার্য। মৃত কানাইলাল ভট্টাচার্যের পকেটে সেই সময় পাওয়া গিয়েছিল একটি ছোট চিরকুট। তাতে লেখা ছিল, ‘ধ্বংস হও; দীনেশ গুপ্তকে ফাঁসি দেওয়ার পুরস্কার লও। ইতি বিমল গুপ্ত।’

নিজের নাম প্রচারের আলোয় না এনে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করতে আত্মবলিদানের এক বিরল নিদর্শন স্থাপন করেছিলেন কানাইলাল ভট্টাচার্য। শহিদের স্মৃতিরক্ষার্থে জয়নগরে তাঁর পৈতৃক ভিটের কাছে আবক্ষ মূর্তি ও জয়নগর-মজিলপুর পুরসভা প্রাঙ্গনে শহিদের স্মারকফলক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছর অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে সারা জয়নগর মজিলপুর জুড়ে এই মহান শহিদের আত্মহুতি দিবস স্মরণ করা হয়।

সুমন সাহা