বাড়িতে আগুন

Sudden Fire Incident: ভুতুড়ে কাণ্ড! হঠাৎ হঠাৎ আগুন লেগে যাচ্ছে বাড়ির জিনিসপত্রে, সমাধানে ‘বিজ্ঞান’ও ফেল…

বাঁকুড়া: অবাক করা আতঙ্কের সম্মুখীন গোটা পরিবার। সকাল-সন্ধে নিয়ম করে বাড়ির বিভিন্ন দাহ্য জিনিসপত্রে আগুন লেগে যাচ্ছে। বাঁকুড়ার সিমলাপালের জামবেদিয়া গ্রামের জনৈক তপন লোহারের বাড়িতে এমন কাণ্ড ঘটছে। অনেক চেষ্টা করেও বিষয়টির কিনারা না হওয়ায় আতঙ্ক গ্রাস করেছে লোহার পরিবারের সদস্যদের। বিষয়টি জানাজানি হতেই ঘটনার কারণ খুঁজতে জামবেদিয়া গ্রামে গিয়েছিল সিমলাপাল থানার পুলিশ, ব্লক প্রশাসন, বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী থেকে বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা। যায় খাতড়া দমকল কেন্দ্রের একটি ইঞ্জিনও। কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হয়নি।

লোহার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ প্রথম আগুন লাগে বাড়ির বারান্দায়। সেই আগুন প্রতিবেশীদের সহায়তায় নিয়ন্ত্রণে আসে। তারপর থেকে নিয়ম করে প্রতিদিন কোনও কারণ ছাড়াই হঠাৎ হঠাৎ আগুন লাগছে বিভিন্ন দাহ্য জিনিসপত্রে। তাতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে পরিবার সহ গ্রামবাসীদের মধ্যে। মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ ফের আগুন লেগে যায় বাড়ির মধ্যে। খবর দেওয়া হয়েছিল খাতড়া দমকল কেন্দ্রে। দমকলের একটি ইঞ্জিন সহ কর্মীরা মঙ্গলবার সারারাত ওই ব্যক্তির বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে সিমলাপাল থানার পুলিশকর্মীরাও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: শিক্ষক-দারোয়ান-রাঁধুনি সব তিনিই! ভিলেন রাস্তার জন্য প্রধান শিক্ষকের এ কী হাল

বুধবার সকাল ছ’টা নাগাদ ফের হঠাৎ আগুন লেগে যায় বাড়ির গোয়াল ঘরে। দমকলকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে আগুন নেভান। তবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি বলে দমকল সূত্রে খবর। পরপর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে বাঁকুড়ার লোহার পরিবারের সদস্যদের। বুধবার সকালে বাড়িটিতে যান সিমলাপালের বিডিও মানস চক্রবর্তী। পরিবার সহ গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বিজ্ঞান মঞ্চের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বুধবার বিকেলে জামবেদিয়া গ্রামে ওই ব্যক্তির বাড়ি সহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা। সকলের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সমস্যার সমাধানের বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়ে আসেন। তবে কীভাবে এবং কেন আগুন লাগছে সেই বিষয়ে নিশ্চিত করে বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকেও কিছু জানানো সম্ভব হয়নি।

এই পরিস্থিতিতে নানান রকম গুজব, কুসংস্কার ছড়াতে শুরু করেছে। যদিও বিজ্ঞান মঞ্চ এবং ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা সব সময় পরিবারটির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তবে এটি কোন‌ও ভৌতিক বিষয় নয়। নিশ্চয়ই কোনও বৈজ্ঞানিক কারণে এমন ঘটনা ঘটছে। সেটি দ্রুত খতিয়ে দেখে সমাধান করার চেষ্টা চলছে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী