ঐহিকার বাবা

Olympics 2024: প্যারিস অলিম্পিক্সে নৈহাটির ঐহিকা, তবু আক্ষেপের সুর বাবার গলায়!

উত্তর ২৪ পরগনা: প্যারিস অলিম্পিক্সে অংশ নিতে ইতিমধ্যেই নৈহাটি থেকে পাড়ি দিয়েছেন টেবিল টেনিস খেলোয়াড় তথা বাংলার গর্ব ঐহিকা মুখোপাধ্যায়। পদক জয়ের স্বপ্নে মেয়ে প্যারিস অলিম্পিক্সে গেলেও এমনই আক্ষেপের সুর শোনা গেল নৈহাটির বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্মী গৌতম মুখোপাধ্যায়ের গলায়।

বাংলার মেয়ে ঐহিকা মুখার্জী ইতিমধ্যেই টেবিল টেনিস খেলায় দেশের মধ্যে নজর কেড়েছেন। খেলার কারণেই পেয়েছেন অর্জুন পুরস্কার। ২০২২ সালে ঐহিকা এশিয়ান গেমসের ডবলসে বোঞ্জ মেডেল জিতেছেন। এছাড়াও ২০১৯ সালে কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে কটকে দলগত এবং ব্যক্তিগত বিভাগেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ঐহিকা। বাবা গৌতম মুখোপাধ্যায়ের একমাত্র মেয়ে ঐহিকা। ছোটবেলা থেকেই মেয়ের পড়াশোনার পাশাপাশি তার স্বাস্থ্যের দিকেও বিশেষ ভাবে নজর দিত মুখোপাধ্যায় পরিবার।

আরও পড়ুন: ইউটিউব ছাড়া আমাদের একদিনও চলে না, জানেন কি ইউটিউব তৈরি করেছিলেন এক বাঙালি?

মায়ের হাত ধরেই চার বছর বয়সে নৈহাটির ইয়ুথ ক্লাবে টেবিল টেনিস খেলতে যায় ঐহিকা। সেই সময় বড় খেলোয়াড় হওয়ার কোনও লক্ষ্য নিয়ে ক্লাবে খেলতে না গেলেও, নিতান্তই স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য অনুশীলন শুরু করেছিলেন। মাত্র ৮ বছর বয়সে প্রথম টুর্নামেন্ট খেলতে নামেন ঐহিকা। সেই থেকেই শুরু জীবনে সাফল্য আসা। তখন থেকেই টেবিল টেনিসকে ভালবেসে ফেলে সে। এরপর থেকেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরেও আসতে থাকে একের পর এক সাফল্য। তারপর থেকে আর তাঁকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

আরও পড়ুন: চমক ভারতের! অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে অলিম্পিক্স হকির শেষ আটে শ্রীজেশরা

এদিন নৈহাটির বাড়িতে বসেই আক্ষেপের সুর শোনা গেল বাবার গলায়। অভিযোগ, মেয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে এত ভালো খেলেও, এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোনও রকম সহযোগিতা পাননি। এখনও বিদেশে খেলতে যাবার সুযোগ আসলে, বিপুল অঙ্কের টাকা জোগাড় করতে নির্ভর করতে হয় ব্যক্তিগত টাকার উপর। কোনও রকম আর্থিক সাহায্য না পাওয়ার কারণে বহু ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বলেও জানান তিনি। যার ফলে রাঙ্কিং এও অনেকটাই পিছিয়ে পড়তে হয় বাংলার এই টেবিল টেনিস খেলোয়াড়কে। তবে অলিম্পিক্সে মেয়ে ভালো ফল করবে এখন সেই আশাতেই রয়েছেন বাবা-মা।