দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের মানুষ মূলত কৃষি ও মাছ চাষের উপর নির্ভরশীল। তবে সুন্দরবনে জীবিকার সঙ্কট বরাবরের। এই অবস্থায় এখানকার গ্রামীণ এলাকার যুবক-যুবতী, মৎস্যজীবি ও চাষিদের রোজগার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ। বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুসংহত মৎস্য চাষের ওপর পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজিত হল নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রমের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে।
এই প্রশিক্ষণ শিবিরের মূল উদ্দেশ্য হল, সুন্দরবনের যুবক-যুবতী, মৎস্যজীবি ও চাষিদের দক্ষতা বৃদ্ধি কলা। এই প্রশিক্ষণ শিবিরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের বিভিন্ন ব্লক থেকে ৩০ জন উৎসাহী যুবক-যুবতী, মৎস্যজীবি ও চাষিরা অংশ নেন। এর মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও ১৫ জন মহিলা ছিল এই শিবিরে।মথুরাপুর-১ ও ২,জয়নগর-১ ও ২, কুলতলি, মন্দিরবাজার সহ একাধিক ব্লক থেকে প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন তাঁরা। বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষনের পাশাপাশি হাতে কলমেও তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বহরমপুরে হোমের পাঁচিল টপকে পলাতক চারজন, একজন বাংলাদেশিও আছে
এমনকি এই মৎস্যচাষে যাঁরা আগে প্রশিক্ষণ নিয়ে আজ সফলভাবে চাষ করছেন সেই সব মানুষও এই শিবিরের মাধ্যমে নবাগতদের সহায়তা করেন। হায়দ্রাবাদের এনএফডিবি-র আর্থিক সহায়তায় হায়দ্রাবাদের মেনেজ সংস্থার উদ্যোগে নিমপীঠ শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনায় নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রম কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে ৫ দিনের এই প্রশিক্ষণ শিবিরের বিভিন্ন দিনে উপস্থিত ছিলেন জয়নগর-১ ব্লকের এফইও অশোক কুমার দাস, নরেন্দ্রপুর এসএসকেভিকে-র সৌগত ঘোষ, রাজ্য সরকারের কৃষি বিভাগের মৎস্য বিশেষজ্ঞ অতনু গোস্বামী, নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রম কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রধান সিনিয়র বিজ্ঞানী চন্দন কুমার মণ্ডল সহ আরও অনেকে।
প্রশিক্ষণরত যুবক-যুবতী, মৎস্যজীবি ও চাষিদের নিয়ে মথুরাপুরের গিলারছাট গ্রামে গিয়ে হ্যাচারিতে হাতে-কলমে মাছ চাষের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।মাছ চাষের সমস্যা, রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা সহ এই চাষের ওপর বিভিন্ন ধরনের আলোচনা করা হয়। সুন্দরবনের উপযোগী সুসংহত মাছ চাষের ওপর এই প্রশিক্ষণ শিবিরটি হয়। এতে ৩০ জন জেনারেল ক্যাটাগরির মানুষ অংশ নেন। এই প্রশিক্ষণ শিবিরের মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রশিক্ষণরতদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।