আলিপুরদুয়ার: এশিয়ান হাইওয়েতে সাবধান! মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালালেই আপনি ধরা পড়বেন পুলিশের কাছে। বাতিল হতে পারে আপনার লাইসেন্স। ‘ড্রিংক এন্ড ড্রাইভ’ রুখতে ট্রাফিক পুলিশের দাওয়াই ‘ব্রেথ এনালাইজার’।
এশিয়ান হাইওয়েতে ঘটে চলেছে একের পর এক দুর্ঘটনা। তদন্তে নেমে জয়গাঁ ট্রাফিক পুলিশ জানতে পেরেছে মদ্যপ অবস্থায় যারা থাকছেন তাঁরা বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এবারে জয়গাঁ ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে ‘ব্রেথ এনালাইজার’ দিয়ে টেস্ট করা হচ্ছে প্রতিটি গাড়ির চালককে।
আরও পড়ুন: ‘হাসপাতাল ভাঙচুরের সময় পুলিশ কোথায় ছিল?’ আরজি কর নিয়ে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
কেন এই ‘ব্রেথ এনালাইজার’?
গত তিনমাসে এশিয়ান হাইওয়ে পাশাখাতে ঘটে গিয়েছে অসংখ্য দুর্ঘটনা। ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮০% ঘটনা মদ্যপ অবস্থায় যারা ছিলেন তাঁদের সঙ্গে ঘটেছে, এমনকী মৃত্যুও হয়েছে।এই জয়গাঁ এলাকার এশিয়ান হাইওয়ে দিয়ে যাওয়া যায় ভুটানের শিল্পাঞ্চল পাশাখাতে।এই এলাকাটি বেড়াতে যাওয়ার অন্যতম ডেস্টিনেশনও বটে। একটু বিকেল হলেই বাইক, গাড়ি নিয়ে আসেন পর্যটকরা। এই এলাকা থেকেই দেখা যায় ভুটান পাহাড়, তোর্ষা চা বাগানের অপরূপ সৌন্দর্য্য। কিন্তু এই রাস্তাতে দেখা যায় যত অনিয়ম। তবে এই রাস্তা দিয়ে যে বাইকগুলি যাতায়াত করে সেই চালকদের অনেকের মাথাতেই হেলমেট দেখা যায়না। ছোট গাড়ির চালকদের সিটবেল্ট দেখা যায়না।
মাঝেমধ্যে জিএসটি ফাঁড়ির পুলিশের পক্ষ থেকে দেখা যায় ধরপাকড়।তারপর আবার যেই কে সেই। দুর্ঘটনাগুলি ঘটছে সাধারণত একটু রাত বাড়লেই। দুর্ঘটনা কমাতে ‘ব্রেথ এনালাইজার’ দিয়ে প্রতিদিন পরীক্ষা করা হচ্ছে বাইক এবং প্রতিটি গাড়ির চালককে। ব্রেথ এনালাইজার টেস্টে ৪০ এমজি-র ওপর যাদের পাওয়া যাচ্ছে তাঁদের থানায় পাঠিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।
এই বিষয়ে জয়গাঁর ট্রাফিক ওসি মনোজ কুমার ওঝা জানান, “ব্রেথ এনালাইজার টেস্ট ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। এত দুর্ঘটনা ঘটছে, আর বেশিরভাগ মদ্যপ দের সঙ্গে ঘটছে। ৪০ এমজি-র ওপর কোনও মদ্যপ ধরা পড়লে তার লাইসেন্স আমরা বাজেয়াপ্ত করছি।”