বিশ্বভারতী

Visva Bharati: কবে আবার স্থায়ী উপাচার্য পাবে বিশ্বভারতী? উত্তর অজানা

বীরভূম: ৩১ অগস্ট বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এই নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরপর দুই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অবসর নিতে চলেছেন। সব মিলিয়ে বর্তমানে বিশ্বভারতীর অবস্থা অনেকটাই অগোছালো। আচার্য নেই, উপাচার্যও নেই। স্থায়ী উপাচার্য কবে পাবে তা জানেন না এখানকার কেউ।

ওয়াকিবহল মহল আক্ষেপের সুরে জানাচ্ছে, বিশ্বভারতীকে কেন্দ্রীয় সরকার অধিগ্রহণ করে ১৯৯১ সালে। এরপর থেকে এরকম প্রশাসনিক সঙ্কট অতীতে আর কোনওদিনই দেখা যায়নি। পরপর টানা দুই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে দিয়ে প্রায় ন’মাস কোনরকমে বিশ্ববিদ্যালয় চালানো নজিরবিহীন বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: যোগাসনে জোড়া স্বর্ণপদক জয় বর্ধমানের এই ছাত্রীর

এই পরিস্থিতিতে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের মেয়াদ আদৌ বৃদ্ধি হবে কিনা তা নিয়েও যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে শিক্ষামন্ত্রক ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অরবিন্দ মণ্ডলের মেয়াদ বৃদ্ধি না করলে নিয়ম অনুসারে নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য পদে বসবেন অভিজ্ঞ অধ্যাপক, পল্লি শিক্ষা ভবনের অধ্যক্ষ বিনয়কুমার সোরেন।

প্রসঙ্গত, গত বছর ৮ নভেম্বর স্থায়ী উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হয়। এরপরই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেন কলাভবনের অধ্যক্ষ সঞ্জয়কুমার মল্লিক। চলতি বছরের ২৫ মে কর্মসমিতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ফলে নিয়ম অনুসারে উপাচার্যের পদ থেকে অবসর নেন তিনি।

গত ১১ জুলাই বিশ্বভারতীর আচার্য হিসেবে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছছ। কিন্তু সময় গড়িয়ে গেলেও প্রধানমন্ত্রীর নাম আচার্য হিসাবে রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুর চূড়ান্ত অনুমোদন বিশ্বভারতীতে পৌঁছয়নি। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কঙ্কালসার প্রশাসন’ ও ‘শিক্ষার বেহাল পরিস্থিতি’ কবে গতিশীল হবে তা নিয়ে? বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, কর্মী ও অধ্যাপকদের একটা বড় অংশ।

সৌভিক রায়