গাছের গুঁড়িকে মানুষের রূপ দিচ্ছেন সুকান্ত 

Sculpture Artist: শিল্পীর নৈপুণ্যতায় চেহারা বদলে ‌যাচ্ছে পুরোনো গাছের গুঁড়ির! দেখলে চোখ জুড়িয়ে ‌যাবে

শিলিগুড়ি: মৃত গাছের শাখা-কান্ড খোদাই করে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বিভিন্ন শিল্প নৈপুণ্য। কোনও গাছে ফুটে উঠছে দুর্গা মূর্তি, কোনও গাছে সিংহ আবার কোন‌ও গাছে মানুষের প্রতিকৃতি। কোথাও গাছের ডাল, গাছের গুঁড়ি সেগুলি দিয়েই শিল্পকলা ফুটিয়ে তোলেন শিলিগুড়ির সুকান্ত মণ্ডল।

শিলিগুড়ির শহরের সূর্য সেন কলোনির বাসিন্দা সুকান্ত মূলত চিত্র শিল্পী হিসেবে কাজ করে আসছেন গত ১৫ বছর ধরে। তাঁর আর্ট স্কুলে প্রচুর ছাত্র একা শিখতে আসে। তবে ছোটবেলা থেকেই চোখের সামনে পড়ে থাকা জিনিস, নদী থেকে ভেসে আসা কাঠ কিংবা পরে থাকা গাছের ডাল দিয়ে নতুন কিছু তৈরি করার অভ্যাস ছিল সুকান্তবাবুর। সেই অভ্যাস এখন পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর।

আরও পড়ুন: বরাত পেয়েছেন ভিন রাজ্যের ৫০টি বেশি প্রতিমা, তাই চরম ব্যস্ততা মৃৎশিল্পীদের

শিলিগুড়ির সূর্য সেন কলোনির ওই দোকান যেন হয়ে উঠছে আস্ত একটা মিউজিয়াম। পড়ে থাকা গাছের গুঁড়ি দিয়ে হাতির শুঁড় থেকে থেকে শুরু করে শিবলিঙ্গ, প্রাচীন ভাস্কর্য, সিংহের মুখ, ইগল এমনকি তৈরি করেছেন দুর্গা মূর্তি। দুটো বাটালি হাতুড়ি কেবল একমাত্র সঙ্গী। তা দিয়েই বাড়ির সামনে ছোট্ট জায়গায় ফেলে দেওয়া জিনিস থেকে ফুটিয়ে তুলেছেন অসামান্য সব শিল্পকর্ম। তাঁর কাজের প্রশংসা দূর-দূরান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। এইভাবে রাম মন্দির তৈরি করে তিনি উপহার হিসেবে তুলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে।

সুকান্তবাবু বলেন, আজকের দিনে কাঠের এই কাটুম কুটুম কেউ করতে চায় না। তার কারণ এই কাজে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। তাই ধীরে ধীরে এই শিল্প মানুষের মধ্যে থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্ম আর এআ কাজ করতে চাইছে না। তবে আমার কিছু ছাত্রকে আমি এই কাজ শিখিয়েছি। সুকান্তবাবুর হাতের তৈরি কাজের পশ্চিমবঙ্গে তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সারা ভারতবর্ষেও প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

অনির্বাণ রায়