কোলেস্টেরলের সমস্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে বহু মানুষের৷ হাই কোলেস্টেরল কমাতে বিভিন্ন পদ্ধতিও অবলম্বন করে থাকেন, তবে এমন কিছু প্রাকৃতিক জিনিস রয়েছে, যা এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, দারুচিনি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরল দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এক কেজি দারুচিনির দাম প্রতি কেজি প্রায় ৫০০-৬০০ টাকা। এই বিষয়ে, আপনি যদি প্রতিদিন ১-২ গ্রাম দারুচিনি মশলা খান, তবে আপনি মাত্র ১ টাকায় এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই মশলা শরীরের জন্যও খুবই উপকারী।
ডা. পীযূষ মহেশ্বরী, সহকারী অধ্যাপক, আলিগড় আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ, ইউপি বলেছেন যে, আয়ুর্বেদে দারুচিনিকে উচ্চ কোলেস্টেরল থেকে মুক্তি দেয় এমন বৈশিষ্ট্যে পূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই মশলায় এমন অনেক উপাদান রয়েছে যা শরীরে প্রবেশ করে আমাদের রক্তে জমে থাকা নোংরা কোলেস্টেরল দূর করতে পারে।
দারুচিনিতে অনেক শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আমাদের শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যালের বিপজ্জনক প্রভাব থেকে রক্ষা করে। এই ব়্যাডিকেলগুলি কোলেস্টেরল বাড়াতে এবং রক্তের ধমনীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এর নিয়মিত সেবনে রক্তে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল দ্রুত কমানো যায়।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে এক চিমটি দারুচিনি মশলা কুসুম গরম জলের সঙ্গে খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই কোলেস্টেরলের সমস্যা কমে যায়। দারুচিনি খাওয়া খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
দারুচিনি কোলেস্টেরল কমানোর সহজ উপায় হলেও এটিকে ওষুধের বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। যদি আপনার ডাক্তার আপনাকে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ দিয়ে থাকেন, তাহলে সেগুলো সময়মতো নিন এবং আপনি এর সঙ্গে দারুচিনি খেতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি দ্রুত আরাম পাবেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি সকালে খালি পেটে দারুচিনির গুঁড়ো খেতে না পারেন, তবে আপনি এটি আপনার দুধ, চা বা কফিতে যোগ করতে পারেন। জলে ফুটিয়ে নিয়ে দারুচিনির চা হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। দারুচিনি দই, ওটস বা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবারের সঙ্গেও মেশানো যেতে পারে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে দারুচিনি হতে পারে একটি প্রাকৃতিক এবং কার্যকরী উপায়। আপনার খাদ্যতালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করে আপনি হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারেন। তবে দারুচিনির অতিরিক্ত সেবন ক্ষতিকর হতে পারে। তাই এটি শুধুমাত্র অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷
Post navigation
Just another WordPress site