নিয়োগী বাড়ির পুজো

Durga Puja 2024: প্রাচীন রীতি মেনে ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই বনেদি পরিবারে পূজিতা দশভুজা

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: বনেদি বাড়ির পুজো মানেই ঐতিহ্যের কাহিনি! নানা অজানা ইতিহাস কথা বলে পুজোর দালান। এবারও ঠিক তাই, দীর্ঘ বছরের পরম্পরা মেনেই জলপাইগুড়ির কামারপাড়ার নিয়োগী বাড়ির পুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে।জলপাইগুড়ির কামারপাড়ার নিয়োগী বাড়ি বনেদি বাড়িগুলির মধ্যে অন‍্যতম।

দীর্ঘ দু’ শতাধিক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই পরিবারের মা উমা পূজিতা হয়ে আসছেন। অবশ‍্য, জলপাইগুড়ির এই বাড়িতে প্রথম পুজো নয়! প্রথম পুজো ২১৬ বছর আগে বাংলাদেশে থাকাকালীন আশ্বিন মাসে এই পরিবারে দেবীর পুজার সূচনা হয়। এরপর থেকে রীতিনীতি অনুযায়ী প্রতি শারদে এই পরিবারে দেবীর পুজো হয়ে আসছে। নিয়োগী পরিবারের সদস্যরা জানান, বাংলাদেশ ছেড়ে তাঁরা প্রথমে কলকাতায় চলে এসেছিলেন। সেখানেও বেশ কয়েক বছর দুর্গাপুজো হয়েছিল। এরপর সেই পুজো স্থান নেয় জলপাইগুড়িতে।

আরও পড়ুন : জোড়া সিংহে আরোহণ করেই পূজিতা চতুর্ভুজা দেবী! এই পুজোর ইতিহাস অবাক করে দেয়

বতর্মানে বিগত কয়েক বছর ধরে কামারপাড়ায় নিয়োগী পরিবারে এই পুজো হয়ে আসছে। পরিবারের সদস্যরা আরও জানান, পুজোর কয়েকদিন বাড়িতে পাড়া প্রতিবেশী থেকে আত্মীয়স্বজনের ভিড় জমে। উৎসব, হৈ হুল্লোড়,খাওয়া দাওয়া হয় মহা সাড়ম্বরে।বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজো হলেও এই পুজোর অন্যতম বিশেষত্ব রয়েছে। আর পাঁচটা পুজোর থেকে নিয়ম খানিকটা ভিন্ন বলেই জানা যায় পরিবার সূত্রে।

দেবী দুর্গার দু’পাশে সাধারণ যে দিকে কার্তিক – গণেশ থাকে, এই বাড়ির পুজোতে সেই কার্তিক – গণেশের স্থান পুরোপুরি উল্টো। অর্থাৎ, দেবীর ডান পাশে কার্তিক এবং বাম পাশে গণেশের অবস্থান। প্রতিপদে ঘট বসানো হয়। পঞ্চমীতে মণ্ডপে হয় মনসাপুজো। এবং, ষষ্ঠীতে মা উমার আগমন ঘটে মণ্ডপে। মা-এর গায়ের রঙ অতসী ফুলের অনুকরণে। এছাড়াও বংশপরম্পরায় মেনে আসা রীতি-নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে মেনে এই পুজো করা হয়।