নবাব মল্লিক, ডায়মন্ড হারবার: পুজোয় নেই মাইক ও আলোর রোশনাই, তবুও প্রাচীন ঐতিহ্যমন্ডিত জমিদার বাড়ি দেখতে ডায়মন্ড হারবারের বারদ্রোণে ছুটে যান অনেকেই। বারদ্রোণের মণ্ডলবাড়ির পুজো শুরু হয়েছিল ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে।সেই থেকে চলে আসছে এই পুজো। জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পর থেকে অধিকাংশ জমিদারবাড়ির অবস্থা যেখানে বেহাল হয়ে পড়ছে। তখন বারদ্রোণের জমিদারবাড়িকে এখনও আগের মতোই করে রেখেছেন তাদের উত্তরসূরিরা।
এখনও এখানে গেলে চোখে পড়বে সিংহদুয়ার। সেটি পেরিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলে পড়বে দালানবাড়ি। রয়েছে সেরেস্তা ঘর-সহ সবকিছু। সেজন্য এই জায়গাটি দেখতে অনেকেই আসেন এখানে। এই জমিদারবাড়ির সামনে রয়েছে ছোট একটি পার্ক। এই পুজোতে মাইক ও আলোর রোশনাই চোখে পড়বেনা, কিন্তু এই পুজোর ঐতিহ্য সকলকে কাছে টানে, আর সেজন্য দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই এখানে ছুটে আসেন বলে জানিয়েছেন এই পরিবারের সদস্য নচিকেতা মণ্ডল।
আরও পড়ুন : মেথি ফোড়নে মটরডালের বড়া…করলার চাপড় ঘণ্ট থাকলে উঠে যাবে এক থালা ভাত! রইল সহজ রেসিপি
তিনি জানিয়েছেন এই পরিবারের একসময় লবণ, তাঁতের কাপড়-সহ একাধিক সামগ্রীর ব্যবসা ছিল। ক্রমশ ফুলে-ফেঁপে ওঠা ব্যবসার সুবাদে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে মণ্ডল পরিবারের নাম৷ ব্যবসার টাকায় প্রচুর জমিও কেনেন তাঁরা। এরপর বারদ্রোণ, মন্দিরবাজার, ঘটকপুর, হটুগঞ্জ, সরবেড়িয়া-সহ একাধিক এলাকা নিয়ে জমিদারির পত্তন করেন তাঁদের পূর্বপুরুষরা। জমিদারি পত্তন করার পর তাঁরা শুরু করেন এই পুজো। সেই থেকে সমানতালে চলছে এই পুজো। এই পুজোর সূচনা করেছিলেন গোলকচন্দ্র মণ্ডল। সেইজন্য অনেকেই এই পুজোকে গোলকধামের পুজোও বলে থাকেন।