Tag Archives: Diamond Harbour

Abhishek Banerjee: অক্ষয় তৃতীয়ার শুভদিনে অভিষেকের মনোনয়ন পেশ, কাট আউটে ভরল হাজরার রাস্তা, রোড শো-এর প্রস্তুতি তুঙ্গে

কলকাতা: অক্ষয় তৃতীয়া শুভ দিন ৷ বাংলা ক্যালেন্ডারের এই বিশেষ দিনেই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের জন্য কিছুক্ষণেই মনোনয়ন জমা দেবেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন একই কেন্দ্রের হয়ে মনোনয়ন জমা দেবেন ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীও।

শুভ লগ্ন দেখেই দুই যুযুধান রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন জমা দিতে চলেছেন। মিছিল আসার আগেই ইতিমধ্যে রাস্তা অভিষেকের কাটআউটে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার লোকসভার অন্তর্ভুক্ত বিধানসভার সব বিধায়কই থাকবেন এই মিছিলে। এছাড়া প্রচুর কর্মী সমর্থকরাও থাকছেন। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই মিছিল শুরু হবে।

অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে মনোনয়ন জমা দেবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। আজ দুপুর সাড়ে ১২’টায় তিনি আলিপুরে জেলাশাসকের অফিসে এই মনোনয়ন জমা দেবেন। তার সঙ্গে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন বিধানসভার বিধায়করা থাকবেন। হাজরা থেকে গোপালনগর একটি রোড শো হবে এই মনোনয়ন পর্ব উপলক্ষে।

২০১৪ সালে প্রথমবার ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় প্রার্থী হয়েছিলেন অভিষেক। সে বার ৭১ হাজারের কিছু বেশি ভোটে জয়ী হয়ে প্রথম বার সংসদে গিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে দ্বিতীয় বার প্রার্থী হয়ে নিজের জয়ের ব্যবধান তিন গুণ বাড়িছিলেন অভিষেক। আর এ বার নিজের জয়ের ব্যবধানের মাত্রা চার লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড।

Food: মাত্র ২২ টাকায় জিভে জল আনা মাংসভাত! কোথায় পাবেন? আজই ঘুরে আসুন সদলবলে!

ডায়মন্ড হারবার: জানেন কি এখনও ডায়মন্ড হারবারে এখনও মেলে ২২ টাকায় মাংসভাত, মাছভাত মেলে ২১ টাকায়। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি। ডায়মন্ড হারবারের লালপোল পেরিয়ে যে কোনও ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করলেই দেখিয়ে দেবে এই চিপ ক্যন্টিনগুলি। পরপর রয়েছে হোটেলগুলি, ঘোষ চিপ ক‍্যন্টিন, দীপক চীপ ক‍্যন্টিন ও ভোলা চিপ ক‍্যন্টিন। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে এই সস্তার হোটেলগুলি। সস্তার এই মাংস ও মাছ ভাত খেতে এখনও ভিড় জমান শতাধিক ব‍্যক্তি। প্রথমে ২ টাকা ৫০ পয়সায়, মিলত মাছভাত। দ্রব‍্যমূল‍্য বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে তা এসে দাঁড়িয়েছে ২২ টাকায়। এখন মেলে মাংস ভাত।

আরও পড়ুনঃ সিজন চেঞ্জে ঘরে ঘরে ভাইরাল সংক্রমণ, কীভাবে বাঁচবেন হদিশ দিলেন চিকিৎসকরা

প্রতি চিপ ক‍্যন্টিনেই ১৫০ থেকে ২০০ জন ব‍্যক্তি সারাদিনে খাবার খেতে আসেন। সর্বমোট প্রায় ৫০০ জন ব‍্যক্তি এই চিপ ক‍্যান্টিন থেকে প্রাত্যহিক মধ‍্যাহ্নভোজন করে থাকেন। দাম যথেষ্ট কম হওয়ায় অনেকেই আসেন এই ক‍্যন্টেনগুলিতে।

এ নিয়ে ঘোষ চিপ ক‍্যান্টিনের মালিক সমীর ঘোষ জানান মূলত তাঁরা বাইরের কোনো শ্রমিক রাখেন না। নিজেরাই সব কিছু রান্না করেন। এছাড়াও আনুসঙ্গিক কাজগুলি তাঁরা করে থাকেন। সেজন‍্যই এতো কম দামে তাঁরা সেগুলি পরিবেশন করতে পারেন।

বাজার করা থেকে শুরু করে রান্না সবকিছুই করেন ওই চিপ ক‍্যন্টেনগুলির মালিক এবং তাঁদের পরিবারের লোকজন। সাধারণ মানুষজনের মুখে সল্প মূল‍্যে আহার তুলে দেওয়ায় তাঁদের লক্ষ‍্য। আর সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা বছরের পর বছর। কতদিন এই কমমূল্যে তাঁরা ক্যান্টিনগুলি চালিয়ে যেতে পারবেন সেটাই এখন বড় প্রশ্ন ডায়মন্ড হারবারে।

নবাব মল্লিক

Kapilmuni Temple: সাগরে না গিয়েও দর্শন হতে পারে কপিলমুনির মন্দিরের, আসুন ঘরের কাছে এই স্থানে

নবাব মল্লিক, ডায়মন্ডহারবার: কপিল মুনির আশ্রমের নাম শুনলে চোখের সামনে ভেসে ওঠে সাগরসঙ্গমের মহাতীর্থের কথা। কিন্ত এই কপিল মুনি বিরাজমান হুগলি নদী ও বঙ্গোপসাগরের সঙ্গমস্থলের সর্বত্রই। ডায়মন্ড হারবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ডায়মন্ডহারবার থেকে শুরু করে সাগরতটের মোহনা পর্যন্ত কপিল মুনির আশীর্বাদধন্য স্থান। ডায়মন্ডহারবার শহর থেকে কিছুটা দূরে রয়েছে হাঁড়া নামক একটি স্থান।

এই হাঁড়ার শূলপানি ঘাটে রয়েছে কপিল কুটির সাংখ্য যোগাশ্রম। এই স্থানটি খুবই প্রাচীন একটি স্থান। এই শূলপানি ঘাটে আগে স্নান করতেন বহু সাধুসন্ত।এখনও এই স্থানটিকে খুবই পবিত্র স্থান হিসাবে গণ্য করা হয়। আশ্রমটিকে ঘিরে রয়েছে প্রাচীন গাছগাছালি। রয়েছে একটি প্রাচীন বটগাছ‌। বহুদিন আগে থেকে এখানে পুজো হলেও আজ থেকে ২০০ বছর আগে ইংরেজ আমলে এই স্থানে নতুন আশ্রম নির্মাণ করা হয়।

আরও পড়ুন : আসছে কঠিন সময়, অশুভ ভাগ্যদোষে পড়তে পারেন এই ৩ রাশির জাতক জাতিকারা

বছরের একটি নির্দিষ্ট দিনে এখানে অনুষ্ঠান হয়। সাগরে যে সময় গঙ্গাস্নানে প্রচুর ভিড় হয়, সে সময় এখানেও আসেন অনেকেই। তবে এই স্থানটি আজও থেকে গিয়েছে লোকচক্ষুর আড়ালে। আপনি চাইলেই কিন্তু ঘুরে আসতেই পারেন এই স্থান থেকে।

Lok Sabha Election 2024: ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি প্রার্থী কে? ‘নবরত্ন তেল নিয়ে ঘোরার’ পরামর্শ কুনাল ঘোষের

কলকাতাঃ মোদির পর নর্বাচনী প্রচার বুধবার বঙ্গে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহ। ভূপতিনগর প্রসঙ্গ থেকে শরণার্থী ইস্যু, নির্বাচনী প্রচারে এসে সমস্ত প্রসঙ্গই তুললেন বিজেপি নেতা। একইদিন, আসানসোলে প্রার্থী বদলে দিল বিজেপি। এসএস আলুওয়ালিয়াকে প্রার্থী করল গেরুয়া শিবির। ওই কেন্দ্রে প্রথমে ভোজপুরী গায়ক, নায়ক পবন সিংকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু প্রার্থী ঘোষণার পরই ট্যুইটারে পবন ঘোষণা করেছিলেন, আসানসোল থেকে ভোটে লড়তে চান না তিনি। এরপরই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, আসানসোলে কাকে প্রার্থী করবে বিজেপি। অবশেষে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ আলুওয়ালিয়াকেই প্রার্থী করল গেরুয়া শিবির।

আরও পড়ুনঃ ১৪ না ১৫? এবছর পয়লা বৈশাখ কবে? কোন নতুন বঙ্গাব্দে পা দেব আমরা, জানুন তারিখ ও দিন

তবে, এখনও লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি। এবার সেই ইস‍্যুতে সোচ্চার হয় রাজ‍্যের শাসক দল। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কুনাল ঘোষ বলেন, ‘ডায়মন্ডহারবারে কেউ না কেউ তো দাঁড়াবেন। সেলিম যেমন পালিয়ে গেলেন। বিজেপির বিরোধী দলনেতা না হয় লড়ুক। বিজেপি এখন AI প্রার্থী তৈরি করছে। কেউ যেতে চাইছে না। আসানসোলে আর এক দিলীপ ঘোষ। সিটিং এমপিকে অন্য আসনে। দিলীপবাবু মরিয়া হয়ে লড়ছেন। আর তাঁর কর্মীরা বলছে দিদি নাম্বার ওয়ানকে ভোট দিন।’

কুনাল ঘোষ আরও বলেন, ‘যারা এলাকায় গিয়ে বুঝতে পারছেন মানুষ তাঁদের চাইছেন না তাঁরাই মাথা গরম করছেন। মানুষতো কোথাও প্রচার করতে বারণ করেনি। আর মানুষ তো আবাসের টাকা, একশ দিনের টাকা চাইবে। তাই এদের উচিত নবরত্ন তেল নিয়ে ঘোরা। ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল। প্রশ্ন করলেই মাথায় তেল ঢেলে নেবেন।’

Abhishek Banerjee Interview : ২০১৯ এর চেয়ে ভাল ফল হবে’, Lok Sabha Election 2024 নিয়ে যা বললেন অভিষেক

তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল, ‘অমিত শাহ দাবি করছেন এবার তৃণমূলের আসন বাংলায় অনেক কমে যাবে৷ বিজেপির শক্তি বাংলায় বাড়বে৷” তিনি উত্তরে বললেন,” অমিত শাহ ২০২১ সালেও বলেছিলেন বিজেপি ২০০ আসন পাবে৷ আমি অমিত শাহের মতো গণৎকার নই৷ কিন্তু যেটুকু বুঝেছি, ২০১৯-এর তুলনায় আসন সংখ্যা এবং ভোট শতাংশের নিরিখে তৃণমূল অনেক ভাল ফল করবে৷” দেখুন নিউজ ১৮ বাংলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইন্টারভিউ৷ (Watch bangla news video)

ডায়মন্ড হারবারে চার লক্ষ ভোটে হারিয়ে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেব, হঙ্কার অভিষেকের! দেখুন ভিডিও

ডায়মন্ড হারবারে তিনি চার লক্ষেরও বেশি ভোটে জয়ী হবেন৷ এ দিন বসিরহাটের সভা থেকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷

Abhishek Banerjee: ভোটের আগেই বাজিমাত, অভিষেকের কেন্দ্রে ঘটল দারুণ ঘটনা! হাসি খুদেদের মুখে

আনিশ উদ্দিন মোল্লা, ডায়মন্ড হারবার: সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা এলাকার ৫১৫টি বিদ্যালয়ে ১ হাজারের বেশি ডেস্কটপ কম্পিউটার প্রদান। বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারের রবীন্দ্রভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে কম্পিউটার তুলে দেওয়া হয়।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ব্যবস্থাপনায় এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অজিত নায়েক, বিধায়ক পান্নালাল হালদার সহ বিশিষ্টজনেরা।

আরও পড়ুন: বলুন তো, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি গাছ আছে কোন দেশে? উত্তর শুনে বিশ্বাসই হবে না, কিন্তু এটাই সত্যি

রাজ্যের পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন প্রতিটি স্কুলে অনলাইন কাজ করতে হয়। তাই যাতে কোন স্কুলকে সমস্যায় না পড়তে হয় সে জন্যই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রত্যেকটি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীসংখ্যার নিরিখে কম্পিউটার প্রদান করেন।

Abhishek Banerjee reply to Abhijit Ganguly: ‘মুখ ফস্কে সত্যিটা বলে ফেলেছেন!’ অভিজিতকে জবাব, কোন সত্যির কথা বললেন অভিষেক?

কলকাতা: রাজনীতিতে পা দিয়েই প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নাম না করে তাঁকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন৷ দাবি করেছেন, ডায়মন্ড হারবারে ভোটে দাঁড়ালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ লক্ষ ভোটে হারিয়ে দেখিয়ে দেবেন তিনি৷ শুধু তাই নয়, নাম না করে অভিষেককে তালপাতার সেপাই বলেও কটাক্ষ করেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷

ভোটের ময়দানে তাঁকে হারানোর হুঁশিয়ারি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও, এ দিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৃণমূলের শীর্ষ নেতা বলেন, আমি আগেও বলেছি, গণতান্ত্রিক দেশে যে কোনও মানুষই যে কোনও জায়গা থেকে ভোটে দাঁড়াতে পারেন৷ সেই অধিকার সবার আছে৷ কিন্তু আজকে দু-তিনটে বিষয়  আমার আমার খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছে৷ বিজেপি নেতারা কেউ আমার নাম নেন না৷ ভাব বাচ্যে কথা বলেন৷ প্রাক্তন বিচারপতিও আজকে তাই করেছেন৷

আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল যাত্রাপার্টি, পালার নাম মা-মাটি-মানুষ!’ শাসক দল ভাঙছে, দাবি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

এর পাশাপাশি, বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্দেশগুলির নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক৷ তিনি বলেন, ‘উনি হয়তো নিজের অজান্তেই মুখ ফস্কে একটা সত্যি কথা বলে ফেলেছেন৷ কিন্তু উনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে উনি বিজেপির কাছে গিয়েছিলেন, বিজেপিও ওনার কাছে এসেছিল৷ অর্থাৎ বিচারপতি থাকাকালীন যখন উনি বিভিন্ন মামলার শুনানি করেছেন, তখন বিজেপি এবং ওনার মধ্যে যে যোগাযোগ ছিল সেই সত্যিটা উনি স্বীকার করে নিয়েছেন৷ বাকিটা আমি বাংলার মানুষের উপরে ছেড়ে দিলাম৷’

রাজনীতিতে পা দেওয়ার ঘোষণা করেই এ দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করেই তাঁকে তীব্র আক্রমণ করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ‘একটা লোক আছে তালপাতার সেপাই৷ তাঁকে তাঁর দলের সবাই সেনাপতি বলে ডাকে৷ তাঁর খুড়তুতো শ্বশুরের অ্যালকেমিস্ট বলে একটা কোম্পানি ছিল৷ তাঁকে ব্যবহার করে এই নারদা কাণ্ড করানো হয়েছিল, কোনও স্টিং অপারেশন হয়নি৷ জানি না তিনি কোন যুদ্ধে জিতেছেন৷ সেই তালপাতার সেপাই রাজনীতিতে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন৷ তখন নিজের দলের সিনিয়র নেতাদের বদনাম করতেই তিনি এসব করিয়েছিলেন৷ কোনও স্টিং অপারেশন হয়নি৷ কেউ কেউ সেই চক্রান্তের শিকার হয়ে এখনও সেই তালপাতার সেপাইকেই সেনাপতি বলে ডাকছেন৷’

তাঁকে বিজেপি অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী করলে তিনি রাজি হবেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সরাসরি অভিষেককে চ্যালেঞ্জ করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘ভয়ে কি পালিয়ে যাবো? আমি দেখিয়ে দেব তাঁর দুর্বত্ত দলকে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়৷ ডায়মন্ড হারবারে সেই দুর্বৃত্ত দলের মোকাবিলা করেই আমি তাঁকে লক্ষ লক্ষ ভোটে হারিয়ে দেখিয়ে দেবো৷’

সম্ভবত আগামী বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ দল তাঁকে প্রার্থী করলে তিনি ভোটে লড়তেও প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি৷ যদিও সূত্রের খবর, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সম্ভবত তমলুক থেকে প্রার্থী করার কথা ভেবে রেখেছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব৷

Diamond Harbour News: ভয়ঙ্কর কাণ্ড ডায়মন্ড হারবারে! গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হল এক চিকিৎসকের দেহ! চাঞ্চল্য এলাকায়

ডায়মন্ড হারবার: ভয়ঙ্কর কাণ্ড! গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হল এক চিকিৎসকের দেহ। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ এলাকায় ছড়িয়ে চাঞ্চল্য। ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই কর্মরত ছিলেন তিনি।

জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসক তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। রবিবার গভীর রাতে পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন তিনি। পরিবারের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পুলিশকে সবটা জানান। সবটা শুনে পুলিশ সেখানে পৌঁছয়, আর গিয়েই দেখে ঘটে গিয়েছে সেই মারাত্মক ঘটনা।

আরও পড়ুন: একটানা ৩ দিন দুর্যোগ! কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আকাশ কাঁপিয়ে নামবে বৃষ্টি, জানুন ওয়েদারের তোলপাড় করা আপডেট

গভীর রাতে মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের কোয়ার্টারে পুলিশ কর্মীরা পৌঁছে দেখেন গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রয়েছে ওই চিকিৎসক। এরপরই তাঁকে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: যাত্রী বোঝাই বাসে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা লরির! বিকট শব্দ, মুহূর্তেই ভয়ঙ্কর পরিণতি

আপাতত তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে খবর  পুলিশ সূত্রে। তবে কী কারণে মৃত্যু? তা অবশ্য এখনও ধোঁয়াশা। তার তদন্ত শুরু করেছে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে মানসিক অবসাদ থেকেই তিনি সম্ভবত এই পথ বেছে নেন চিকিৎসক। তবে এখনও জোর দিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।

আনিশ উদ্দিন মোল্লা

Bengali News: চিংড়ি খালি ফোর্ট কোথায় আছে জানেন? এই ইতিহাস কি সত্যি হারিয়ে যাবে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এক সময় হুগলি নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছিল ডায়মন্ডহারবারের বিশাল কেল্লা। যার তৎকালীন নাম ছিল ‘চিংড়ি খালি ফোর্ট’। তবে এই কেল্লা পর্তুগীজ নাকি ইংরেজ, কারা তৈরি করেছিল তা নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে।

হুগলী নদীর সৌন্দর্য আর কেল্লার ঐতিহাসিক গুরুত্বের টানেই ডায়মন্ডহারবারের কেল্লার মাঠ হয়ে উঠেছিল জেলার অন্যতম পিকনিক স্পট। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা আসতেন চিংড়ি খালি কেল্লার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। তবে দীর্ঘদিন সংরক্ষণের অভাবে বর্তমানে কেল্লার প্রতিটি অংশই কার্যত নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে, কমেছে পর্যটকদের আনাগোনা।

আরও পড়ুন: ৭০০ বছরের পুরনো ইতিহাস শেষের পথে

অথচ আজ‌ও ডায়মন্ডহারবারে ঘুরতে আসার মূল আকর্ষণই হল পুরাতন কেল্লা। চিংড়ি খালি কেল্লা সংলগ্ন হুগলি নদীর মনমুগ্ধকর সৌন্দর্য্য তো আছেই, সঙ্গে আছে নৌকা বিহারের আনন্দ এবং জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য। যা আনন্দ দেয় পর্যটকদের।

এছাড়া ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ ও খেজুর গাছের সারির মাঝে হঠাৎ করেই নিজেকে আবিষ্কার করে বিস্মিতও হয়ে যেতে পারেন সবুজপ্রেমী মানুষেরা। তবে একসময় যে কেল্লার সৌন্দর্যের টানে দূর দূরান্ত থেকে ভ্রমন পিপাসু মানুষদের আনাগোনা শুরু হয়েছিল ডায়মন্ডহারবার শহরে, সে কেল্লার ছিটে ফোঁটাটুকুও আর অবশিষ্ট নেই। যা রয়েছে তা কেবল ছড়িয়ে থাকা, নোনা ধরা ইঁটৈর কয়েকটি স্তূপ।

দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই, বিলিন হতে বসেছে দেড়শো বছরেরও বেশি পুরনো এই কেল্লা। ফলে ঘুরতে আসা পর্যটকরা কার্যত নিরাশ হয়েই বাড়ি ফিরছেন। ঘুরতে ভালোবাসা মানুষের সংখ্যা ধারাবাহিক ভাবে কমতে থাকায় প্রভাব পড়ছে শহরের পর্যটন শিল্পেও। বিধ্বস্ত হচ্ছেন আঞ্চলিক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় হোটেল মালিকরা। তবে এই বিষয়ে ডায়মন্ডহারবার পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, কেল্লা সংলগ্ন বেশ অনেকটা জায়গা সেনাবাহিনীর অধীনস্থ। ফলে এখানে কোন‌ও প্রকার সংরক্ষণমূলক কাজ করার জন্য কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমতির প্রয়োজন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তৎকালীন সময়ে কেল্লায় ছিল লাইটহাউস, জোড়া কামান। ২০০৩ সালে কেল্লার অবশিষ্টাংশের সংস্কার ও সংরক্ষণের জন্য কেন্দ্রকে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আজও তার অনুমতি না পাওয়ায় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোনরুপ পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে কেল্লার মাঠটির পরিচর্যার দিকে বিশেষভাবে নজর দিয়েছে ডায়মন্ডহারবার পুরসভা। গড়ে তোলা হয়েছে শিশুদের খেলার স্থান, অতিথি ভবন। সব মিলিয়ে বছরভর যে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকত ডায়মন্ডহারবার শহরের কেল্লার মাঠে, বর্তমানে তার কিছুটা অংশেরই দেখা মেলে শীতের মরসুমটুকুতে। তাও ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে একেবারেই নয়। নিতান্তই পিকনিক স্পট হিসাবে। ফলে এই স্থানটিকে সংরক্ষণ করার দাবি উঠেছে আরও জোরালোভাবে।

নবাব মল্লিক