তাঁত যন্ত্রের সঙ্গে তাঁতিরা

District Durga Puja 2024: সামনে পুজো! সাংস্কৃতিক পোশাক তৈরির ব‍্যস্ততা রাভা তাঁতিদের

আলিপুরদুয়ার: পুজোর আগে দারুণ ব‍্যস্ততা রাভা পাড়ায়। সাংস্কৃতিক পোশাক তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। পুজোয় এই পোশাক পরেই দেবী দর্শন করবেন তারা। সাংস্কৃতিক পোশাক নিজেদের বাড়ির তাঁতে বুনেই পড়েথাকেন রাভা জনজাতির মহিলা,পুরুষেরা। এই পোশাক বাইরে কিনতে পাওয়া যায় না। উত্তরবঙ্গের রাভা জনজাতির রাভা পুরুষেরা যে পোশাক পরেন তা কালাইপোকার নামে পরিচিত। রাভা মহিলাদের পোশাকের নাম লুফন,কাম্বান। যা মেখলা,চাদর নামেও পরিচিত।

আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টির জেরে সবজি পৌঁছাচ্ছে না বাজারে, প্রভাব পড়ছে দামে

প্রাচীনকাল থেকে এই পোশাক তাঁতে বুনে পরিধান করছেন রাভা মহিলা ও পুরুষেরা।রাভা পুরুষদের চাইতে মহিলারা বেশি তাঁতে পোশাক তৈরির কাজ করে থাকেন।তবে পোশাক বিক্রির স্থায়ী ঠিকানা নেই তাদের। পোশাক বিক্রি করতে হলে ভরসা স্থানীয় হাট। আলিপুরদুয়ারে মেন্দাবাড়ি,পোরো,ফালাকাটার দেওগাঁও সহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে রাভাদের গ্রাম।রাভাদের সাংস্কৃতিক পোশাক বাইরের বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না।তাই রাভাবস্তিগুলিতেই নিজস্ব তাঁতে কাপড় বুনে নেন মহিলারা। রাভাবস্তিতে গেলে শোনা যায় তাঁত যন্ত্রের খট খট শব্দ।এই তাঁত যন্ত্রে কাজ বংশ পরম্পরায় করে আসছেন রাভা জনজাতির মহিলারা।

বাড়ির কাজ সামলে মেয়েদের পরনের লুফন,কাম্বান তৈরি করেন তারা।রাভা সংস্কৃতির পোশাক বাঁচিয়ে রাখতেই তাঁত চালান মহিলারা।সর্জিনা রাভা নামের এক তাঁত শিল্পী জানান, নতুন প্রজন্ম যদি আকর্ষিত না হয় এই কাজে তাহলে আমাদের সাংস্কৃতিক পোশাক হারিয়ে যাবে। এই শিল্প বৃহদাকার লাভ করুক এটাই আমরা চাই।এই পোশাক বিক্রির স্থায়ী ঠিকানা থাকা প্রয়োজন।\”বাড়ির কাজ সামলে পুজোর জন‍্য পোশাক তৈরির কাজ করছেন এই মহিলারা।পুজোর আগে লাভের মুখ দেখবেন বলে বাড়তি কিছু পোশাক তৈরি করে রাখছেন তারা।এগুলি হাটে গিয়ে বিক্রি করবেন তারা।

অনন্যা দে