পুরুলিয়া : মা দুর্গার আগমনের সুর বেজে উঠেছে। চারিদিকে কাশফুলের দোলা। বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে সর্বত্র। কিন্তু এই উৎসবের মাঝেও বিষাদের সুর পুরুলিয়ার আড়শা ব্লকের বামুনডিহা গ্রামের যোগীপাড়ায়। থিমের বাজারে কদর কমেছে ডাক শিল্পের। তাই আগের মতআর বরাত নেই ডাক শিল্পীদের। আগে বেশিরভাগ পুজো কমিটিতে ডাকের সাজের দুর্গা মূর্তি তৈরি হত তাই সেই সময় বরাতও মিলত অনেক। বর্তমানে কয়েকটি বনেদিপরিবার থেকে বরাত মেলে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের ভারসাম্য রক্ষায় গবেষকের লক্ষাধিক ম্যানগ্রোভ রোপন সুন্দরবনে
সর্বজনীন পুজোগুলিতে ডাকে সাজের কদর কমেছে। একটা সময় ছিল দুর্গোৎসবের সময় এক প্রকার নাওয়া খাওয়া ভুলে ডাকের কাজ করতে হততাদের। কিন্তু সে সব সোনালী দিন আজ অতীত। অভাব গ্রাস করছে পরিবার গুলিতে। অনেকেই পেটের টানে এই পেশা বদল করে অন্য কাজে যোগ দিয়েছে। কদর কমে যাওয়ায় মন ভার ডাক শিল্পীদের।
এ বিষয়ে ডাকশিল্পী গোপাল যোগী বলেন , পূর্বপুরুষদের আমল থেকে তিনি এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। আগের মত আর বরাত নেই তাদের। যা আয় হয় তাতে কোনও রকমেসংসার চলে। পুজোতে মোটামুটি বরাত পেয়েছেন তিনি।একটা সময় ছিল এই ডাক শিল্পের অনেকখানি কদর ছিল। শুধু জেলা নয় ভিন রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকেও এই শিল্পীদের বরাত আসত।
ডাকের কাজের চাহিদা এতখানি ছিল যে তারা হিমশিম খেয়ে উঠতেন উৎসবের মরশুমে। আজ হাতে গোনা কয়েকটি বরাত মেলে। সংসার চালাতে এই শিল্পের পাশাপাশি অন্যান্য কাজেও যোগ দিতে হয় শিল্পীদের। আক্ষেপের সুর তাদের গলাতে। তবুও এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ডাক শিল্পীরা।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি