Tag Archives: devi durga

Durga Puja 2024: এই প্রথম বর্ধমানের সেপাই ঘোড়া সাজাবে কলকাতার পুজো প্যান্ডেল, দেখুন

পূর্ব বর্ধমান: দুর্গাপুজোর আগে সেপাই ঘোড়া পাড়ি দেবে কলকাতা। জোর কদমে চলছে তারই প্রস্তুতি। দিন কয়েক পরেই দুর্গাপুজো। বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব। জায়গায় জায়গায় এখন জোর কদমে চলছে মণ্ডপ সজ্জার কাজ। দুর্গা পুজো উপলক্ষ্যে প্রতি বছর নতুন বিষয় ভাবনা নিয়ে হাজির হয় পুজো উদ্যোক্তারা। বিভিন্ন থিমে সাজিয়ে তোলা হয় পুজো মণ্ডপ। তেমনই কলকাতার একটি পুজো মণ্ডপ সেজে উঠবে পূর্ব বর্ধমানের নতুনগ্রামের কাঠের পুতুল দিয়ে।

পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া ২ ব্লকের অন্তর্গত এই গ্রামটি বিখ্যাত তার কাঠের পুতুলের জন্য। সারা বছর দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় পাড়ি দেয় এখানকার শিল্পীদের হাতের কাজ। আর পুজোর আগে তাদের তৈরি জিনিস চলে যায় মন্ডপ সজ্জার জন্য। এবার কলকাতার একটি পুজো মণ্ডপ থেকে অর্ডার পেয়েছেন নতুন গ্রামের শিল্পী অমল ভাস্কর। তিনি জানিয়েছেন এই বার তিনি অর্ডার পেয়েছেন সেপাই ঘোড়া প্রস্তুত করার।

আরও পড়ুনঃ বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য বিনামূল্যে পাঠদান ও কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়

সেই মত এখন জোর কদমে কাজ করছেন শিল্পী অমল বাবু। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রত্যেক বছর আমার তৈরি শিল্পকর্ম পুজোর জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যায়। এই গ্রামের শিল্পীদের শিল্পকর্ম দিয়ে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় পুজো প্যান্ডেল সেজে ওঠে। এবছর কাঠের পেঁচা , দুর্গা সহ আকর্ষণীয় হচ্ছে সেপাই ঘোড়া। যা পাড়ি দেবে কলকাতা। এবছর সব মিলিয়ে আমার পুজোর জন্য দুই থেকে তিন লক্ষ টাকার অর্ডার এসেছে। আমার তৈরি শিল্পকর্ম দিয়ে কলকাতার পুজো মণ্ডপ সেজে উঠবে এটা খুবই আনন্দের বিষয়।

সেপাই ঘোড়ার পুতুল ছাড়াও, নতুনগ্রামের বিখ্যাত রাজা রানী, লক্ষী পেঁচাও তৈরি হচ্ছে। দিন কয়েকের মধ্যেই এই সব জিনিস পাড়ি দেবে কলকাতার উদ্দেশ্যে।আর তার পর পুজোর দিন গুলিতে সংশ্লিষ্ট পুজো মণ্ডপে আসা দর্শনার্থীদের সামনে ফুটে উঠবে পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামের শিল্পকর্ম।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Durga Puja 2024: পুজোর আগেই মিলছে মা দুর্গার ছবি দেওয়া কাস্টমাইজ পেপার ওয়েট, দেখুন

পশ্চিম মেদিনীপুর: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। বিভিন্ন জায়গায় চলছে দূর্গাপুজোর প্রস্তুতি। অফিস হোক কিংবা বাইরে পুজো পুজো রব। তবে বর্তমানে বাজার থেকে কিনে আনা পেপার ওয়েট নয়, পুজোর মরশুমে দুর্গার মুখ কিংবা দেবীর অবয়ব আঁকা পেপার ওয়েট ব্যবহারের চাহিদা বাড়ছে। কাস্টমাইজ পেপার ওয়েট বানিয়ে একদিকে যেমন স্বনির্ভর হচ্ছেন এক কলেজ ছাত্রী, তেমনি মার্জিত এবং ক্রিয়েটিভ পেপার ওয়েটের চাহিদা বাড়ছে মানুষের মধ্যে। পুজোর আগে দেবী দুর্গার মুখ এবং প্রতিকৃতি আঁকা পেপার ওয়েট কেনার আগ্রহ রয়েছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে।

কয়েকদিন পরেই দুর্গাপুজো। পোশাক সহ বিভিন্ন জিনিসে দুর্গার মুখ কিংবা দুর্গার ছবি কাস্টমাইজ করেন অনেকে। তবে আপনি জানেন আপনার টেবিলে ব্যবহৃত পেপার ওয়েটেও থাকতে পারে দেবী দুর্গার মুখ কিংবা ছবি। দ্বিতীয় বর্ষের এক কলেজ ছাত্রী বাড়িতেই অবসর সময়ে বানাচ্ছেন দুর্গার মুখ ও প্রতিকৃতি কাস্টমাইজ করা পেপার ওয়েট। বিভিন্ন স্টোনের উপর রং তুলি দিয়ে ফুটিয়ে তুলছেন বিভিন্ন ছবি। পুজোর আগে চাহিদা রয়েছে দেবী দুর্গার ছবি আঁকা এই পেপার ওয়েট গুলোর।

আরও পড়ুনঃ মৃতের ময়নাতদন্ত করা নিয়ে বচসা, চিকিৎসকদের মারধরের অভি‌যোগ!

পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী বেলদা থানার অর্জুনির বাসিন্দা শম্পা সেনাপতি। ছোট থেকেই তার শখ ছবি আঁকা। তবে দু এক বছর ধরে প্রচলিত ছবি আঁকার পাশাপাশি তিনি তৈরি করছেন হাতের বিভিন্ন জিনিস। একদিকে যেমন বিভিন্ন ধরনের ছবি কখনও ফেলে দেওয়া বোতল, ফেলে দেওয়া দেশলাই বাক্স কিংবা ডিমের খোলের উপর তৈরি ফুটিয়ে তুলছেন তেমনি তিনি রাস্তার ধারে পড়ে থাকা স্টোনের উপর ফুটিয়ে তুলছেন নানা ছবি। অনলাইন মাধ্যমে বিক্রি করছেন দেড়শ থেকে প্রায় তিনশ টাকা পর্যন্ত।

দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে দুর্গার মুখ, প্রতিকৃতি কাস্টমাইজ করা পেপার ওয়েট তৈরি করছেন। শুধু তাই নয়, চাহিদা মত বানিয়েও দিচ্ছেন তিনি। মূলত তার বিভিন্ন ধরনের শৈল্পিক কাজ, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে।পড়াশোনার অবসরে বাড়িতে তিনি করেন এই কাজ। বিভিন্ন হাতের কাজ বানিয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন এই কলেজ ছাত্রী।

রঞ্জন চন্দ

Durga Puja 2024: দুর্গাপুজো আসতেই ব্যস্ত এই শিল্পীরা, দেখুন

কোচবিহার: জোরকদমে চলছে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ তৈরির কাজ। এখন এমনিতেই চারিদিকে পুজোর থিমের রমরমা। তবে মণ্ডপ সজ্জায় আগের থেকে অনেক বেশি সময় লাগে এখন। ফলে শুধু মণ্ডপ শিল্পী বা ডেকরেটর্সের লোকজনই নয়। এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে আলোক শিল্পীদেরও। আর তাঁদের এই ব্যস্ততাই আরও পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিচ্ছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব একেবারে দোরগোড়ায়। বর্তমানে কোন পুজো কমিটির আলোকসজ্জা কত ভাল হল তা নিয়ে প্রতিযোগিতা হয় গোটা বাংলাজুড়ে। পুজো কমিটিগুলোর মধ্যে এই নিয়ে চলে দারুণ রেষারেষি। সেই তালিকা থেকে বাদ নেই কোচবিহার জেলাও।

আরও পড়ুন: পোষ্য বিড়ালকে মেরে ফেলার প্রতিবাদ করায় তরুণীর শ্লীলতাহানি! রায়গঞ্জে উত্তেজনা

আলোকশিল্পী নির্মল বর্মন জানান,  প্রতিবছর নতুন নতুন আলোকসজ্জা এনে দর্শকদের চমকে দেওয়ার গুরু দায়িত্ব থাকে আলোক শিল্পীদের উপর। নিত্য নতুন ডিজাইনের আলোর রোশনাই বানাতে হচ্ছে তাঁদের। দিনরাত এক করে নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা। কোচবিহারের আলোক শিল্পীদের তৈরি বাহারি নকশার আলো বিভিন্ন ছোট-বড় দুর্গাপুজো মণ্ডপকে সাজিয়ে তোলে। কাজ ও ব্যস্ততা প্রসঙ্গে কোচবিহারের আলোক শিল্পী সমর বর্মন বলেন, এই বছর অনেক জায়গা থেকে অর্ডার এসেছে। তাঁদের নিজের হাতেই তৈরি করা ডিজাইনের লাইট বোর্ড যাবে বহু জায়গায়। ফলে এই মুহূর্তে ব্যস্ততা তুঙ্গে। সারাদিন কাজ করেও অর্ডার সামলাতে হচ্ছে। তবে তাঁদের তৈরি জিনিস দুর্গা পুজোর প্যান্ডেলে ব্যবহার হয় ভেবেই খুশি তাঁরা।

ডেকোরেটার্স ব্যবসায়ী দুলাল শিকদার জানান, আলোক শিল্পীদের তৈরি নিত্য নতুন ডিজাইনের আলোর চাহিদা তৈরি হয়েছে কোচবিহারে। এই বছর কোচবিহারেও পুজো দারুন জাঁকজমকের সঙ্গে হচ্ছে। তাই আলোর রোশনাই দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণে। ইতিমধ্যে অর্ডার আসা শুরু হয়ে গিয়েছে। বাইরে থেকেও প্রচুর অর্ডার আসতে শুরু করেছে। তাঁরা সব জগতেই অর্ডার পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। আলোক শিল্পীরা দিন রাত এক করে কাজ করে যাচ্ছেন গত একমাসের‌ও বেশি সময় ধরে। এই বছর সব জায়গাতেই পুজো ভাল হচ্ছে। তাই এই বছর অর্ডারের সংখ্যা বেশ অনেকটাই বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে, কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন শিল্পীরা।

সার্থক পন্ডিত

Durga Puja 2024: অমিল হচ্ছে গঙ্গামাটি, পুজোর আগে সমস্যায় প্রতিমা শিল্পীরা

বর্ধমান: আর এক মাস পরই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। জোর কদমে বর্ধমানে কুমোর পাড়াগুলিতে প্রতিমা তৈরি কাজ চলছে। তবে এবার প্রতিমা তৈরির অন্যতম উপাদান গঙ্গামাটি পেতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন প্রতিমা শিল্পীরা। তাঁরা বলছেন, “আগের মতো আর গঙ্গামাটি পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক বেশি দাম দিয়ে গঙ্গা মাটি কিনতে হচ্ছে। তার ফলে প্রতিমা তৈরির খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আগামী দিনে এই সমস্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে”।

বর্ধমানের এই প্রতিমা শিল্পীরা অনেক আগে থেকেই কালনার বিভিন্ন ঘাট থেকে গঙ্গামাটি আনিয়ে থাকেন। সেখানে মাটি কেটে নৌকায় ঘাটে আনা হয়। তার পর ট্র্যাক্টরে সেই মাটি এসে পৌঁছয় বর্ধমানে। কিন্তু এবার গঙ্গার মাটি কাটতে দিচ্ছে না প্রশাসন। ভাঙন ঠেকাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে তারা। তার ফলে গঙ্গামাটির আকাল দেখা দিচ্ছে।

আরও পড়ুন: সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলায় ভয়ঙ্কর বৃষ্টির পূর্বাভাস! পুজোর আগেই দুশ্চিন্তা

কালনার মালতিপুর মোড় ঘাট সমেত একাধিক ঘাট থেকে গঙ্গা মাটি আসে। শুধু বর্ধমান নয়, দুর্গাপুর,আসানসোল, আরামবাগ, বাঁকুড়ার অনেক জায়গার প্রতিমা শিল্পীরাই এই মাটির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু  পুলিশ-প্রশাসনের কড়াকড়ির ফলে দেদার মাটি কাটা বন্ধ। তার ফলেই সমস্যায় পড়েছেন প্রতিমা শিল্পীরা।

আরও পড়ুন: ১০০০ টাকা নিয়ে এই দেশে গেলেই হবে ৩ লাখ, সস্তায় ছবির মতো সুন্দর বিদেশ ঘুরতে যাবেন নাকি?

প্রতিমা শিল্পীরা বলছেন,গত কয়েক দশক ধরে কালনার মালতিপুর মোড় ঘাট থেকে আমাদের এখানে গঙ্গামাটি আসে। কিন্তু এখন আর মাটি কেটে ট্র্যাক্টরে তা আনা যাচ্ছে না। পুলিশ ও ব্লক প্রশাসন খুবই কড়াকড়ি করছে। মাটি না আসায় কাজে সমস্যা হচ্ছে। অনেক বেশি দাম দিয়ে গঙ্গা মাটি কিনতে হচ্ছে। যত দিন যাবে এই সমস্যা বাড়বে বলেই আশংকা করছি আমরা।

প্রতিমা শিল্পীরা বলছেন, গঙ্গামাটির মতো দাম বেড়েছে সব সামগ্রীর। বাঁশ, দড়ি, কাঠ, রঙ, সাজ সবেরই দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে শ্রমিকদের মজুরি। অথচ সেভাবে প্রতিমার দাম বাড়াতে চান না পুজোর উদ্যোক্তারা। রাজ্য সরকার প্রতি বছর পুজো কমিটিগুলির অনুদান বাড়াচ্ছে, তাই পুজো উদ্যোক্তাদেরও প্রতিমা শিল্পীদের কথা ভাবা উচিত।

Bipattarini Puja: দুর্গার ১০৮ রূপের এক রূপ দেবী বর্গভীমা! বিপত্তারিণী পুজোয় তাঁর মন্দিরে উপচে পড়া ভিড়

পূর্ব মেদিনীপুর: বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে দিনভর বিশেষ পুজো পাঠের আয়োজন। তমলুক শহরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী বর্গভীমা। পুরানে বর্ণিত এই মন্দির ৫১ সতীপীঠের এক পীঠ হিসেবে খ্যাত। সারা বছর প্রতিদিন পুজোর পাশাপাশি বিশেষ বিশেষ তিথিতে বিভিন্ন রূপে পূজিত হন দেবী বর্গভীমা। হিন্দু শাস্ত্র মতে বিপত্তারিণী পুজো হয় এই মন্দিরে। রথযাত্রা ও উল্টো রথের মাঝের শনি ও মঙ্গলবার বিপত্তারিণী ব্রত রেখে পুজো দেন হিন্দু ধর্মের মহিলারা। আর তাই ৯ জুলাই মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে বর্গভীমা মন্দিরে ভক্তদের ভিড়।

কথিত আছে, বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই দেবীর পুজো করা হয়ে থাকে। দেবী চণ্ডীর আরেক রূপ এই বিপত্তারিণী দেবী। বিপত্তারিণী ব্রত সাধারাণত মহিলারা করে থাকেন। ১৩ রকম ফুল, ১৩ রকম ফল, ১৩ টি পান, ১৩ টি সুপারি এবং ১৩ গাছা লাল সুতোতে ১৩ গাছা দূর্বা দিয়ে ১৩ টি গিঁট বেঁধে ধাগা তৈরি করতে হয়। এরপর পুরোহিতের সাহায্যে আম্রপল্লব সহ ঘট স্থাপন করে নাম গোত্র সহযোগে পুজা দেন হিন্দু ধর্মের মেয়েরা।

আরও পড়ুন: কয়েকগুণ বেশি ফলন পেতে বীজ শোধন জরুরি, এই পদ্ধতিতে ধান গাছের পরিচর্যা করুন

পুজোর পরে শোনা হয় বিপত্তারিণীর ব্রতকথা। যা এই পুজোর অন্যতম অঙ্গ। পুজো শেষে মহিলারা লাল সুতো বাম হাতে এবং পুরুষেরা কব্জি বা বাহুতে পরেন। ব্রত কথার পর উপবাস ভঙ্গ করেন পুণ্যার্থীরা।বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে ঐতিহ্য প্রাচীন ইতিহাস বিজড়িত বর্গভীমা মায়ের মন্দিরে এদিন সকাল থেকে দেখা গেল বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে ভক্তদের আনাগোনা।

পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে হিন্দু দেবী রূপে পুজিত হন এই দেবী। সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ এবং দেবী দুর্গার ১০৮ অবতারের মধ্যে অন্যতম এই দেবী। এদিন সকাল থেকেই আবহাওয়া খারাপ হলেও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই বহু পুন্যার্থী তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে বিপত্তারিণীর পুজো দিতে আসেন।

সৈকত শী

Ujaani Shaktipeeth: ঘুরে আসুন বর্ধমানের এই মন্দিরে, মুগ্ধ হবেন আপনিও

সতীর ৫১ পীঠের মধ্যে অন্যতম হল উজানী। পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের কোগ্রামে অবস্থিত এই সতীপীঠ। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে বহু দর্শনার্থী আসেন এখানে। এই জায়গায় আরাধ্য দেবীর নাম মঙ্গলচণ্ডী হলেও দেবীর রূপ হচ্ছে দুর্গা, দশভূজা। কষ্ঠি পাথরে খোদাই করা দেবী মূর্তি অধিষ্ঠান করছে এখানে।
সতীর ৫১ পীঠের মধ্যে অন্যতম হল উজানী। পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের কোগ্রামে অবস্থিত এই সতীপীঠ। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে বহু দর্শনার্থী আসেন এখানে। এই জায়গায় আরাধ্য দেবীর নাম মঙ্গলচণ্ডী হলেও দেবীর রূপ হচ্ছে দুর্গা, দশভূজা। কষ্ঠি পাথরে খোদাই করা দেবী মূর্তি অধিষ্ঠান করছে এখানে।
প্রতিবছর পয়লা মাঘ এখানে উজানী মেলা বসে। মন্দিরের পিছনে অজয় নদ আছে। সেই অজয় নদের বালিতেই বসে একদিনের মেলা। মঙ্গলচণ্ডী, জয়মঙ্গলবার এগুলো তো আছেই।
প্রতিবছর পয়লা মাঘ এখানে উজানী মেলা বসে। মন্দিরের পিছনে অজয় নদ আছে। সেই অজয় নদের বালিতেই বসে একদিনের মেলা। মঙ্গলচণ্ডী, জয়মঙ্গলবার এগুলো তো আছেই।
মন্দিরের দায়িত্বে থাকা সোমনাথ রায় জানান, বারো মাস দেবীর অন্ন ভোগ হয়। সেই ভোগে দেবীকে মাছ দেওয়া হয়। মাছ ছাড়া দেবীর অন্ন ভোগ সম্পূর্ণ হয় না। দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন এক দিনের জন্য দেবীকে নিরামিষ খাওয়ানো হয়। তাছাড়া বারো মাস ভোগ মাছ থাকে।
মন্দিরের দায়িত্বে থাকা সোমনাথ রায় জানান, বারো মাস দেবীর অন্ন ভোগ হয়। সেই ভোগে দেবীকে মাছ দেওয়া হয়। মাছ ছাড়া দেবীর অন্ন ভোগ সম্পূর্ণ হয় না। দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন এক দিনের জন্য দেবীকে নিরামিষ খাওয়ানো হয়। তাছাড়া বারো মাস ভোগ মাছ থাকে।
অতীতে এখানে নদীর পাড়ে জঙ্গল ছিল। জঙ্গল কেটে মায়ের মন্দির তৈরি করা হয়। সেসব রাজ আমলের কথা। রাজারাই মন্দির তৈরি করেছিলেন। রায়'রা বংশ পরম্পরায় এখানে দেবীর পুজো করে আসছে।
অতীতে এখানে নদীর পাড়ে জঙ্গল ছিল। জঙ্গল কেটে মায়ের মন্দির তৈরি করা হয়। সেসব রাজ আমলের কথা। রাজারাই মন্দির তৈরি করেছিলেন। রায়’রা বংশ পরম্পরায় এখানে দেবীর পুজো করে আসছে।
মন্দিরের সেবাইত জানান, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, কানাডা থেকে বহু ভক্ত আছেন এখানে। তাছাড়া বাংলা এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তো বহু মানুষ আসেন‌ই।
মন্দিরের সেবাইত জানান, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, কানাডা থেকে বহু ভক্ত আছেন এখানে। তাছাড়া বাংলা এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তো বহু মানুষ আসেন‌ই।
মঙ্গলকোটের কোগ্রামে অবস্থিত এই সতীপীঠে আপনি চাইলে ঘুরেও আসতে পারেন। একদম অজয় নদের ধারে অবস্থিত এই মনোরম পরিবেশের জায়গা দেখে মুগ্ধ হবেন আপনিও। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। মন্দির প্রাঙ্গণেই রয়েছে থাকা এবং অন্ন ভোগ গ্রহণের ব্যবস্থা। ভোগ প্রসাদ এবং থাকার জন্য আগাম ফোন করতে হবে– ৮৩৪৮৯৬৮২৪৪ এই নম্বরে।
মঙ্গলকোটের কোগ্রামে অবস্থিত এই সতীপীঠে আপনি চাইলে ঘুরেও আসতে পারেন। একদম অজয় নদের ধারে অবস্থিত এই মনোরম পরিবেশের জায়গা দেখে মুগ্ধ হবেন আপনিও। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। মন্দির প্রাঙ্গণেই রয়েছে থাকা এবং অন্ন ভোগ গ্রহণের ব্যবস্থা। ভোগ প্রসাদ এবং থাকার জন্য আগাম ফোন করতে হবে– ৮৩৪৮৯৬৮২৪৪ এই নম্বরে।

Durga Mandir: তাজমহল যা দিয়ে তৈরি সেই বিশেষ রাজস্থানি পাথরে গড়ে উঠছে বাংলার দুর্গা মন্দির

শিলিগুড়ি: ভারত ৩৩ কোটি দেবতার দেশ। এখানে অনেক দেব-দেবীর মন্দির রয়েছে। দেবী দুর্গা এদের অন্যতম প্রধান দেবতা। হিন্দু বিশ্বাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে দেবী দুর্গা সারা দেশে নানান রূপে পূজিত হন।

কিন্তু মা দুর্গার এই মন্দির অন্যদের তুলনায় অনেকটাই বিশেষ। শিলিগুড়ি আনন্দময়ী কালীবাড়িতে আগামী ১২ এপ্রিল শুভ উদ্বোধন হবে দুর্গা মন্দিরের। এই মন্দিরের বিশেষত্ব হল, এটি হল উত্তরবঙ্গের প্রথম মাকরানা মার্বেল দিয়ে তৈরি মন্দির। মন্দিরের যে ১০ ফুটের দুর্গা মূর্তিটি রয়েছে তা একটি পাথর কেটেই বানানো হয়েছে, যার ওজন প্রায় ৮ টন।

আর‌ও পড়ুন: চৈত্রের অমাবস্যায় জমজমাট কালীপুজো, দেখতে হলে আসতে হবে এখানে

মন্দিরে কর্মরত রাজস্থানের এক শিল্পী বলেন, যে মার্বেল দিয়ে তৈরি হয়েছে আগ্রার তাজমহল থেকে শুরু করে বৃন্দাবনের প্রেম মন্দির, সেই পাথর দিয়েই এই মন্দির তৈরি হয়েছে। এই মার্বেলের বিশেষত্ব হল, যত সময় পেরোবে এর সৌন্দর্য ততটা বৃদ্ধি পাবে। রাজস্থানের এই বিশেষ মার্বেল দিয়েই এবার শিলিগুড়ির আনন্দময়ী কালীবাড়িতে তৈরি করা হচ্ছে দুর্গা প্রতিমা ও মন্দির। প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে এই মন্দিরের কাজ চলছে। রাজস্থান থেকে একটি সিঙ্গেল মাকরানা মার্বেল দিয়ে তৈরি মা দুর্গার প্রতিমা ইতিমধ্যে এসে পৌঁছেছে এখানে।

আর‌ও পড়ুন: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড! কৃষক পরিবারের ফসল বিক্রি ও ঋণ নেওয়া টাকা সহ সবকিছু পুড়ে ছাই

মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর বিশ্বাস জানান, আনন্দময়ী কালীবাড়িতে প্রায় ৯৩ বছর ধরে মা দুর্গার পুজো হয়ে আসছে। শুরু থেকেই সাধারণ মানুষদের ইচ্ছে ছিল কালী মন্দিরের পাশাপাশি এখানে যেন একটি দুর্গা মন্দিরও তৈরি করা হয়। তাই সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এই মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে। এই মন্দির পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় জায়গা হয়ে উঠবে বলে তাঁরা আশাবাদী।

অনির্বাণ রায়