ওয়াল হ্যাংগিং হাতে গৃহবধূ

Business Idea: আর চাকরি করতে হবে না…! এই কাজ একবার শিখে নিলে বাড়িতে বসেই আয় করবেন মোটা টাকা

পশ্চিম মেদিনীপুর: বর্তমান দিনে চাকরির পিছনে না ছুটে বাড়িতে অন্যান্য কাজের অবসরে হাতের নানা জিনিস বানিয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন বহু মানুষ। একইভাবে এক গৃহবধূ বাড়িতে অন্যান্য কাজের অবসরে এবং একটি বেসরকারি মাধ্যম নার্সারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকতার পর বিকেলে বাড়িতে তৈরি করছেন ঘর সাজানোর নানা জিনিস। শুধু তাই নয়, তিনি তৈরি করছেন বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ডমেড গয়না। দাম রয়েছে গ্রাহকদের নাগালের মধ্যে। অনলাইন এবং অফলাইনের মাধ্যমে গয়না বিক্রি করে মাসে বেশ আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন এই গৃহবধূ। নিজের স্বনির্ভর হওয়ার পাশাপাশি অন্যদের দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার ভাবনা।

বর্তমান দিনে মানুষ সৌখিনতা পছন্দ করেন। স্বাভাবিকভাবে পছন্দের ঘরের দেওয়ালে নানান সুন্দর সুন্দর জিনিস দিয়ে সাজিয়ে তুলতে পছন্দ করেন। বিভিন্ন ধরনের ওয়াল হ্যাংগিং দিয়ে ঘর সাজিয়ে তোলেন প্রত্যেকে। শুধু তাই নয়, বাড়ির আলমারি জুড়ে থাকে নানান ধরনের নিত্য নতুন জিনিস যা বাড়িতে বাড়তি শোভা বাড়ায়। সেই সমস্ত সৌখিন জিনিসপত্র বানিয়ে স্বনির্ভর করছেন এক গৃহবধূ। বাড়িতে অন্যান্য কাজের পর অবসর সময়ে তিনি এই ধরনের হ্যান্ড মেড জিনিস বানিয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন। তিনি তৈরি করছেন বিভিন্ন ধরনের ওয়াল হ্যাংগিং, ক্লে জুয়েলারি, মাটির থালা, বিভিন্ন কাপড়ের ব্যাগের উপর নানা ডিজাইন ফুটিয়ে তুলছেন তিনি।

আরও পড়ুন-      ঘনিয়ে আসছে ভয়ঙ্কর দুঃসময়…! বুধের রাজকীয় চালে চরম সঙ্কটে ৩ রাশি, আয়-উন্নতিতে বাধা, উথাল-পাথাল জীবন!

পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার রবীন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা নীলিমা ধাওয়া দাস। তিনি স্থানীয় একটি বেসরকারি নার্সারি বিদ্যালয় শিক্ষকতা করেন। এরপর বাড়িতে অন্যান্য কাজের অবসরে তিনি বিভিন্ন সৌখিন জিনিস তৈরি করে বিক্রি করছেন। ছোট থেকে অঙ্কন ও বিভিন্ন ধরনের ক্রাফট আইটেম তৈরির নেশা তার। সেই নেশাকে ধীরে ধীরে ব্যবসাতে পরিণত করেছেন তিনি। ক্লে, রং দিয়ে বিভিন্ন সৌখিন জিনিস যেমন তৈরি করছেন তেমনি গ্রাহকদের পছন্দমত নিত্যনতুন ডিজাইনের জুয়েলারিও বানিয়ে দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন-      শয্যাদৃশ্যে ঝড়, একাধিক পুরুষের সঙ্গে…! ১৩৬ কোটির মালকিন এই সাহসী নায়িকা, তবুও কেন ভাড়া বাড়িতে থাকেন, চিনতে পারলেন?

প্রতিটি জিনিসের দাম রয়েছে ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০০ টাকার মধ্যে। অনলাইন এবং অফলাইন দুই মাধ্যমে বিক্রি করছেন সেগুলো। পুজোর মরশুমে কিংবা সারা বছর এই জিনিস বিক্রি করে মাসিক বেশ ভাল আয় জুটছে তার। শুধু তাই নয়, বর্তমান যুব প্রজন্মকে দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার ভাবনা। স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন কাজের অবসরে একাধিক জিনিস বানিয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন এই গৃহবধূ।

রঞ্জন চন্দ