আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : উৎসবের মেজাজে বাঙালি। মহাষষ্ঠী থেকে পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে পুজো। পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা মানুষের ভিড় রাস্তায়। ছোট বড় বিভিন্ন মন্ডপের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে দর্শকদের জন্য। থিমের লড়াইয়ে কোনও পুজো উদ্যোক্তা একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার প্রয়াস করতে ছাড়েনি। এমন অবস্থায় বেশ কিছু পুজো কমিটি দর্শকদের নজর কেড়ে নিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম আসানসোলের ধেমোমেন কোলিয়ারির দুর্গা পুজো। এবার তাদের থিম তাজ হোটেল।
প্রসঙ্গত, বিগত দু’বছর ধরে এই পুজো কমিটি জেলাবাসীর সকলের নজরে রয়েছে। কারণ বিগত দু’বছরে তাদের থিম ব্যাপকভাবে দর্শকদের মুগ্ধ করে তুলেছে। পুজো উদ্যোক্তারা বিগত এই কয়েক বছরে বিভিন্ন বিখ্যাত ইমারত মণ্ডপের থিম হিসেবে বেছে নিয়েছে। উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনা মত তার বাস্তবায়ন নিখুঁতভাবে করেছেন শিল্পী। সবমিলিয়ে পুজোর সময় তা দর্শকদের কাছে ব্যাপকভাবে উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। ফলে পুজোর আয়োজনে সফলতা পেয়েছেন কমিটির সদস্যরা।
আরও পড়ুন : হ্যান্ডশেক করুন তারকাদের সঙ্গে! ঠাকুর দেখতে বেরিয়েই দেখা পাবেন, কোথায়? দেখুন
উল্লেখ্য আসানসোলে কোলিয়ারি যতগুলি পুজো হয় তার মধ্যে ধেমোমেন্ট কোলিয়ারির পূজো অন্যতম বড় বিগত ২ বছরে তাদের থিম ছিল বুর্জ খলিফা এবং টুইন টাওয়ার এই দুটি মন্ডপ তৈরি করে তারা আসানসোল সহ গোটা পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাছেই ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিগত দুটি বছরেই প্রচুর সংখ্যায় দর্শকদের ঢল নেমেছিল এই মন্ডপে। তাই এবছর তারা থিম হিসেবে বেছে নিয়েছেন মুম্বইয়ের তাজ হোটেল।
আরও পড়ুন : একটা মোমবাতিতেই বেরিয়ে যাবে পুজোর ষষ্ঠী থেকে দশমী, বাজারে ধামাকা! আজই আনুন…
জানা গিয়েছে, এবছর ধেমোমেন কোলিয়ারির পুজো ৫৩ তম বর্ষে পা রেখেছে। বাজেট রাখা হয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। এই পুজোয় খনি শ্রমিকরা চাঁদা দেন। আসানসোলের পুরানো এবং বড় পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এই মন্ডপ ‘তাজ হোটেলে’ আলোকসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন চন্দননগরের শিল্পীরা। এছাড়াও দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে একাধিক ব্যবস্থা রয়েছে। মন্ডপ চত্বরে রয়েছে এমারজেন্সি মেডিকেল ব্যবস্থা। রয়েছে মহিলাদের জন্য শৌচাগার। যে কোনও বিশৃঙ্খলা এড়াতে থাকছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
নয়ন ঘোষ