হুগলি: বছর পরে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মা আসেন তার ছেলেমেয়েদের নিয়ে। এই যে এক বছরের অপেক্ষা, আগামী বছরের পুজো আসার জন্য সেই প্রতীক্ষাকে এবার মণ্ডপ শয্যার থিম হিসেবে তুলে ধরেছেন ভদ্রকালী বলাকা সার্বজনীন দুর্গোৎসব। ১০৯ তম বছরে তাদের নিবেদন প্রতীক্ষা। বিজয় দশমীর পর থেকে আবারও দিনগুলো শুরু হয় আসছে বছর আবার হওয়ার, অবশেষে যখন পুজোর দিন আসে তখন মানুষ যেভাবে আনন্দে মেতে ওঠে তাকেই ফুটিয়ে তুলেছেন মন্ডপ শয্যায় শিল্পীরা।
হুগলি জেলার অন্যতম প্রাচীন বারোয়ারি পুজো গুলির মধ্যে একটি হল ভদ্রকালী বলাকা দুর্গোৎসব। ১০৯ বছরের পদার্পণ করেছে এ বছর তাদের দুর্গাপুজো। জেলার সেরা দুর্গা পুজোদের মধ্যে অন্যতম বলাকার দুর্গোৎসব।
তবে প্রতিবছরের মতনই এ বছরও নতুন চমক নিয়ে হাজির হয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। উৎসবের মরশুমে উতসবের আনন্দ রং ও চিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছেন তারা মন্ডপ সজ্জার মধ্যে দিয়ে। কাপড় দড়ি জাল রঙিন আলো দিয়ে তৈরি হয়েছে গোটা মন্ডপ। মূলত উৎসবের দিনে যে উজ্জ্বল রং তাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মন্ডপের মধ্যে।
মন্ডপের ভেতরে প্রবেশ করলে আলোকময় দুনিয়ার মধ্যে প্রবেশ করার মতন অনুভূতি দেয়। মন্ডপের মধ্যে থাকা দেবী দুর্গার মূর্তিও মন্ডপ অনুকরণে তৈরি। টানা চোখের দুর্গা ঠাকুর নজর কেড়েছে দর্শনার্থীদের। ষষ্ঠী থেকেই উপচে পড়া ভিড় মণ্ডপের মধ্যে। দূর দূরান্ত থেকে বহু দর্শনার্থী তারা আসছেন বলাকা সার্বজনীনের দুর্গা ঠাকুর দেখার জন্য।
রাহী হালদার