মুর্শিদাবাদ: ৪২০ বছর ধরে মা পেটকাটি দুর্গার নিরঞ্জন পর্ব চলে আসছে একই ভাবে। পেটকাটি রূপেই দুর্গাকে পুজো করে চলেছে গদাইপুরের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। ‘পেটকাটি দুর্গা’ বলে পরিচিত মা। একাদশীর দিনে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হল জঙ্গিপুর শ্মশানঘাটে।
কথিত আছে, ৪০০ বছরেরও বেশি সময় আগে এই দুর্গাপুজোর সূচনা হয়। সেই সময় বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার আর্থিক ভাবে সম্পন্ন ছিল। কথিত আছে, দুর্গাপুজোর জন্য এক দরিদ্র ব্রাহ্মণকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। স্ত্রী ও একমাত্র কিশোরী মেয়েকে নিয়ে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের মন্দিরের পাশে থাকতেন সেই পুরোহিত।
কোনও এক বার সন্ধিপুজোর সময় পুরোহিতের মেয়ে পুজোর উপচার তৈরি করছিল। হঠাৎই সে নিখোঁজ হয়ে যায়। এক মাত্র মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে দেবীর সেবায়েত মূর্তির সামনেই হত্যে দিয়ে পড়েছিলেন সারা রাত। পরের দিন দেবীর নির্দেশ মতোই পুজোয় ছাগ বলি দেওয়া হয়। এর পরই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। সেই থেকে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের দেবী পেটকাটি দুর্গা নামে পরিচিত। ক্রমে সেই গল্প লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে।
দশমীর দিনে পুজো সম্পন্ন হতেই একাদশীর দিনে প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব চলে। রঘুনাথগঞ্জ ও জঙ্গিপুর ভাগীরথী নদীর তীরে দর্শনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। জঙ্গিপুর শ্মশানঘাটে নিরঞ্জন পর্ব করা হয় । বর্ণাঢ্য বাইচ করে নিরঞ্জন পর্ব দেখতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ ।
কৌশিক অধিকারী