দক্ষিণবঙ্গ, লাইফস্টাইল, হাওড়া Health Risks of Night Shifts: রাত জেগে কাজ? অজান্তেই শরীর বাসা বাঁধবে জটিল রোগ, সতর্ক থাকতে কী কী করবেন জানুন চিকিৎসকের এই পরামর্শ Gallery October 21, 2024 Bangla Digital Desk রাত জেগে কাজের অভ্যেস? শরীরে বাসা বাঁধতে পারে জটিল রোগ,নিজেকে সুস্থ রাখবেন কোন উপায়ে! আধুনিক যুগে ছোট-বড় সবাই ডিজিটাল টেকনোলজিতে এতটাই বেশী আসক্ত যে সবকিছু ভুলে শুধু ভার্চুয়াল জগৎ নিয়েই সারাক্ষণ পড়ে থাকি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবন কঠিনতম হয়ে উঠেছে। বদলে যাচ্ছে কাজের সময়। কর্মব্যস্ত জীবনে প্রায়ই রাত জাগতে হয়। কাউকে আবার নাইট ডিউটি করতে হয় প্রায়ই। তবে জানেন কি এই অতিরিক্ত রাত জাগার ফলে হতে পারে একাধিক শারীরিক সমস্যা। শরীর সুস্থ রাখার উপায় জানাচ্ছেন বিশিষ্ট ডাক্তারবাবু। চিকিৎসকদের মতে, আপনি যদি পরপর তিন দিন রাতের শিফট করেন তাহলে আপনার হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু তাই নয়, ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবিটিসও হয়ে যেতে পারে আপনার। বর্তমানে এই সমস্যা অনেকেরই হয়। তার প্রথম এবং প্রধান কারণ রাতে জেগে থাকা। সে আপনি কাজই করুন, আর সিনেমাই দেখুন,ক্ষতি কিন্তু একই। তবে কাজ করলে ক্ষতি একটু বেশি। কারণ সিনেমা দেখলে বা বই পড়লে যে পরিমাণ এনার্জি খরচ হয়, কাজ করলে আরও বেশি এনার্জি খরচ হয়। স্বাভাবিক রুটিন প্রতিনিয়ত ব্যহত হওয়ার জন্য দেহের ‘ন্যাচারাল ক্লক’ও ঠিক থাকে না। ফলে রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। তাই রাতে ঘুম অত্যন্ত জরুরি। প্রতিটি মানুষের শরীরে একটি নির্দিষ্ট সময় মেনে কাজ করে। সারাদিন পরিশ্রমের পর রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আপনি যদি রাত জেগে কাজ করেন সেক্ষেত্রে সময়ের পার্থক্য আপনার শরীর বুঝতে পারে না ফলে তৈরি হয় নানান সমস্যা। রাত জেগে কাজ শরীরের স্বাভাবিক সার্কাডিয়ান ছন্দের ব্যাঘাত ঘটায়। এই সার্কাডিয়ান ছন্দ বিভিন্ন জৈবিক ক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি হাইপোথ্যালামাসের মধ্যে থাকা সুপারাকিয়াসমেটিক নিউক্লিয়াস শরীরের মূল তাপমাত্রা এবং অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলিকে প্রভাবিত করে, পাশাপাশি ঘুম-জাগরণ চক্রকেও নিয়ন্ত্রণ করে। রাত জাগার ফলে স্থূলতা, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপের মত বিপাকীয় ব্যাধিগুলির ঝুঁকির বেড়ে যায়। ব্যাহত সার্কাডিয়ান ছন্দ, খারাপ ঘুমের মান এবং অনিয়মিত খাওয়ার ধরণ, বিপাক প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। রাত জাগার ফলে যাদের ট্রাইগ্লিসারাইড এবং উচ্চ কোলেস্টেরল রয়েছে তাঁদের কার্ডিওভাসকুলার এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সম্ভবনা বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে রাত জাগলে আবার রাতে ঘুমের অভ্যেস করাও কঠিন হয়ে পড়ে। আর তাই রাত জাগলে খাবারে অবিলম্বে রাশ টানা প্রয়োজন। তেল-মশলা, কফি এড়িয়ে চলবেন। সেই সঙ্গে খাদ্যতালিকায় যা যা রাখবেন:- জল – বেশি পরিশ্রম করলে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়। এমনকী বসে কাজ করলেও পর্যাপ্ত জলের প্রয়োজন। আর তাই রাতে কাজ করলে একঘন্টা ছাড়া ছাড়া এক গ্লাস জল খান। এতে শরীর জলশূন্য হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। বাদাম- রাতে খিদে পেলে ফ্রিজ খুলে চকোলেট খান? বাদ দিন এই অভ্যেস। খিদে পেলে একটা কাজুবাদাম কিংবা দুটো আমন্ড খান। এতে পেট ভরবে আর শরীরও ভালো থাকবে। সেই সঙ্গে ঘুমও ভালহয়। আর কাজের মাঝে খেলে মনও ভালথাকে। খেজুর- গুড় দিয়ে রুটি খেতেই পারেন। আর না চাইলে শুকনো খেজুর খান কাজের মাঝে | খেজুরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ থাকে যা এনার্জি দেয়, রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রতিদিন ২-৩টে খেজুর অবশ্যই খান। (তথ্য-রাকেশ মাইতি)