ডানদিকে দাউদাউ করে জ্বলছে ডাম্পার। বাঁদিকে আগুন নেভানোর পরের ছবি।

Accident: চলন্ত গাড়িতেই আগুনে জ্বলে-পুড়ে সব শেষ! পুড়ে ছাই জীবন্ত মানুষ, ভোররাতে বর্ধমানে ভয়ঙ্কর ঘটনা

কাঁকসা: ভোররাতের রাস্তা তখন লরি, ডাম্পার আর ভারী পণ্যবাহী গাড়ি চালকদের দখলে। নিজের তালেই আসছিল একটি ডাম্পার। কিন্তু হঠাৎ যে এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তা কেউ জানতেন না। ছোট্ট একটা দুর্ঘটনা। আর তাতে গাড়ির কেবিনে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারালেন গাড়ির সহকারী। যে ঘটনা দেখে সেখানে উপস্থিত অন্যান্যরা রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছেন।

কীহয়েছিল? স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, একটি ডাম্পার বীরভূমের দিক থেকে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। সেই ডাম্পারটি কাঁকসার হাসপাতাল মোড়ের কাছে অন্য একটি গাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে। তার ফলে সঙ্গে সঙ্গে ওই ডাম্পারটিতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। যার খেসারত দিতে হয়েছে গাড়ির খালাসীকে। প্রাণ বাঁচানোর বিন্দুমাত্র সুযোগ তিনি পাননি।

আরও পড়ুন: কোন ওয়েবসাইটে মাধ্যমিকের ফল দেখবেন? মার্কশিট হাতে পাবেন কখন? এক ক্লিকে জানুন

স্থানীয়রা বলছেন, ওই ডাম্পারটি সামনের গাড়িতে ধাক্কা মারা মাত্রই, গাড়ির ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। আর মুহূর্তের মধ্যে সেই আগুন গ্রাস করে নেয় চালকের সমগ্র কেবিনটিকে। ভোররাতের রাস্তায় দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। আর সেই আগুনে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে গাড়ির খালাসির। যদিও কোনওক্রমে চালক গাড়ি থেকে নামতে পেরেছিলেন। যার ফলে তিনি প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।

আরও পড়ুন: এই গরমে ডাল-ভাতই সেরা, মুগ-মুসুর ডাল মিশিয়ে খেলে কী হয়? কাদের জন্য ‘মহৌষধ’ হতে পারে জানুন

ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে ছুটে আসে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। ভোর চারটে নাগাদ এই দুর্ঘটনা হয়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এসে বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় গাড়ি আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই ঘটনায় ওই ডাম্পার চালকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই বলছেন, রাতের রাস্তায় খালাসীর অপরিপক্ক হাতে এইভাবে গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। যার ফলে এমনভাবে দিতে হচ্ছে প্রাণের খেসারত।

নয়ন ঘোষ