তৈরি হচ্ছে দইয়ের জন্য মাটির পাত্র

Earthen Pot: এই গ্রামের ঘরে ঘরে দই রাখার মাটির হাঁড়ি তৈরি হয়, কেনে রাজ্যের সব মিষ্টি দোকান

পূর্ব মেদিনীপুর: মিষ্টি দোকানে গিয়ে মাটির ভাঁড় বা হাঁড়িতে দই কেনার অভিজ্ঞতা কমবেশি সকলের আছে। কিন্তু দইয়ের ওই পাত্র কোথায় তৈরি হয় জানেন? এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে, মাটি দিয়ে তৈরি হয় দইয়ের এই পাত্র। তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একটি গ্রাম বিখ্যাত দইয়ের এই পাত্র তৈরি করার জন্য।

পূর্ব মেদিনীপুরের কানাচি বৃন্দাবনচ গ্রামের ঘরে ঘরে তৈরি হয় মাটির তৈরি এই দইয়ের পাত্র। জেলার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পাড়ি দেয় এখান থেকেই মাটির দইয়ের পাত্র। দই বাঙালিদের অন্যতম প্রিয়। এই দই বসানোর জন্য প্রয়োজন হয় মাটির তৈরি পাত্রের। বিভিন্ন সাইজের মাটির পাত্র তৈরি হয় দইয়ের বসানোর জন্য। মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকের কানাচি বৃন্দাবনচকের মাটির দই এর পাত্র জেলার পাশাপাশি ভিন জেলার দই ব্যবসায়ী বা মিষ্টি বিক্রেতাদের কাছেও অতিপ্রিয়।

আর‌ও পড়ুন: গোটা গ্রামের ভরসা এখন তিনি, রোহিনীর দেখানো পথেই পা সবার

এই গ্রামে মূলত কুম্ভকার সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। যাদের প্রধান জীবিকা মাটির তৈরি জিনিসপত্র তৈরি করা। তবে এই গ্রামের কুম্ভকারেরা আর পাঁচটা কুম্ভকারের থেকে আলাদা জিনিস তৈরি করে। যেখানে দেখা যায় কুম্ভকারেরা মাটির তৈরি টপ থেকে হাঁড়ি কলসি বানান। সেখানে এই গ্রামের কুম্ভকারদের প্রতিদিনের ব্যস্ততা চোখে পড়ে দুই বসানোর কাজে ব্যবহৃত মাটির তৈরি পাত্র তৈরি করতে। এটাই তাঁদের মূল জীবিকা। এই গ্রামের কুম্ভকারদের মাটির তৈরি দইএর পাত্র পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় পাড়ি দেয়।

কানাচি বৃন্দাবনচক গ্রামে ঢুকলেই দেখা যায় সারিবদ্ধভাবে মাটির তৈরি দই-এর পাত্র কাঁচা অবস্থায় রোদে শুকাতে দেওয়া রয়েছে। রোদে ঠিকঠাক শুকিয়ে নেওয়ার পর ভাটিতে ফেলে পোড়ানো হয়। এই গ্রামের কুম্ভকারেরা সারা বছর মাটির দই-এর পাত্র বানালেও বেশ কিছু কুম্ভকার দইয়ের পাত্র বানানোর পাশাপাশি পুজো অর্চনায় প্রয়োজনীয় মাটির জিনিসপত্র’ও তৈরি করেন।

সৈকত শী