বাঁকুড়া: নাচের একটা অন্যধরনের ঘরানা মুদ্রাগ্রাফি। যেখানে শুধুমাত্র প্রাধান্য পায় হাতের মূর্ছনা। এই মূর্ছনায় ফুটে ওঠে বিভিন্ন গল্প যেমন, কৃষ্ণর প্রেম থেকে শুরু করে, দেবীর আবাহন। বাঁকুড়ার লোকপুরের বাসিন্দা মনোলীনা সেনগুপ্ত বর্তমানে কলকাতা থেকে করছেন MBA। এছাড়াও ভরতনাট্যমে স্নাতকোত্তর করেছেন তিনি এবং রবীন্দ্রনৃত্যতেও করছেন স্নাতকোত্তর। এক প্রকার ইন্টারনেটের ব্যবহার করেই মুফ্রাগ্রাফি শিখেছেন মনোলীনা।
মনোলীনা সেনগুপ্ত জানান, ভারতীয় শাস্ত্র অনুযায়ী সংযুক্ত এবং অসংযুক্ত মুদ্রা ব্যবহার করে একটি কবিতা কিংবা গল্পকে ফুটিয়ে তোলাকে বলে মুদ্রা গ্রাফি। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মুদ্রাগ্রাফি ডান্স শুরু করেন মনোলীনা সেনগুপ্ত। অনলাইন মাধ্যমে মুদ্রাগ্রাফি ডান্স শেখান মনোলীনা সেনগুপ্ত।
আরও পড়ুন- ‘দাম্পত্য নিয়ে ঐশ্বর্যকে পরামর্শ দেওয়ার প্রয়োজন…’ কী বলতে গিয়ে বেঁকে বসলেন শ্বেতা-জয়া?
মনোলীনা সেনগুপ্তর বাবা পেশায় ব্যবসায়ী এবং প্রাক্তন পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত এবং নৃত্যশিল্পী এবং প্রশিক্ষক মা শর্মিলী সেনগুপ্ত যথেষ্ট অবাক হয়েছেন তাদের মেয়ের এই প্রতিভা দেখে। দুর্গাপুজোর জন্য নবদুর্গার রূপ মুদ্রাগ্রাফির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন মনোলীনা সেনগুপ্ত। এছাড়াও বই পড়ার পাশাপাশি সেতার বাজাতে পছন্দ করেন তিনি। মনোলীনা সেনগুপ্ত বলেন, “আমি ২০২১ সালে এক প্রকার নিজে থেকেই শিখে শুরু করি মুদ্রাগ্রাফি। বাঁকুড়াতে আর কেউ করে বলে আমার মনে হয় না। পাঁচ থেকে ছয় জনকে অনলাইন মাধ্যমে মুদ্রাগ্রাফি শেখাই আমি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে।”
আরও পড়ুন- এই গান গাইতে গিয়ে গলা দিয়ে রক্ত বেরিয়ে গিয়েছিল সোনু নিগমের! ২৭ বছর পরেও তা সুপারহিট!
শিল্পের যে কত ঘরানা এবং কত ধরন, সেটা যারা চর্চা করেন তারাই বোঝেন। বাঁকুড়ার মেয়ের শুধুমাত্র হাতের ওপর জোর দিয়ে মুদ্রাগ্রাফি তার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। ব্যাকগ্রাউন্ডটি অন্ধকার করে, দুই হাত গল্প অনুযায়ী মেকআপ করে, মূর্ছনার মাধ্যমে ফুটে উঠছে পৌরাণিক কাহিনী থেকে শুরু করে আধুনিক বিচ্ছেদের গল্প। সবই সম্ভব শিল্পের মাধ্যমে, করে দেখাচ্ছেন মনোলীনা।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী