পুরোনো মন্দির

Ancient Temple:বর্ষায় ভুরভুর করে জল আসে ‘উষ্ণ প্রস্রবণে’! সন্তানলাভের আশায় এই জাগ্রত মন্দিরে ভিড় করেন দম্পতিরা

রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে বিভিন্ন কাহিনী। কোনও মন্দিরে পুজো দিলে পূরণ হয় মনস্কামনা, আবার এই মন্দিরের পাশে পুকুরে স্নান করে মন্দিরে পুজো দিলে মনস্কামনা পূরণ হয় সকলের। মনস্কামনা জানিয়ে দুর দূরান্ত থেকে বহু ভক্ত আসেন এখানে। বহু কাল ধরে এই বিশ্বাসে ভিড় জমে মন্দিরে। মানুষের বিশ্বাস যাঁদের সন্তান-সন্ততি হয় না, সর্বক্ষণ রোগ জ্বালায় জর্জরিত থাকেন এই মন্দিরে এসে, পাশের পুকুরে স্নান করে পুজো দিলেই সন্তান-সন্ততি লাভ হয় এবং রোগ থেকে নিরাময় হওয়া যায়। যদিও এইসব ভক্তি মানুষের মধ্যে বিশ্বাস বাড়িয়েছে।

মেদিনীপুর জেলার আনাচে কানাচে রয়েছে নানান অজানা ইতিহাস। রয়েছে নানা কাহিনী। প্রাচীন ইতিহাস ঘিরে রয়েছে নানা কিংবদন্তি।এমন এক প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী ও নিদর্শন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরার ভগ্নপ্রায় মন্দির, কেদার ভুরভুরি ও চপলেশ্বর জীউর মন্দির। প্রায় ৭০০ বছরের প্রাচীন এই মন্দির। এই মন্দিরের সঙ্গেজড়িয়ে রয়েছে ইতিহাসের নানা কাহিনি। প্রাচীনকাল থেকেই বিখ্যাত এই কেদার ভুরভুরি।পুরো মন্দিরটাই নির্মিত পাথরে।

আরও পড়ুন : আসছে আষাঢ় পূর্ণিমা! কত ক্ষণ থাকবে এই পুণ্যতিথি? অর্থ ও সৌভাগ্য লাভে পুজো করুন এই দেবদেবীর

বহু বছর আগে শুরু হয়ে এখনও পরম্পরায় চলেছে এই কেদার ভুরভুরি চপলেশ্বর জীউর মন্দিরে এর পুজো। মন্দিরের পূর্ব দিকে রয়েছে সেই ঐতিহাসিক কেদার ভুরভুরি। এখনও মানুষের বিশ্বাস ওই কেদার ভুরভুরি একটি উষ্ণ প্রস্রবণ। জলে স্নান করলে সর্বরোগ থেকে মুক্ত হওয়া যায়। যা মন্দিরের শিবলিঙ্গর সাথে যুক্ত রয়েছে। বর্ষাকালে আজও নাকি ভুরভুর করে মাঝেমধ্যে জল উঠতে দেখা যায়। সারা বছর বিভিন্ন দিনে এখনও ভিড় জমে ভক্তদের। দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ কামনা পূরণের জন্য আসেন এই মন্দিরে।