হুগলি: একবার পুকুর ভরাট, তারপর খনন করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া। এখানেই শেষ নয়, আবারও ভরাট করে ফেলা হল পুকুরটি। তবে হাল ছাড়তে নারাজ বৈদ্যবাটি পুরসভা। আবারও সেই পুকুর খনন করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পীরতলা এলাকার একটি পুকুর খনন করার পর আবারও ভরাট হয়ে যায়। এই নিয়ে দুইবার একই পুকুর ভরাট হওয়া খনন করতে হয় পুরসভাকে। এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বছর চারেক আগে বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে পীরতলা এলাকায় পুকুর ভরাট করার অভিযোগ উঠেছিল। প্রাক্তন কাউন্সিলর শঙ্কর দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে তৎকালীন পুরকর্তৃপক্ষ দাঁড়িয়ে থেকে সেই পুকুরটি খনন করার কাজ করে। কিন্তু প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আবারও সেই পুকুর বোজানোর কাজ শুরু হয়। এই নিয়ে একাধিকবার পুর কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানান স্থানীয়রা। অবশেষে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বুধবার বৈদ্যবাটির পুরপ্রধান পিন্টু মাহাত পূর্ত দফতরের পুর পারিষদ সুবীর ঘোষকে নিয়ে উপস্থিত হন ঘটনাস্থলে। শুরু হয় পুকুর খননের কাজ।
আরও পড়ুন: রেলের চাকরি পেয়েও করতে পারেননি এই প্রাক্তন মহিলা ভলিবলার! জানুন তাঁর কাহিনী
প্রসঙ্গত পুর প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে জলাশয় বুজিয়ে বেআইনি আবাসন তৈরি, সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাওয়া নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই বিভিন্ন পুরসভা সক্রিয় হয়ে ওঠে। বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ শুরু হয়।
উল্লেখ্য, বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড এনসি ব্যানার্জি রোড এলাকায় একটি ১৭ শতক পুকুর ভরাট হয়ে গিয়েছিল। হাইকোর্ট ও মৎস্য দফতর থেকে পুরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পুকুরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে। ২০১৭ সালের পর থেকে টালবাহানা চলতে থাকে। পুরসভার কাছে ওই পুকুর খননের টাকা নেই বলে জানানো হয়।ফলে সেই পুকুর এখনও বোজানো অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। বৈদ্যবাটির পুরপ্রধান পিন্টু মাহাত এই প্রসঙ্গে বলেন, পুকুর বোজানোর খবর পেয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব। সাধারণ মানুষ অনেক সময় অভিযোগ করেন না। সে ক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের বলেছি তাঁরা যেন অভিযোগ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলছেন, এ ধরনের অসামাজিক কাজ করা যাবে না। আমরাও সেই মত চলছি।
রাহী হালদার