বাঁশ পুজো 

Jalpaiguri News: বাঁশ হাতে গ্রাম প্রদক্ষিণ পুরুষদের, পেছনে নৃত্যরত মহিলারা! হচ্ছেটা কী? উপচে পড়ছে ভিড় এলাকায়

জলপাইগুড়ি: কথায় আছে, বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। বিশ্বাস তর্ক আলাদা রেখে, মনস্কামনা পূর্ণ হলেই এই অদ্ভুত পূজো করে এখানকার মানুষজন। কী পুজো? কী নিয়মে করা হয় এই পুজো? কোথায়ই বা হয় জানেন? মনস্কামনা পূর্ণ হলেই নিয়ম আচার মেনে নিষ্ঠা-সহকারে পুজো করা হয় বাঁশ এবং পতাকার। অবাক হবেন না। এটাই জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের বাসিন্দাদের দীর্ঘ কালের রীতি। সেই রীতিনীতি আচার-সহ সুসজ্জিত বাঁশ হাতে ঐতিহ্যবাহী মদনকামের পুজোতে মাতল এলাকার বাসিন্দারা।

জানা গিয়েছে, মূলত এলাকাবাসীদের কারোর কোনও মনস্কামনা পূরণ হলেই এই পুজো করেন তারা। ক্রমবর্ধমান তাপপ্রবাহের কবল থেকে রেহাই পাইনি উত্তরবঙ্গও। জমির ফসল রোদের তাপে খেতেই শুকিয়ে মারা যাচ্ছে, ফলত আর্থিক প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে এলাকার কৃষকদের। অনাবৃষ্টিতে ফলনে ব্যাঘাত ঘটছে। আর এর জন্যেই বৃষ্টির দেখা চেয়ে মনস্কামনা করেছিলেন এলাকাবাসীদের একাংশ।

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

গতকাল থেকে আকাশ খানিক মেঘলা হওয়াতেই খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে এলাকা জুড়ে। মেঘলা আকাশ হওয়ার কারণেই এই পুজো শুরু করেছেন তারা। এখন এই পূজোকে ঘিরে উৎসবের চেহারা নিয়েছে পুরো এলাকা। কোথাও এই পুজোকে গ্রাম্য দেবতার পুজো বলা হয়, কোথায় আবার বলা হয় মদন কামের পুজো।

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

কীভাবে হয় এই পুজো? গ্রামের মহিলারা একত্রিত হয়ে বাঁশ গাছের ওপরে বিভিন্ন রঙের পতাকা লাগিয়ে সেই পতাকাকে পুজো করার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় মদন কামের পুজো বা গ্ৰামপুজো । নাচ গানের মধ্যে দিয়ে সুসজ্জিত বাঁশ নিয়ে গ্রাম প্রদক্ষিণে বের হয় সকলে, সঙ্গে থাকে রাজবংশী সম্প্রদায়ের বিশেষ সানাই এবং ঢাক। যার তালে কোমর দোলায় আট থেকে আশি। গোটা গ্রামের বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে এই পুজোতে মেতে উঠেছে। পুজো দেওয়ার পর সারাদিন নিকটস্থ হাটে এবং গ্রামের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি ঘুরে বাঁশের খেলা দেখানো হয়। বেশ অভিনব এই পুজো দেখতে ভিড় জমায় আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষজন।

সুরজিৎ দে