জন্মদিন পালন

North 24 Parganas News: আদালতের নির্দেশে কোর্ট চত্বরেই মেয়ের জন্মদিন পালন দম্পতির! সমাজকে দিল বিশেষ বার্তা

উত্তর ২৪ পরগনা: বর্তমানে বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ এর ঘটনা, যা নানাসময় গড়ায় আদালত পর্যন্ত। কিছু ক্ষেত্রে সম্পর্ক ঠিক হলেও, বহু সময় দেখা যায় স্বামী স্ত্রীর সুখের সেই দাম্পত্য জীবন ভেঙে যায় আদালতের রায়ে। তবে এদিন বনগাঁ আদালত যেন দেখল একেবারে ভিন্ন ছবি। যা সমাজে এধরনের বিচ্ছেদের সম্পর্ককে দিল বড় বার্তা। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটলে তার সরাসরি প্রভাব গিয়ে পড়ে সন্তানের উপর। আর তাই এদিন বনগাঁ কোর্টের অনুমতিতেই আদালত চত্বরে হল বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় চলা স্বামী স্ত্রীর চার বছরের কন্যা সন্তান সুনয়না পালের জন্মদিন।

আরও পড়ুন:  বারাসাতের এই রাস্তায় তৈরি হয়েছে মৃত্যুফাঁদ, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পারাপার

জানা যায়, সাংসারিক কারণে শম্ভুনাথ পাল ও শিপ্রা পাল বিশ্বাস ২০২২ সাল থেকে আলাদা থাকেন। তাদের মধ্যে বর্তমানে চলছে বিচ্ছেদের মামলা। তবে সে ক্ষেত্রে এখন মা শিপ্রা পাল এর কাছেই থাকছে মেয়ে সুনয়না। বাবা পেশায় হাড়োয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ভিএলই পদে কর্মরত। ফলে দীর্ঘ প্রায় সাত মাস পর মেয়েকে সামনে দেখার সুযোগ পেলেন বাবা। তবে এই বিচ্ছেদের মামলায় শিশু মনে যে গভীর প্রভাব পড়ে, সেই জায়গা থেকেই স্বামী শম্ভুনাথ পাল তার পক্ষের আইনজীবী মারফত কোর্টের কাছে আবেদন জানান মেয়ের জন্মদিন পালনের। আর তাই এদিন বনগাঁ আদালতের বিচারপতি এই বিচ্ছেদের মামলায় শিশু মনের উপর পড়া প্রভাব কাটাতে, বাবার আবেদনে সাড়া দিয়ে কোট চত্বরেই জন্মদিন পালনের অনুমতি দেন।

আরও পড়ুন: লুডো খেলার বিরাট প্রতি‌যোগিতা! পুরস্কার কী জানলে চমকে ‌যাবেন

এরপরই আদালত চত্বরে আইনজীবীদের চেম্বার সেজে ওঠে বেলুন দিয়ে। মেয়ের জন্মদিন পালনের মধ্যে দিয়ে বাবার ইচ্ছে পূরণ করতে আয়োজন করা হয় কেক সহ পুতুল টেডিবিয়ার নানা খেলনারও। এরপরই বাবার সামনে আনা হয় মেয়েকে। মেয়েকে দেখেই রীতিমতো আবেগে ভেসে যান বাবাও। জড়িয়ে ধরে মেয়ে ও বাবার এই মিলনের রীতিমতো আশেপাশে থাকা মানুষজনদেরও চোখে আসে জল। এরপরই জন্মদিন পালনে কাটা হয় কেক। কোর্ট চত্বরে ব্যস্ততার মাঝেই এমন অনুষ্ঠান দেখতে জমে যায় ভিড়। কেক বিতরণ করা হয় আইনজীবীদের মধ্যেও।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
দু তরফের আইনজীবীরাই জানান, এদিনের কোর্টের এই নির্দেশ যেন সমাজে এক বড় বার্তা দিল। এ ধরনের বিচ্ছেদের মামলায় সন্তানদের উপর যে মানসিক চাপ পড়ে, তা কাটাতে বাবা-মা সহ পরিবার-পরিজনদের এগিয়ে আসার ও সম্পর্ককে শেষ না করে বাঁচিয়ে রাখার সদিচ্ছা তৈরির বার্তা দেওয়া হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ আইনজীবীরা। আগামী দিনে এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিলেই হয়তো বেঁচে যাবে বহু সম্পর্ক মনে করছে ওয়াকিবহল-মহল।

Rudra Narayan Roy