হরিশ্চন্দ্রপুরে লাঠি উঁচিয়ে প্রতিবাদ

Bangla News: লাঠি উঁচিয়ে প্রতিবাদে মহিলারা, ভাঙন পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভে রাজ্যের মন্ত্রী ও বিডিও

মালদহ: মালদহের হরিশচন্দ্রপুরে নদী পাড় ভাঙছে ফুলহর নদী। গত কয়েকদিনে বিধ্বংসী ভাঙনে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে অন্তত পাঁচটি বাড়ি এবং প্রচুর জমি। ভাঙনের প্রহর গুনছেন আরও শতাধিক ঘরবাড়ি। আতঙ্কে বাড়িঘর ফেলে রেখে শেষ সম্বলটুকু নিয়ে নিরাপদ আশ্রয় যেতে বাধ্য হচ্ছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতিতে ফুলহর নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মন্ত্রী ও বিডিও। লাঠি উচিয়ে মন্ত্রী ও বিডিও-কে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা।

পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তড়িঘড়ি নৌকায় উঠে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর- ২ ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রশিদপুর গ্রামে।রবিবার দুপুরে নদী ভাঙন কবলিত রশিদপুর এলাকা পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল বিধায়ক তাজমুল হোসেন ও হরিশ্চন্দ্রপুর- ২ ব্লকের বিডিও তাপস পাল সহ প্রশাসনিক কর্তারা। মন্ত্রী, আমলার ভাঙন পরিদর্শনের খবর পেয়ে এলাকায় এসে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।  তড়িঘড়ি মন্ত্রী ও বিডিওকে নৌকা করে অন্যত্র কার্যত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী মজুত থাকায় বড় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরেই ফুলহর নদীর জল মারাত্মক বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এরফলে নদীর তীরবর্তী রশিদপুর অঞ্চল ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। গ্রামের দিকে বেশ কিছুটা এগিয়ে এসেছে নদী।

ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়েছে ফুলহর নদীর আগ্রাসনে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দোকান সহ বাড়ি জলের তলায় চলে গিয়েছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি ত্রাণ বা সাহায্য মেলেনি। এদিন প্রশাসনিক কর্তা সহ জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় ঢুকতেই স্থানীয়দের বাঁধার মুখে পড়তে হয়। এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, গত প্রায় একবছর ধরে তাঁরা ভাঙন সমস্যায় জর্জরিত।

বারবার স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল সাহেব এবং স্থানীয় বিডিও-র দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বাসিন্দারা। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এরই পরিণতিতে এবার ভয়াবহ ভাঙন হচ্ছে। এখন নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় নদীতে বালির বস্তা ফেলে ভাঙনরোধের কথা বলছেন মন্ত্রী,আমলারা। এতে টাকা লুটপাট হবে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে না। বিক্ষোভের মুখে পড়ে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন বলেন, রাজ্য সরকার ভাঙন সমস্যা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। কিন্তু, কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না। ফুলহরের পরিস্থিতির উপর দৈনিক নজর রাখা হচ্ছে। সেচদফতরকে বলে দ্রুত এলাকার ভাঙন সমস্যার সমাধানের চেষ্টা হবে।