কয়েলদানি 

Bangla Video: বিপদ থেকে বাঁচতে মাটির কয়েলদানির চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে, দাম কত জানেন?

উত্তর দিনাজপুর: বর্ষা নামতেই বেড়ে যায় মশার উৎপাত। সন্ধে নামতেই ঘরে ঢুকে পড়ে মশা। এই পরিস্থিতিতে মশার হাত থেকে মুক্তি পেতে গ্রামবাসীদের কয়েল বা মশা মারার ওষুধ জ্বালাতে হয়। তবে বর্ষাকালে প্রায় দিনই লোডশেডিং হয়। রাতে শোয়ার সময়ও তেমন বিদ্যুৎ থাকে না। তখন মশার উৎপাত থেকে বাঁচতে কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমোতে বাধ্য হন গ্রাম বাংলার বহু মানুষ।

এতদিন মশা মারার কয়েল জ্বালিয়ে রাখার নির্দিষ্ট পাত্র ছিল না। প্লেট বা অন্য যেকোন‌ও পাত্রের উপর কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হত। ফলে যে কোন‌ও সময় আগুন লেগে যাওয়ার একটা ভয় থেকে যায়। এই অবস্থায় চাহিদা বাড়ছে মাটির তৈরি কয়েলদানির। এই মাটির কয়েলদানির মাধ্যমে একদিকে যেমন বিদ্যুতের সাশ্রয় হয়, তেমনই অন্যদিকে অনায়াসে যেখানে সেখানে এই কয়েলদানি রাখা যায়। বাজারে এই কয়েলদানির চাহিদা তুঙ্গে। তাই হাসিমুখে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাড়িতে বসে একের পর এক কয়েলদানি বানাচ্ছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার হাটপাড়ার মৃৎশিল্পীরা। নামমাত্র দামে মৃৎশিল্পীদের হাতে তৈরি এই কয়েলদানি এখন বাজার মাতাচ্ছে।

আর‌ও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের প্রভাব, রাতে জেলার হাসপাতালে পুলিশ কর্তাদের টহল, সিভিক নিয়ে নির্দেশ

মৃৎশিল্পী খোকাবাবু রায় জানান, মাত্র ২০ টাকা দিয়ে এই কয়েলদানি তাঁরা বিক্রি করেন। অন্য কোন‌ও কিছুর উপর মশা মারার কয়েল জাললে বিপদের সম্ভাবনা থেকে যায়। কয়ল থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্রে আগুন লাগতে পারে। তাই এর থেকে বাঁচতে অভিনব উপায়ে মাটির তৈরি কয়েলদানি বিক্রি করছেন এই মৃৎশিল্পিরা। এতে আয় বেড়েছে।

পিয়া গুপ্তা