Tag Archives: clay pot
Earthen Matka: গরম বাড়তেই দেদার বিক্রি বিহারে তৈরি মাটির মটকা ও বোতল
কোচবিহার: দিনের পর দিন ক্রমশ গরম বেড়েই চলেছে। আর গরমে রীতিমত নাজেহাল সাধারণ মানুষ। গরমের মধ্যে মুহূর্তের স্বস্তি পেতে অনেকেই ঠান্ডা জল খেতে পছন্দ করেন। তবে ফ্রিজের রাখা ঠান্ডা জল বারংবার খেলে শরীরে ক্ষতি হওয়া অনিবার্য। তাইতো বর্তমান সময়ে সাধারণ মানুষের একাংশ পুরোনো দিনের জিনিসের মাধ্যমে জল ঠান্ডা রাখছেন। মাটির বিভিন্ন বাসনপত্রের মাধ্যমে জল ঠান্ডা রাখা খুব সহজেই সম্ভব। তাই গরমের মাত্রা বাড়তেই সাধারণ মানুষ আবারও ঝুঁকছে পুরনো ঐতিহ্যের দিকে। বাজারে বিক্রি বেড়েছে মাটির ফিল্টার ও বোতলের। বহু বাড়িতে এই মাটির ফিল্টার ও বোতলের চল শুরু হয়েছে নতুন করে।
কোচবিহারের এক বাসিন্দা বিমল চৌধুরী জানান, দিনের পর দিন যেভাবে গরমের মাত্রা বেড়েই চলেছে তাতে ঠান্ডা জল পান না করলে অসুস্থ হয়ে পড়বে মানুষ। তবে বারংবার ফ্রিজের রাখা ঠান্ডা জল পান করা উচিত নয়। এতে শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি হয়ে থাকে। তাইতো মাটির পাত্রে রাখা জল সহজে খাওয়া সম্ভব। মাটির পাত্রে জল রাখলে তা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ঠান্ডা থাকে। এবং জলের গুণগত মান একই রকম থাকে। তাই এই জল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেকটাই উপকারী। মূলত এই কারণেই বর্তমান সময়ে বাজারে মাটির জিনিসের বিক্রি বাড়ছে। বহু মানুষ বাড়িতে মাটির ফিল্টার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকে মাটির বোতলও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন জল মজুত করে রেখে পান করার জন্য।
আরও পড়ুন: চাঁদিফাটা গরমে বিয়ের ভোজ খেতে এসে নবদম্পতির থেকে বিশেষ উপহার পেলেন অতিথিরা
মাটির জিনিস বিক্রেতা গৌতম পাল জানান, বর্তমান সময়ে বাজারে প্লাস্টিক, তামা, পিতল ও কাঁচের বিভিন্ন ডিজাইনের বোতল পাওয়া যায়। তবে স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা সেই পুরনো দিনের মাটির জিনিসের উপর ভরসা করছেন এই তীব্র গরমে। এই বছর গরমে মাটির বোতল ও ফিল্টারের চাহিদা বেশ ভালই রয়েছে। বিভিন্ন ডিজাইনের মটকার সঙ্গে ট্যাপ লাগানোর ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে এই সকল জিনিসগুলি কোচবিহার জেলাতে তৈরি হয় না। এই জিনিসগুলি বিহার থেকে নিয়ে আসা হয় বিক্রির উদ্দেশ্যে। তবে অন্য রাজ্য থেকে এলেও দাম কিন্তু এগুলির খুব একটা বেশি বাড়ে না।
সার্থক পণ্ডিত
Business Idea: আজকের দিনে এই ব্যবসায় নামলে শুধু লাভ’ই লাভ
হাওড়া: কুম্ভকার না হয়েও মাটির ব্যবসায় নেমে সফল হতে পারেন। আধুনিক এই সময়ে বিকল্প জিনিসের চাহিদার মধ্যেই পাল্লা দিয়ে ফিরছে মাটির জিনিস। ক্রমশই বাড়ছে চাহিদা। মাটির তৈরি নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রী থেকে ঘর সাজানোর জিনিসের কদর যথেষ্ট। ফলে এই সুযোগটাকে নতুন উদ্দ্যোগপ্রতি হিসেবে আপনি কাজে লাগালে ভাল লাভ করতে পারেন।
এক সময় মাটির হাঁড়ি, কলসি সহ কয়েক ধরনের নির্দিষ্ট বাসনপত্র পাওয়া যেত কুম্ভকারের ঘরে। তবে বর্তমান সময় অনেকেই কুম্ভকার না হওয়া সত্বেও প্রশিক্ষণ নিয়ে মাটির তৈরি শৌখিন জিনিস পত্র তৈরি করতে শুরু করেছেন। এই ব্যবসায়ে হাত পাকিয়ে ভাল লাভের মুখ দেখছেন বেশিরভাগই। শৌখিন বাসন পত্র, দই ও বিরিয়ানি সহ নানা জিনিস রাখার সুনন্দন পাত্র, ডিনার সেট, জলের বোতল, কুঁজো টেবিল ল্যাম্প, হ্যারিকেন ফ্রেম সহ নানা করুকার্জময় মাটির জিনিস তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পাখির চোখে ইদের নামাজ! খুশির কিছু বিশেষ মুহূর্ত
মাঠের সামগ্রীর চাহিদা এখন গ্রাম বা শহরের ভেদাভেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং সর্বত্র তার চাহিদা তৈরি হয়েছে। মাটি তৈরি এই সমস্ত জিনিস কিনে ব্যবসা শুরু করতে পারলে লাভের পরিমাণও মন্দ নয়। প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ থেকে শুরু করে আরও বেশি হতে পারে লাভ। এছাড়া গরমকালে মাটির কুঁজো তৈরি করলে বিপুল আয় হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। কারণ গরম বহু মানুষ মাটির কুঁজো কিনে তাতে জল খান। নতুন প্রজন্মের অনেকেই ক্রমশ এই ব্যবসার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।
রাকেশ মাইতি
Howrah News: চিরাচরিত মাটির জালায় রঙের প্রলেপ! গরমে রঙিন বোতল ও কুঁজোর চাহিদা বাড়ছে
হাওড়া: প্রযুক্তির যুগেও স্বমহিমায় ফিরছে মাটির জালা, কুঁজো। গরম পড়তেই বিভিন্ন দোকানে এই জালা ও কুঁজো দেদার বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে মাটির তৈরি পেন্টেড জলের বোতলের চাহিদাও দারুণ। শুধু তাই নয়, এর দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেও। মাটির জিনিসের উপর এই রঙিন নকশা আরও বেশি করে আকর্ষণ করছে মানুষকে। গরম যত বাড়বে এর চাহিদা তত বাড়বে বলেও জানালেন এক বিক্রেতা।গরমের দাবদাহে মাটির পাত্রে রাখা জল মেটাত সমস্ত তৃষ্ণা। তবে সময়ের সঙ্গে বদল এসেছে সে ছবিতে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জল রাখার মাটির পাত্রের আকার, বহরেও বদল এনেছেন মৃৎশিল্পীরা।
আরও পড়ুন: চাহিদার অভাবে এই বিখ্যাত গ্রাম থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে কাঠির তৈরি মাদুর
এখন একেবারে প্লাস্টিকের বোতলের আদলে তৈরি হচ্ছে মাটির বোতল। তার উপর রঙিন নক্সা আরও নান্দনিক হয়ে উঠেছে মাটির তৈরি জিনিস। ব্যবহার করাও অনেক সহজ,তা পরিবেশবান্ধবও। শুধু তাতে লেগেছে আধুনিক নকশা, কোনওটাতে পটচিত্রও ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। এই গরমে বিপুল চাহিদা এই মাটির বোতল-কলসির। তবে বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, বেশি বিক্রি বোতলেরই। এখন একেবারে প্লাস্টিকের বোতলের আদলে তৈরি হচ্ছে মাটির বোতল,ব্যবহার করাও অনেক সহজ। শহর থেকে জেলা দেদার বিকোচ্ছে এই জলের বোতল।
আরও পড়ুন: শহর বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে ওরা
কোনও কোনও মাটির বোতলের গায়ে রঙের কারুকাজ। একেবারে চিরন্তন বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। আর এমনভাবে বানানো হয়েছে, যা ইচ্ছে করলে সহজেই ব্যাগে বা হাতে একটু সর্তকতার সঙ্গে এদিক-ওদিক নিয়ে যাওয়া সম্ভব।এক মৃৎশিল্পীরা কথায়, প্লাস্টিক তো এমনিই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আর মাটির বোতলে জল রাখলে ঠান্ডাও থাকবে অনেকক্ষণ। একটা সময় মা, ঠাকুমা মাটির কলসি, কুজো বা জালায় জল ভরে রাখত। বাড়ির সকলে গোটা গরমকাল সেই জল খেত। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এই মাটির বোতল, কুঁজো বিক্রির চাহিদা আকাশছোঁয়া।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এমনকি স্বল্প পুঁজিতে,স্বনির্ভর হতে এই পেশাকে মানুষ বেছে নিতে পারেন বলেও জানান তিনি।
রাকেশ মাইতি
Extra Income Opportunity: কুমোরের চাকা ছাড়াই বাড়িতে সহজে তৈরি করুন মালসা, হবে উপরি রোজগার
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাঙালির ঘরে ঘরে বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই থাকে। এই পার্বণ বা পুজোর আচার পালন করতে গেলে অনেকসময় লাগে মালসা। মালসা সচারাচর বাজার থেকে কিনে নিয়ে আসেন সকলেই। খুব সহজেই এই মালসা বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন আপনি। এবং তার জন্য কুমোরের চাকার দরকার পড়বে না।
হাতের কাছে ভাঁড় বা ঘট জাতীয় কিছু থাকলেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন মালসা। এই কাজের মধ্য দিয়ে আপনি আয় করতে পারেন। হয়ে উঠতে পারেন স্বনির্ভর। প্রথমেই মাটিতে জল দিয়ে কাদা তৈরি করতে হবে। এরপর সেই কাদামাটিকে রুটি তৈরির মত বড় বড় গোলাকার আকৃতিতে ফেলে নিতে হয়। লক্ষ্য রাখতে হবে মাটি যেন খুব পাতলা না হয়ে যায়।এরপর সেই মাটির রুটিকে ভাঁড় বা ঘটের উপর রেখে হাত দিয়ে মালসার আকৃতি দিতে হবে।
আরও পড়ুন: আকন্দ ফুলের চাষ! তাতেই ট্যাঁক ভরছে কৃষকদের
এখানে ভাঁড় বা ঘটটিকে ব্যবহার করা হয় ছাঁচ হিসাবে। মালসা তৈরি হয়ে এলেই সেগুলিকে রোদে শুকোতে হবে। এরপর সেগুলিকে উনুনের নিচে কাঠ বা কয়লা দিয়ে তার উপর রাখতে হবে। উপরে মাটির প্রলেপ দিয়ে চাপা দিতে হবে। এরপর মালসা পুড়ে গেলেই বের করে আনতে হবে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে কমবে অনেক ঝক্কি। খুব সহজে আপনিও বাড়িতেই তৈরি করতে পারবেন এই মালসা।
নবাব মল্লিক
Bengali Video: গরম পড়ার আগেই চলে এসেছিলেন ওঁরা, কিন্তু মনোরম আবহাওয়ায় ব্যবসায় মন্দা
পশ্চিম বর্ধমান: গরম পড়ার আগেই প্রতিবার চলে আসেন ওঁরা। তাঁদের হাত ধরেই কাটফাটা গরমে পাওয়া যায় তৃপ্তি। ভিন জেলা থেকে বড় বড় পোঁটলা নিয়ে হাজির হন দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায়। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। তাপমাত্রার পারদ লাগাম ছাড়া হওয়ার আগেই তাঁরা চলে এসেছেন হাঁড়ি নিয়ে। কিন্তু আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় মাথায় হাত, দেখা নেই লক্ষ্মীর।
আরও পড়ুন: ফুটপাতের বেআইনি দখল সরাতে ময়দানে প্রশাসন
গ্রীষ্ম শুরু হওয়ার আগে থেকেই দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার পাশে মাটির কলসি বিক্রি হতে দেখা যায়। শুধু দুর্গাপুর নয়, পশ্চিম বর্ধমান জেলার একাধিক জায়গাতেই এই ছবি খুব পরিচিত। গোটা গ্রীষ্মকালজুড়ে এই মাটির কলসির চাহিদা থাকে। মানুষের সুবিধায় এখন মাটির কলসিতে যুক্ত হয়েছে কল। ফলে আর গ্লাস ডুবিয়ে জল খাওয়ার ঝামেলা নেই। যার চাহিদা গত চার পাঁচ বছরে আরও কিছুটা বেড়েছে। তবে এবছর এখনও পর্যন্ত ব্যবসায় মন্দা। কারণ গরম পড়তে পড়তে হঠাৎই আবহাওয়ায় যেন ইউটার্ন।
নদিয়া, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই মাটির কলসি বিক্রেতারা আসেন। তাপমাত্রার পারদ যখন একটু একটু করে বাড়ছিল, তখনই তাঁরা হাজির হয়েছিলেন নিজেদের সামগ্রী নিয়ে। কিন্তু আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় প্রায় দিন আকাশ মেঘলা থাকছে। সঙ্গে দোসর হিসেবে হাজির বৃষ্টি। ফলে এখনও সেই অর্থে কাটেনি শীতের আমেজ। তাই এখনও পর্যন্ত খুব বিশেষ চাহিদা নেই মাটির কলসির। স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ বিক্রেতাদের।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এই সমস্ত কলসি বিক্রেতারা বলছেন, গ্রীষ্ম শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে তাঁরা ৮০০ থেকে ৯০০ পিস মাটির কলসি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। সেগুলি বিক্রি হয়ে গেলে ২-৩ দিনের জন্য বাড়ি ফিরে যান। আবার নিয়ে আসেন আরও কলসি। ১৫০ টাকা থেকে এই মাটির কলসির দাম শুরু হয়। বড় কলসি নিতে গেলে দাম পরে একটু বেশি। পুরো গ্রীষ্মকালজুড়েই চাহিদা থাকে। ফলে ব্যবসা চলে ভালই। কিন্তু এবারই যেন পরিস্থিতিটা একটু অন্যরকম।
নয়ন ঘোষ