পশ্চিম বর্ধমান: একসময় জায়গাটি ছিল ঝাঁ চকচকে এলাকা। বসবাস ছিল বহু মানুষের। রাস্তায় ছিল উজ্জ্বল আলো। পরিষ্কার রাস্তাঘাটে সারাদিন থাকত ব্যস্ততা। কিন্তু এখন সেই জায়গাই যেন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে। সন্ধে নামলেই অন্ধকারের সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে গোটা এলাকা। দিনের পর দিন ঘরে ঘরে পড়ছে ইট পাটকেল।
দুর্গাপুর কেমিক্যাল কলোনি দুর্গাপুরে কেমিক্যাল কারখানা শুরু হওয়ার পর ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে। এখানেই থাকতেন কারখানায় কর্মরত কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বর্তমানে রুগ্ন অবস্থায় চলছে কেমিক্যাল কারখানা। আর তার থেকেও বেশি রুগ্ন দশা হয়েছে কারখানার আবাসন এলাকায়। বেশিরভাগ আবাসন এখন খালি পড়ে আছে। তবে যারা এখনও আবাসনে বসবাস করছেন তাঁরা রীতিমত দৈনন্দিন পরিস্থিতির সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে আছেন।
আরও পড়ুন: দু’দিন আগেই সুন্দরবনের বুথে বুথে হাজির ভোট কর্মীরা
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় ব্যাপকভাবে চোরের উপদ্রব বেড়েছে। দিনে রাতে চুরি হচ্ছে। আগে ফাঁকা আবাসনগুলিতে চুরি হত। ফাঁকা আবাসনের দরজা, জানালা, ফ্যান ইত্যাদি সরকারি সম্পত্তি চুরি করেছে দুষ্কৃতীরা। সেই সব ফাঁকা করে দেওয়ার পর এখন যে আবাসনগুলিতে মানুষের বসবাস রয়েছে সেখানেও উপদ্রব শুরু হয়েছে চোরের দলের। প্রতিবাদ করতে গেলে ভয় দেখানো হচ্ছে। দিনে দুপুরে হচ্ছে চুরি। মানুষকে ভয় দেখাতে ঘরের মধ্যে এসে পড়ছে ইট পাটকেল।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সন্ধে হলেই অন্ধকারের ডুবে যাচ্ছে গোটা এলাকাটি। রাস্তার আলো জ্বলছে না। প্রকাশ্যে চলছে মদ্যপানের আসর। এলাকার যে সমস্ত পড়ুয়ারা পড়তে বাইরের এলাকায় যান তাঁরা ঘর থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। রাতে বাড়ি ফিরতে ভয় পাচ্ছেন। বাড়িতে যে সমস্ত মহিলারা একা থাকেন তাঁরা রীতিমত আতঙ্ক নিয়ে বাড়িতে বসবাস করছেন। পুলিশকে এই ব্যাপারে জানানো হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে টহলদারি চালানো হয়। কিন্তু দু-চারদিন পরে আবার শুরু হয় চোরদের উপদ্রব। তাই প্রশাসন এবং কেমিক্যাল কর্তৃপক্ষের আরও বেশি নজরদারির আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নয়ন ঘোষ