মাহুতের সঙ্গে বীর

Bangla Video: নদীতে ভেসে যাওয়ার সময় উদ্ধার বীর আজ অনেক পরিণত, চলছে কুনকি করার প্রশিক্ষণ

আলিপুরদুয়ার: জলদাপাড়ার স্নেহের বীর ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে। হলং সেন্ট্রাল পিলখানার ছোট বীর বড় হচ্ছে, সে এখন সকলের নয়নের মণি। বর্তমানে বীরকে কুনকি হাতি হিসেবে গড়ে তোলার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন বনকর্মী ও মাহুতরা।

সালটা ২০২০, জলদাপাড়া জঙ্গলের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া তোর্ষা নদীতে একটি হাতির শাবককে ভেসে যেতে দেখেন বনকর্মীরা। আশেপাশে মা হাতি বা কোন‌ও হাতির পাল ছিল না। সম্ভবত ভুটান পাহাড় থেকে আগত তোর্ষা নদী পারাপার করতে গিয়ে শাবকটি হয়ত পড়ে গিয়েছিল। এরপর বনকর্মীরা হাতি শাবকটিকে উদ্ধার করে পিলখানায় নিয়ে আসেন। সেই থেকে এখানেই বড় হচ্ছে বীর।

আরও পড়ুন: গাছ বাঁচাতে উপড়ে ফেলা হল পেরেক

সেদিন জলে ভেজা শরীরের হাতি শাবকটি অস্বাভাবিকভাবে কাঁপছিল। দুটি রুম হিটার দিয়ে গরম হাওয়া দেওয়া হয়। তারপর সে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়। দীর্ঘদিন পর শাবকটি একটু সুস্থ হয়। বনবিভাগের পক্ষ থেকে তার নাম দেওয়া হয় বীর। দুধের শাবকটিকে পিলখানায় এনে ফ্রিন বোতলের ল্যাকটোজেন খাওয়াতে শুরু করেন বনকর্মীরা। ধীরে-ধীরে একটি মনুষ্য শিশুর মত‌ই আদর যত্নে বড় হতে থাকে বীর। এখন বীরের বয়স চার বছর অতিক্রান্ত, সেদিনের বীর ও আজকের বীরের চেহারায় পার্থক্য অনেক। সম্প্রতি সেই ছবি প্রকাশ করেছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ।

জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও পারভিন কাসোয়ান জানান, বীরকে নিয়ে অনেক গল্প রয়েছে। চিরন সুব্বা নামের একজন মাহুত বীরকে প্রথমে দেখাশোনা করতেন। বীরকে ল্যাক্টোজেন খাওয়ানো, ওকে নিয়ে জঙ্গলে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া সবটাই করেছেন তিনি। বীর এখন পিলখানায় থাকা সব থেকে দুরন্ত হাতি শাবক। জঙ্গলের সব কিছুর সঙ্গে ওর পরিচিতি হয়েছে। বর্তমানে বীরের দেখাশোনা করছেন রোহিত ইসলাম নামে এক বনকর্মী। তাকে কুনকি হাতি হিসেবে গড়ার জোরদার প্রশিক্ষণ চলছে।

অনন্যা দে