শান্তিপুরে তাঁতের শাড়ির ডিজাইন দেখছেন জাপানের প্রতিনিধিরা

Bengali News: শান্তিপুরি তাঁতের নকশা দেখতে জাপান থেকে এল প্রতিনিধি

নদিয়া: ২০০৭ সালে রেজিস্টার হওয়া শান্তিপুর হ্যান্ড ডিজাইনার অ্যাসোসিয়েশনে এদিন সুদূর জাপান থেকে প্রতিনিধিরা এলেন। তাঁরা এখানকার তাঁতের নকশা বা ডিজাইন পরখ করে দেখেন। ভবিষ্যতে ইন্দো-জাপান মৌ চুক্তিতে উপকৃত হতে পারে শান্তিপুর হ্যান্ড ডিজাইন অ্যাসোসিয়েশন।

আরও পড়ুন: ৫ বছর আগেই পড়ে গিয়েছে ফলক, কিন্তু বাস্তবে আজ‌ও তৈরি হয়নি সেই রাস্তা

শান্তিপুর হ্যান্ড ডিজাইন অ্যাসোসিয়েশন তৈরি হয় ২০০৭ সালে। এটি ২০০৮ সালে সরকারিভাবে রেজিস্ট্রেশন পায়। তখন এখানে সদস্য ছিল মাত্র ১২ জন। টালির ঘরে শুরু হয় তাদের লড়াই। অনেকেই সংস্থা টিকিয়ে রাখতে শেষ সম্বল খুইয়েছেন। তবে সুদিন ফিরেছে, সংস্থাটি এখন পথ দেখাচ্ছে বহু বেকারদের।

এদিন সুদূর জাপান থেকে শান্তিপুরে আসা প্রতিনিধিরা সংস্থার কাছ থেকে যাবতীয় বৃত্তান্ত শোনেন। কিভাবে তাঁদের পথ চলা শুরু, বর্তমানে কীভাবে তাঁদের কাজের প্রক্রিয়াকরণ করা হয় সেই সমস্ত কথাই আলোচনা করা হল এই দিন। ভবিষ্যতে ইন্দো-জাপানের মিলিত চুক্তিতে উপকৃত হবে শান্তিপুরের এই ডিজাইনার সংস্থা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

অন্যদিকে জাপানি ফ্যাশন ডিজাইন এবং বস্ত্র বয়ন দফতরের অভিজ্ঞরাও ঘুরে দেখলেন চরকাতে সুতো কাটা থেকে শুরু করে ড্রাম হাটা, জামদানি বুনন কিংবা হাতে গুটি তোলার মত নানান বিস্ময়কর কর্মদক্ষতা। তাঁরা জানান, এখানকার অত্যন্ত সুদক্ষ নিপুণ শিল্পীরা কাজ পাচ্ছেন না। অথচ সেখানকার প্রয়োজন অনুযায়ী রং, ডিজাইন এবং বস্ত্রের বিভিন্ন বিভাগ খুঁজে বেড়াচ্ছে ম্যানপাওয়ার। আর এই দুই দেশ একে অন্যের পরিপূরক হয়ে উঠেছে ফ্যাশন ডিজাইন এবং বস্ত্র বয়নের ক্ষেত্রে। সারা বিশ্বের মাঝে তারা সাড়া ফেলতে পারবে এই দুয়ের মেলবন্ধনে।

মৈনাক দেবনাথ