Tag Archives: saree

Durga Puja 2024: দুর্গাপুজোর বাজার কাঁপাচ্ছে…! বর্ধমানের জামদানি এবার পাড়ি দিল বিদেশে, বাংলার জয়জয়কার!

পূর্ব বর্ধমান: দুর্গাপুজোর আগে পূর্ব বর্ধমান থেকে জামদানি শাড়ি গেল মালয়েশিয়ায়। প্রথম থেকেই জামদানি শাড়ি বাঙালি মহিলাদের কাছে ছিল বেশ পছন্দের। মসলিনের উপর হাতে করে নকশা ফুটিয়ে তুলে জামদানি শাড়ি তৈরি করা হয়। কিন্তু পুরনো দিনের বাংলার তাঁতশিল্পীদের হাতে তৈরি জামদানি হারিয়ে যেতে বসেছিল। মাঝখানে কিছুটা বেহাল হয়ে পড়েছিল তাঁতের অবস্থা, কমেছিল চাহিদা। কিন্তু এখন আবার সেই জামদানির কদর বাড়ছে৷ এখন দেশ ছড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছে যাচ্ছে জামদানি।

পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ গ্রামের তাঁতশিল্পী সুশান্ত দে বেশ কিছু শাড়ি পাঠিয়েছেন মালয়েশিয়া। এই প্রসঙ্গে তাঁতশিল্পী সুশান্ত দে জানিয়েছেন, “জামদানি শাড়ি বাঙালি সবথেকে বেশি পছন্দ করে। পুজোর জন্য স্পেশ্যাল কিছু শাড়ি আমি তৈরি করেছিলাম যেগুলো বিদেশে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছি।”একটা সময় ছিল যখন বাংলার জামদানির খুব চাহিদা ছিল৷ কিন্তু কালের নিয়মে সেটা হারিয়েও গিয়েছিল৷ তবে বর্তমানে বাংলার তাঁতশিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় সেই জামদানি আবার অনেকের পছন্দের হয়ে উঠছে। পূর্ব বর্ধমানের তৈরি জামদানি বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে৷

আরও পড়ুন- সব শেষ করে দিলেন? যিশুর সঙ্গে বিচ্ছেদের জল্পনার মধ্যে এ কী করলেন নীলাঞ্জনা! তুমুল শোরগোল…

সুশান্ত দে-র তৈরি বেশ কিছু জামদানি শাড়ি গিয়েছে মালয়েশিয়া। পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ গ্রামের তাঁত শিল্পের জন্য ভাল খ্যাতি রয়েছে। প্রায় প্রত্যেকবছর এই গ্রাম থেকে তৈরি হওয়া শাড়ি পাড়ি দেয় বিভিন্ন জায়গায়।সেরকম পুজোর আগে পূর্ব বর্ধমানের শাড়ি গেল মালয়েশিয়ায়। শিল্পী সুশান্ত দে আরও জানিয়েছেন, “এক বাঙালি বন্ধুর মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় যোগাযোগ হয়। শাড়ির ছবি তুলে পাঠিয়ে ছিলাম। তারপর ওনারা অর্ডার দিয়েছিলেন। এই শাড়ি তৈরির জন্য প্রায় তিন মাস ধরে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।”

আরও পড়ুন-    দিঘায় এবার তুলকালাম কাণ্ড…! কী এমন ঘটল? শুনেই সাগরে ছুটে আসছেন দূর-দূরান্তের মানুষ, জানলে চমকে যাবেন আপনিও!

দুই হাজার টাকা থেকে শুরু করে ত্রিশ হাজার টাকা দামের শাড়িও গিয়েছে বিদেশে। সুন্দর আধুনিক জামদানি শাড়ির আবার বাড়ছে চাহিদা। পুজোর আগে আনন্দিত শিল্পীরা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Purba Bardhaman News: দুর্গা পুজোর আগে বর্ধমান থেকে জামদানি শাড়ি গেল মালয়েশিয়া!

পূর্ব বর্ধমান: দুর্গা পুজোর আগে পূর্ব বর্ধমান থেকে জামদানি শাড়ি গেল মালয়েশিয়া। প্রথম থেকেই জামদানি শাড়ি বাঙালী মহিলাদের কাছে ছিল বেশ পছন্দের। মসলিনের উপর হাতে করে নকশা ফুটিয়ে তুলে জামদানি শাড়ি তৈরি করা হয়। কিন্তু পুরনো দিনের বাংলার তাঁতশিল্পীদের হাতে তৈরি জামদানি হারিয়ে যেতে বসেছিল।

আরও পড়ুন-ধোনির মেয়ে পড়ে ঘরের কাছের এই দারুণ স্কুলে! কত ফি? জানলে আপনিও পাঠাবেন সন্তানকে!

মাঝখানে কিছুটা বেহাল হয়ে পড়েছিল তাঁতের অবস্থা, কমেছিল চাহিদা। কিন্তু এখন আবার সেই জামদানির কদর বাড়ছে৷ এখন দেশ ছড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছে যাচ্ছে জামদানি। পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ গ্রামের তাঁতশিল্পী সুশান্ত দে বেশ কিছু শাড়ি পাঠিয়েছেন মালয়েশিয়া। এই প্রসঙ্গে তাঁতশিল্পী সুশান্ত দে জানিয়েছেন, “জামদানি শাড়ি বাঙালি সবথেকে বেশি পছন্দ করে। পুজোর জন্য স্পেশাল কিছু শাড়ি আমি তৈরি করেছিলাম যেগুলো বিদেশে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছি।”

একটা সময় ছিল যখন বাংলার জামদানির খুব চাহিদা ছিল৷ কিন্তু কালের নিয়মে সেটা হারিয়েও গিয়েছিল৷ তবে বর্তমানে বাংলার তাঁতশিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় সেই জামদানি আবার অনেকের পছন্দের হয়ে উঠছে। পূর্ব বর্ধমানের তৈরি জামদানি বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে৷ সুশান্ত দে এর তৈরি বেশ কিছু জামদানি শাড়ি গিয়েছে মালয়েশিয়া। পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ গ্রামের তাঁত শিল্পের জন্য ভাল খ্যাতি রয়েছে। প্রায় প্রত্যেকবছর এই গ্রাম থেকে তৈরি হওয়া শাড়ি পাড়ি দেয় বিভিন্ন জায়গায়।

আরও পড়ুন- দেশে MBBS-এ চান্স না পেলে জলের দরে পড়ুন বিদেশে গিয়ে! কোন পরীক্ষায় বসবেন, জেনে নিন।

সেরকম পুজোর আগে পূর্ব বর্ধমানের শাড়ি গেল মালয়েশিয়া। শিল্পী সুশান্ত দে আরও জানিয়েছেন,”এক বাঙালি বন্ধুর মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় যোগাযোগ হয়। শাড়ির ছবি তুলে পাঠিয়ে ছিলাম। তারপর ওনারা অর্ডার দিয়েছিলেন। এই শাড়ি তৈরির জন্য প্রায় তিন মাস ধরে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।”

দুই হাজার টাকা থেকে শুরু করে ত্রিশ হাজার টাকা দামের শাড়িও গিয়েছে বিদেশে। সুন্দর আধুনিক জামদানি শাড়ির আবার বাড়ছে চাহিদা। পুজোর আগে আনন্দিত শিল্পীরা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Purba Bardhaman News: পুজোর থিমে এবার জামদানি শাড়ি! দেখানো হবে তথ্যচিত্র! দৃশ্যগ্রহণ শেষ হল বর্ধমানে

পূর্ব বর্ধমান:  বাংলায় জামদানি শাড়ির এক আলাদা কদর রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই এবার দুর্গাপুজোয় কলকাতার পুজো মন্ডপে প্রদর্শিত হবে বাংলার জামদানি।  তবে পুরনো দিনের বাংলার তাঁতশিল্পীদের হাতে তৈরি জামদানি হারিয়ে যেতে বসেছিল। কিন্তু ,আবারও কদর বাড়ছে সেই হারিয়ে যেতে বসা জামদানির।

আর এবার দুর্গাপুজোয় সকলের সামনে উপস্থাপন করা হবে জামদানির বিস্তারিত  । দমদম পার্কের ভারতচক্র ক্লাবে এবার বাংলার জামদানি নিয়েই থিম গড়ে তোলা হচ্ছে। থিমের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে একটি তথ্যচিত্র।

আর এই তথ্যচিত্রের দৃশ্যগ্রহণের জন্য, পূর্ব বর্ধমানে এসেছিলেন কলকাতার একটি দল। জামদানি শাড়ি কীভাবে তৈরি হয়। সূতো কীভাবে রঙ করা হয়৷ এককথায় তাঁতশিল্পীদের সেকাল ও একাল নিয়েই তথ্যচিত্র তৈরি করা হবে।

তথ্যচিত্রের দায়িত্বে থাকা সৌমাদিত্য মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “জামদানি শিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য, কলকাতার দুর্গা মন্ডপে নিয়ে আসা হচ্ছে জামদানি শিল্পকে। জামদানি কীভাবে তৈরি হয়। বর্তমানে জামদানির চাহিদা কেমন। তাঁতিরা কেমন রয়েছেন। এই সমস্ত বিষয়ে একটি তথ্যচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।”

আরও পড়ুন: নির্বাচনের মুখে কাশ্মীরে দুর্ঘটনা! খাদে পড়ল জওয়ানদের বাস, মৃত ৪!

পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার ঘোড়ানাশ, কালনা মহকুমার তাঁতশিল্পীদের বোনা জামদানি কলকাতার পুজো মণ্ডপে প্রদর্শিত হবে৷ সেই সব তাঁতশিল্পীদের হাতে কিভাবে জামদানিতে নকশা ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে তাও মণ্ডপে মানুষ দেখতে পাবেন৷ পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ গ্রামের তাঁতশিল্পী সুশান্ত দে এর কাজ দেখতে এসেছিলেন, কলকাতার পুজো মণ্ডপের থিমের তথ্যচিত্রের দ্বায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজন৷ তাঁরা কালনা এবং কাটোয়ায় তাঁতশিল্পীদের পাড়ায় ঘুরে ঘুরে তথ্যচিত্রের জন্য দৃশ্যগ্রহণও করেন৷

আরও পড়ুন: কিছুক্ষণেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির! কী কারণে,কতদিন বন্ধ থাকবে দরজা?

ঘোড়ানাশ গ্রামের তাঁতশিল্পী সুশান্ত দে এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “আমাদের হাতে বোনা জামদানি কলকাতার পুজো মণ্ডপে প্রর্দশিত হবে৷ এর থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে৷ দুর্গাপুজোর মণ্ডপে জামদানি শাড়ির কথা তুলে ধরা হবে৷ জামদানির প্রথম থেকে একদম শেষ পর্যন্ত তুলে ধরা হবে।\”

কলকাতার দমদম পার্কের ভারতচক্র ক্লাবে এবার বাংলার জামদানি নিয়েই থিম গড়ে তোলা হচ্ছে। শিল্পী অদিতি চক্রবর্তী সেই কাজ করছেন৷ পুজো মণ্ডপে তথ্যচিত্রের মাধ্যমেও দর্শনার্থীদের দেখানো হবে জামদানির বিস্তারিত। হারিয়ে যেতে বসা এবং ঐতিহ্যবাহী এই জামদানিকে, সকলের সামনে তুলে ধরার এ যেন এক অভিনব প্রচেষ্টা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Nadia News: লক্ষ্য হস্তচালিত তাঁত শিল্পকে বাঁচানো, মহিলাদের বিনামূল্যে শাড়ির হাটে জায়গা

নদিয়া: হস্ত চালিত তাঁতকে বাঁচাতে মহিলাদের বিনামূল্যে শাড়ির হাটে জায়গা দিল হাট কর্তৃপক্ষ। পরিবর্তিতে করা হবে হস্তচালিত তাঁত শাড়ির হাবও। বাংলার ঐতিহ্য হাতে বোনা তাঁতের শাড়ি। নদিয়ার শান্তিপুর, ফুলিয়ার একাধিক মানুষ এই তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। তবে বর্তমানে হস্ত চালিত তাঁত শিল্পের অবস্থা খুবই খারাপ। বিদেশ থেকে অত্যাধুনিক মেশিন এসেছে বাজারে যাতে তৈরি হচ্ছে শাড়ি।

তবে বিদেশ থেকে আনা মেশিনে তৈরি শাড়ির গুণগত মান এবং যে সুতো ব্যবহার করা হয় তা একেবারেই হস্তচালিত তাঁতের শাড়ির সঙ্গে মিল খায় না। বিদেশি মেশিন আশায় এখন লুপ্ত প্রায় বাংলার ঐতিহ্য শান্তিপুরের হস্ত চালিত তাঁত। এবার সেই দিকেলক্ষ রেখেই হস্ত চালিত তাঁতের শাড়িকে বাঁচাতে এবং মহিলাদের স্বনির্ভর করতে নদিয়া জেলার হস্ত চালিত তাঁতের সঙ্গে যুক্ত মহিলারা করলেন উদ্যামিনী তাঁতের কুটির।

তবে তাঁদের স্বনির্ভর করতে এবং হস্তচালিত তাঁত শাড়িকে বাঁচাতে এগিয়ে এসে বিশেষ পদক্ষেপ নিলেন শান্তিপুরের প্রতিষ্ঠিত মার্কেট তাঁত কাপড়ের হাটের পরিচালক বিভাস ঘোষ। তিনি জানান বর্তমানে মেশিনের কাছে পেরে উঠছে না হস্ত চালিত তাঁত। তাই এখন মহিলাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ এবং হস্ত চালিত তাঁতকে বাঁচাতেই এই উদ্যোগ। এদিন নদিয়ার শান্তিপুর সূত্রগর অঞ্চলের ঘোষ মার্কেটে তাঁত কাপড়ের হাটে হস্ত চালিত তাঁতের সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের, তাঁত কাপড়ের হাঁটে বিনামূল্যে জায়গা দেওয়া হল।

আরও পড়ুনঃ South 24 Parganas News: সোনারপুরবাসীদের জন্য বড় সুখবর! মুশকিল আসান হতে চলেছে বড় সমস্যার

এদিন হাটের মধ্যে হস্ত চালিত তাঁতের সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের সাবলম্বী করতে বিনামূল্যে কাপড় বিক্রি করার ব্যবস্থা করা হয়। মহিলারা এই স্থানে বসে হস্ত চালিত তাঁতের শাড়ি বিক্রয় করবেন। তৎ সহ তারা হস্তচালিত তাঁত শিল্প সম্বন্ধেমানুষকে বিশেষ বার্তাও দেবেন। যদিও শুধু নদিয়ার নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে সমস্ত মহিলারা হস্ত চালিত তাঁত শিল্পর সঙ্গে যুক্ত তাদেরও এই হাটে জায়গা দিয়ে একটি হস্তচালিত তাঁতের হাব করা হবে বলে জানান হাট পরিচালক বিভাস ঘোষ।

Mainak Debnath

Jhargram News: পুজোর বাজারে তাক লাগাচ্ছে ‘আমার কাপড়’! কোয়েলের শাড়িতে স্বনির্ভরতার বার্তা

ঝাড়গ্রাম: অপেক্ষার আর কয়েক দিন, তার পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজোতে সকলেই চান নিজেকে অন্যের থেকে আলাদাভাবে সাজিয়ে তুলতে। রূপচর্চার পাশাপাশি সকলেই ভালো শাড়ি ও গয়নার খোঁজ করতে থাকেন।

ঠিক এই কথা মাথায় রেখেই ঝাড়গ্রামের এক তরুণী শাড়ির সম্ভার নিয়ে নিজের বাড়িতেই শুরু করেছেন ‘দেশের কাপড়’। যেখানে মূলত সাধারণ শাড়ির উপর নারীদের পছন্দমতো হাতের কারুকার্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যার চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে। কেবলমাত্র নারীদের পছন্দমতো শাড়ি তুলে দিচ্ছেন, তা ঠিক নয়। স্বনির্ভর হওয়ার মধ্য দিয়ে বার্তা দিচ্ছেন নারীদের স্বনির্ভর হওয়ার।

আরও পড়ুন- রাত হলেই আপনার মুখের উপর ‘উৎসব’ করে এই প্রাণীরা! খেতে আসে তেল…! ভয়ঙ্কর সত্যি

ঝাড়গ্রাম শহরের নৃপেণপল্লী এলাকার বাসিন্দা সেই তরুণীর নাম কোয়েল মিত্র। নিজস্ব উদ্যোগে কয়েক বছর আগে শুরু করেছেন ‘দেশের কাপড়’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে তিনি বাজারের থেকে ভিন্ন ধরনের শাড়ির সামগ্রী নিয়ে সকলের কাছে তুলে ধরেছেন।

শাড়িতে বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, কোথাও আবার জঙ্গলমহলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের নৃত্যানুষ্ঠান, আবার কোথাও বিভিন্ন পশু-পাখির চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শাড়ির মধ্যে। যা অন্য মাত্রা এনেছে শাড়ির দুনিয়ায়।

আরও পড়ুন- ‘সরকার আপনাদের চাকরি দিতে প্রস্তুত’… প্রার্থীদের সঙ্গে রাস্তায় বসলেন কুণাল!

কোয়েল মিত্র বলেন, “পুজোর সময় সকলেই নতুন কিছুর সন্ধানে থাকে। সে কথা মাথায় রেখে আমি ‘দেশের কাপড়’ নামের প্রতিষ্ঠান শুরু করেছিলাম। যেখানে শাড়ির উপর নানা হাতের কারুকার্য করেছি শাড়িগুলিকে এক অন্য মাত্রা দেওয়া জন্য। একটা শাড়ির সঙ্গে আর একটা শাড়ির কোনও ভাবেই মিল হবে না। প্রতিটা শাড়ি আলাদা হবে। শুরু থেকেই মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে আমার এই ভাবনাচিন্তার। হাতের তৈরি শাড়ির পাশাপাশি আমার কাছে রয়েছে কাঞ্জিভরম, সুতির শাড়ি, কাঁথাস্টিচ শাড়ি , টিস্যু, বেনারসি সব ধরনের শাড়ি রয়েছে এছাড়াও পুরুষদের জন্য আমার কাছে রয়েছে পাঞ্জাবি ও শার্ট”।

শাড়ির উপর নানা কারুকার্য ফুটিয়ে তুলে শাড়িকে এক অন্য মাত্রা দেওয়ার পাশাপাশি সমাজকে কোয়েল মিত্র বার্তা দিতে চাইছেন। নারীরাও পিছিয়ে নেই। সমাজের মূল স্রোতে থেকে তাঁরাও স্বনির্ভর হতে পারেন, মনে করছেন কোয়েল।

বুদ্ধদেব বেরা

Malda News: পুজোর বাজার মাতাচ্ছে ‘জিমিচুর’! বাংলার কাপড়কে টেক্কা দিচ্ছে এ কোন শাড়ি?

মালদহ: বিদেশি কাপড়, তার উপর সুন্দর হাতের কাজ, সুতো দিয়ে তৈরি নানান নকশা, গোটা শাড়ি জুড়ে সুতোর কাজের নকশা। আবার শাড়ি জুড়ে সিকুয়েন্স করা আছে। এই সিকুয়েন্সের জন্যই আকর্ষণীয় এই শাড়ি।‌ যা ক্রেতাদের নজর কাড়ছে। এছাড়াও শাড়িতে রয়েছে জরির কাজ। সব মিলিয়ে একেবারেই নতুন ধরনের এই শাড়ি।

এবার পুজোর বাজারে ব্যাপক চাহিদা এখন থেকেই। বাংলার শাড়িকে টেক্কা দিচ্ছে বিদেশি কাপড়ের এই শাড়ি। বাজারে জিমিচুর নামেই পরিচিত এই শাড়ি। বাংলায় নয়, এই শাড়ি তৈরি হচ্ছে বেঙ্গালুরু। এবার পুজোয় বেঙ্গালুরুর তৈরি শাড়ির দখলে পুজোর বাজার।

আরও পড়ুন- মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করলে মস্তিষ্কের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে? যা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সমর্থিত গবেষণা

প্রায় একমাস আগে থেকেই অন্যান্য শাড়ির তুলনায় এই শাড়ির বাজার কয়েকগুণ বেশি সাধারণত যুবতী বা মধ্য বয়সী মহিলাদের মধ্যে এই শাড়ি কেনার প্রবণতা বেশি। মালদহ শহরের কাপড় ব্যবসায়ী দেবাশীষ কুণ্ড বলেন, ব্যাঙ্গালোরে তৈরি হচ্ছে এই শাড়ি। বিদেশি কাপড়ের ওপর সুন্দর হাতের কাজ থাকছে। এবার পুজোয় ব্যাপক চাহিদা এই শাড়ির এখন থেকেই বাজার শুরু হয়েছে।

প্রতিবছরই নিত্যনতুন আকর্ষণ থাকে পুজোর বাজারে। এবার অন্যান্য শাড়িকে পেছনে ফেলেছে এই জিমিচুর। দাম সাধ্যের মধ্যে রয়েছে। সবচেয়ে কম ১৮০০ টাকা থেকে শুরু এই শাড়ি। পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম রয়েছে শাড়ির। যে শাড়িতে হাতের কাজের উপর শাড়ির দাম তুলনাই বেশি। মালদহ শহরের প্রায় প্রতিটি দোকানে এবার জিমিচুর শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। পুজো যত এগিয়ে আসছে এই নতুন শাড়ির চাহিদা ততটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে বাজারে এমনটাই দাবি করছেন বিক্রেতারা।

আরও পড়ুন-‘স্বর নামিয়ে কথা বলুন!’ কৌস্তভকে তিরস্কার বিচারপতির! শুনানির সময় চিৎকার করে বিপাকে বিজেপি নেতা

অন্যান্য শাড়ির বিক্রি হচ্ছে, তবে অধিকাংশ ক্রেতাই দোকানে এসে সবার প্রথমে খোঁজ করছেন এই জিমিচুর শাড়ি। এই শাড়ি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠার কারণ সুন্দর সুন্দর হাতের কাজ। এছাড়াও বিদেশি কাপড়ে এই শাড়ি তৈরি হওয়ায় ক্রেতারা বেশি পছন্দ করছেন কিনতে। কারণ দেশি কাপড়ের থেকে এই বিদেশী কাপড় অনেকটাই ভাল। তাই ক্রেতারা এই শাড়ির উপর ঝুঁকে পড়ছেন।

হরষিত সিংহ

Durga Puja 2024: নক্সীকাঁথার নকশা পেখম মেলেছে শাড়ির জমিন জুড়ে, পুজোর আগে তুঙ্গে চাহিদা, জানুন কোথায় পাবেন

বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: পুজোর আগে ভালো চাহিদা রয়েছে এই শাড়ির। বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালো। তবে এই শাড়ির দাম কত জানেন ? জানলে কিছুটা অবাক হবেন ! পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও এখন এই শাড়ির কাজ হচ্ছে। কলকাতায় এখন এই শাড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে । এই শাড়ির নাম ‘গাছি তসর’।পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় শতাধিক মহিলা কাঁথাস্টিচের শাড়ি, পাঞ্জাবী, কুর্তি, দোপাট্টা, মহিলাদের কাঁথাস্টিচের পোশাক, বিছানার চাদর তৈরি করেন।

গ্রামের মহিলারা বহু বছর ধরে জড়িয়ে রয়েছেন কাঁথাস্টিচ শিল্পের সঙ্গে। কেউ মা-কাকিমার হাত ধরে শিখেছেন কাপড়ের উপর সুতোর নকশার এই কাজ। আবার কেউ বিয়ের পর গ্রামে এসে প্রতিবেশীদের দেখেই শিখেছেন কাঁথাস্টিচের কাজ। ছুঁচ-সুতো নিয়ে বসে শাড়িতে নকশা ফুটিয়ে তোলেন তাঁরা। ব্যাঙ্গালোর সিল্ক বা তসরের একটি শাড়ির উপর বিভিন্ন সূক্ষ্ম কারুকার্য তাঁরা ফুটিয়ে তোলেন । তবে এখন এই মহিলারা গাছি তসর শাড়ির কাজে বেশি জোর দিয়েছেন। শিল্পী পারুল খাতুন জানিয়েছেন, “এই শাড়ির বিক্রি বেড়েছে। পুজোর আগে এর ভাল চাহিদা রয়েছে।”

সর্বপ্রথম শিল্পীদের শাড়ির থান কিনতে হয়। পরবর্তীতে সেই থানের মধ্যে যে নকশা হবে সেই নকশা ডিজাইনারের কাছ থেকে করিয়ে নিয়ে আসতে হয়। শাড়ির মধ্যে নকশা ছাপার কাজ সম্পূর্ণ হলে তারপর মহিলা শিল্পীরা তাদের কাজ শুরু করেন। সুঁচ – সুতো নিয়ে সেই নকশা তৈরির কাজ শুরু করেন শিল্পীরা। এক একটা শাড়ির নকশা শেষ করতে প্রায় ছ’মাস সময় লাগে বলেই জানা গিয়েছে। শিল্পীরা শাড়ির মধ্যে নকশা বোনার কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে পারলে তবেই বেশ কিছু টাকা উপার্জন করতে পারেন। শাড়ির মধ্যে নকশা বোনার কাজ শেষ হলে তারপর সেই শাড়ি অথবা পোশাক নিয়ে যাওয়া হয় বিক্রির জন্য।

আরও পড়ুন : মাটিতে মেশান এক চিমটে এই জিনিস! বারান্দার টবেই ঝাঁকড়া হয়ে উঠবে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী গাছ

বর্তমানে এই গ্রামগুলিতে তিন হাজার টাকা থেকে শুরু করে পনেরো হাজার টাকা দামের শাড়িও তৈরি হয়। যার মধ্যে সবথেকে দাম বেশি ‘গাছি তসর’ শাড়ির। এই শাড়ির দাম শুরু হয় বারো হাজার টাকা থেকে। এবং সর্বোচ্চ পনেরো হাজার টাকা দামেরও এই শাড়ি রয়েছে। পুজোর আগে চাহিদা বেড়েছে এই শাড়ির। বিক্রিও হচ্ছে দেদার।

East Bardhaman News: মাসে মাসে মোটা টাকা আয়! সংসার সামলানোর পরও এই কাজ করে চলেছেন মহিলারা…

পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় শতাধিক মহিলা কাঁথাস্টিচের শাড়ি, পাঞ্জাবী, কূর্তি, দোপাট্টা, মহিলাদের কাঁথাস্টিচের পোশাক, বিছানার চাদর তৈরি করেন। গ্রামের মহিলারা বহু বছর ধরে জড়িয়ে রয়েছেন কাঁথাস্টিচ শিল্পের সঙ্গে। কেউ মা-কাকিমার হাত ধরে শিখেছেন কাপড়ের উপর সুতোর নকশার এই কাজ। আবার কেউ বিয়ের পর গ্রামে এসে প্রতিবেশীদের দেখেই শিখেছেন কাঁথাস্টিচের কাজ। সূঁচ-সুতো নিয়ে বসে শাড়িতে নকশা ফুটিয়ে তোলেন তাঁরা। ব্যাঙ্গালোর সিল্ক বা তসরের একটি শাড়ির উপর বিভিন্ন সূক্ষ্ম কারুকার্য তাঁরা ফুটিয়ে তোলেন ।

মঙ্গলকোটের পিন্ডিরা, লক্ষ্মীপুর, শ্যামবাজার-সহ আরও বেশ কিছু গ্রামে কাঁথা স্টিচের কাজ হয়। এইসকল গ্রামের মহিলারা সংসার সামলানোর পরেও এই কাজ করেই অর্থ উপার্জন করেন। এই প্রসঙ্গে লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা শিল্পী সেরিনা বিবি বলেন, “আমাদের আগে শুধুমাত্র সংসারের কাজ করতে হত। কিন্তু আমরা এখন সংসার সামলানোর পরে এই কাজ করি। আমাদের এখান থেকে অর্থ উপার্জন হয়। নিজের খরচ নিজেরা চালাতে পারি। অনেক সময় সংসারে ছেলেমেয়েদের সাহায্য করতে পারি।” একসময় শুধুমাত্র সংসারের দায়িত্ব সামলাতেই ব্যস্ত থাকতেন এই সকল শিল্পীরা। তবে কাঁথাস্টিচ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বর্তমানে তাঁরা নিজেরাও স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করছেন। জানা গিয়েছে, সর্বপ্রথম শিল্পীদের শাড়ির থান কিনতে হয়। পরবর্তীতে সেই থানের মধ্যে যে নকশা হবে সেই নকশা ডিজাইনারের কাছ থেকে করিয়ে নিয়ে আসতে হয়।

আরও পড়ুন-  বলুন তো, স্ত্রী-রা কি রাখি পড়াতে পারেন স্বামীকে? ৯৯ শতাংশই ‘এই’ ভুলটা করেন, আপনিও কি তাই করছেন? আজই শুধরে নিন…

শাড়ির মধ্যে নকশা ছাপার কাজ সম্পূর্ণ হলে তারপর মহিলা শিল্পীরা তাদের কাজ শুরু করেন। সুঁচ-সুতো নিয়ে সেই নকশা তৈরির কাজ শুরু করেন শিল্পীরা। এক একটা শাড়ির নকশা শেষ করতে প্রায় ছয় মাস সময় লাগে বলেই জানা গিয়েছে। শিল্পীরা শাড়ির মধ্যে নকশা বোনার কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে পারলে তবেই বেশ কিছু টাকা উপার্জন করতে পারেন। শাড়ির মধ্যে নকশা বোনার কাজ শেষ হলে তারপর সেই শাড়ি অথবা পোশাক নিয়ে যাওয়া হয় বিক্রির জন্য। তবে শুধু শাড়ি নয়, একই পদ্ধতিতে আরও বিভিন্ন পোশাক তৈরি হয়। লক্ষ্মীপুর গ্রামের শিল্পী পারুল খাতুন জানিয়েছেন, “আমরা চাই আমাদের শিল্পকর্ম যেন বিদেশেও পৌঁছে যায়। আমরা যা শিখেছি সব মা , মাসি দের হাত ধরে। আমাদের যদি প্রশাসনের তরফে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তাহলে আমাদের খুব সুবিধা হয়। আমরা এখনও পর্যন্ত কারোর কাছে কোনও সাহায্য পায়নি।”

আরও পড়ুন- বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন

বর্তমানে মঙ্গলকোটের এই প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে হাজার হাজার টাকার দামী দামী পোশাক তৈরি হয়। মহিলাদের হাতের কাজের মাধ্যমে যেন অন্যমাত্রায় পৌঁছে যায় এখানকার বিভিন্ন ধরনের পোশাক। বর্তমানে এই গ্রামগুলিতে তিন হাজার টাকা থেকে শুরু করে পনেরো হাজার টাকা দামের শাড়িও তৈরি হয়। যার মধ্যে সবথেকে দাম বেশি গাছি তসর শাড়ির। জানা গিয়েছে, তৈরির পর শিল্পীরা কলকাতায় বিভিন্ন এক্সিবিশনে তাঁদের শিল্পকর্ম নিয়ে যান। এবং সেখানে সেইসব জিনিস বেশ ভাল দামে বিক্রি হয়। কলকাতা ছাড়াও রাঁচি, মুম্বই, এবং দিল্লিতেও মঙ্গলকোটের কাঁথাস্টিচের শিল্পকর্ম পাড়ি দিয়েছে। শুধু দেশের মধ্যে নয়, শিল্পীরা বিদেশেও তাঁদের শিল্পকর্মকে তুলে ধরতে চাইছেন। সকলেই প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে আবেদনও জানিয়েছেন।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

North Dinajpur News: জেলার এই মেলাতে এ বার হিট বাংলাদেশের নানা শাড়ি! দাম কত জানেন?

উত্তর দিনাজপুর: বাংলাদেশের সরকার পতনের পর অনেকেই ভেবেছিলেন দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়বে, কিন্তু ঠিক উল্টো ছবি দেখা গেল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের এক্সপো মেলায়। এখানে দেদার বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের শাড়ি। এই শাড়ি কিনতেই ভিড় উপচে পড়ছে বাংলাদেশের এই স্টলে।

বাংলাদেশের এই শাড়ির স্টলে রয়েছে ঢাকাই জামদানি, মসলিন, রাজশাহী সিল্ক-সহ বিভিন্ন ধরণের বাংলাদেশের শাড়ি এতেই মন মজেছে জেলাবাসীর। সামনেই যেহেতু পুজো, তার আগে এক্সপো মেলায় বাংলাদেশি শাড়ির স্টল থেকে নিজের পছন্দমতো শাড়ি কিনে নিচ্ছেন মহিলারা।

আরও পড়ুন- ‘সিবিআই আমাদের আশ্বস্ত করেছে…বিচার দেবে’ আদালতকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের

যাঁরা শাড়ি ভালবাসেন, তাঁদের জন্য বিভিন্ন রকমের শাড়ির সম্ভার রয়েছে এই বাংলাদেশি স্টলে । এই শাড়িগুলোর মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় টাঙ্গাইল তাঁত, টাঙ্গাইল হাফ সিল্ক, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, কাতান, কাটা শাড়ি, জামদানি, বেনারসি ও জর্জেট। এছাড়াও এখানকার ঢাকাই জামদানি, ও মসলিন সিল্ক বেশ আকর্ষণীয়। কারুকাজ, রঙের ব্যবহার ও ডিজাইন মিলিয়ে এই শাড়ির চাহিদা অনেক।

পাকা রং আর ওজনে হালকা, সঙ্গে জুতসই দাম হওয়ায় উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নমধ্যবিত্ত— সবাই আসছেন এই শাড়ির স্টলে। ঢাকা থেকে আগত বাংলাদেশি এই স্টলের মালিক মোঃ নুর হোসেন বলেন, “প্রায় নয় বছর ধরে আমরা এই মেলায় বিভিন্ন শাড়ির স্টল নিয়ে হাজির হই। এবারও বাংলাদেশের অশান্তির আগেই আমরা ভারতে চলে এসেছিলাম। ভারতে দীর্ঘদিন ধরে শাড়ির ব্যবসা করে আসছি। এই বাংলাদেশি স্টলে ১৫০০ টাকা থেকে ৬০০০ টাকা দামের শাড়ি রয়েছে।”

আরও পড়ুন- পেট জ্বালা, বুক জ্বালা? মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড না গিলে খেয়ে দেখুন এই খাবারগুলো

তাই বাংলাদেশি স্টল থেকে বিভিন্ন ধরনের শাড়ি কিনতে আপনাকে চলে আসতে হবে রায়গঞ্জের এক্সপো মেলায়। এক মাস ব্যাপী এই মেলায় পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দমত বিভিন্ন ধরনের শাড়ির সম্ভার।

পিয়া গুপ্তা

Durga Puja Fashion 2024: বালুচুরী-মসলিনকে কড়া টক্কর, এবার পুজোর বাজার কাঁপাচ্ছে ‘রিভার্স কাঁথা শাড়ি’, কোথায় পাবেন?

বাঁকুড়া: বিষ্ণুপুরের বালুচরী দেখেছেন। দেখেছেন রাজগ্রামের তাঁত। এবার পুজো আসছে, পুজোর আগে স্পেশাল শাড়ি রিভার্স কাঁথা স্টিচ। নামের সঙ্গে রিভার্স যে শব্দটি রয়েছে তার বিশেষ একটি ব্যাখ্যা রয়েছে। এই শাড়ি তৈরি করতে সময় লাগে একমাস দু’মাস কখনও আবার তিন মাস। সম্পূর্ণ হাতে তৈরি হয় এই শাড়ি, ব্যবহার করা হয় না কোনও ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি। হাতের ছোঁয়া, শৈল্পিক ভালবাসা এবং কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে ফুটে ওঠে, অসাধারণ চিত্র। কি তোর সইছে না নিশ্চয়ই? বাঁকুড়ার দুর্গাপুজোর ট্রেন্ডিং শাড়ি রিভার্স কাঁথা স্টিচ, তৈরি হচ্ছে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ে। এই শাড়ি তৈরি করছেন কাবেরী ব্যানার্জি, সহযোগিতা করছেন স্বনির্ভরতার পথে অগ্রসর একাধিক যুবতী এবং মহিলারা।

আচ্ছা নামটা কেন রিভার্স? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে একটি গল্প বলতে হবে। ধরুন আপনি একটি ছবি এঁকেছেন সাদা পাতার উপরে ফুল। পেন্সিল দিয়ে স্কেচ করার পর ফুলটিকে রং না করে ফুলটি বাদ দিয়ে সাদা পাতার অংশটি আপনি রং করছেন। রিভার্স কাঁথা স্টিচও ঠিক তাই। কাপড়ের ওপর একজন চিত্রশিল্পী বিভিন্ন ধরনের নকশা অঙ্কন করেন। তারপর সেই নকশা ধরে নকশার ভিতরটি বাদ দিয়ে স্টিচ করা হয় বাইরের বেশিরভাগ অংশ। যার জন্য সময় লাগে বিপুল। একটি শাড়ির স্টিচ করতে সময় লাগতে পারে এক থেকে তিন মাস। নির্ভর করছে ঠিক কতজন সেলাই করছেন তার ওপর।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

সেলাই বিশেষজ্ঞ মাস্টার ট্রেনার কাবেরী ব্যানার্জি বলেন, “এই মুহূর্তে আমি এখন কুড়িজন মহিলাকে শেখাচ্ছি, তারাই রিভার্স কাঁথা স্টিচের কাজ করে থাকেন। মজুরির উপর দাম নির্ভর করে। সর্বনিম্ন ৩০০০ টাকা থেকে শুরু এই শাড়ির দাম।”রিভার্স কাঁথার শাড়ি বাদ দিয়েও কাবেরী বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করছেন মেয়েদের কুর্তি থেকে শুরু করে অন্যান্য পোশাক। বিভিন্ন ধরনের সরকারি মেলাগুলিতে কাবেরী বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রোডাক্ট গুলি বিক্রি করেন। তবে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তার পক্ষে। শাড়ি গুলি সেলাই করার মহিলাদের সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকছে। যদিও মেয়েদেরকে স্বনির্ভরতার পথ দেখানোর ইচ্ছা থেকেই এমন কাজ শুরু করেন তিনি।

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

ইতিমধ্যেই এসেছে ৪০ হাজার টাকার একটি অর্ডার। নতুনত্ব শাড়ি বিক্রি করে স্বনির্ভরতার পথ দেখছে বাঁকুড়ার মহিলারা। শিল্প ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের কারণে বিখ্যাত বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর। বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর এর শাড়ি মানুষের বিশেষ পছন্দ। কিন্তু আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিত্য নতুন নতুনত্ব ঘরানার শাড়ি তৈরি হচ্ছে জেলা জুড়ে। রিভার্স কাঁথা স্টিচ তার মধ্যে সব থেকে বেশি নজর কেড়েছে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী