দক্ষিণ ২৪ পরগনার: এই তীব্র গরমে স্বাভাবিকভাবেই ঠান্ডা পানীয় জলের চাহিদা বেড়েছে। তবে আরও এমন একটা জিনিসের চাহিদা বেড়েছে যা শুনলে অবাক হয়ে যাবেন। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিড়ির চাহিদা! কিন্তু এই তুঙ্গ চাহিদা সামলে উঠতে পারছেন না বিড়ি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে দোকানদার কেউই। কারণ গরমের জন্য বেশি কাজ করতে পারছেন না বিড়ি শ্রমিকরা। ফলে চাহিদা ও যোগানের বিরাট ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর, কুলতলি গোসাবা, বাসন্তি, ক্যানিং, বজবজ এই সমস্ত এলাকায় বহু মানুষ বিড়ি বাঁধাই শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু এই প্রচন্ড গরমের জন্য এই সব বিড়ি শ্রমিকরা ইচ্ছে থাকলেও বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। ফলে বিড়ির বাড়তি চাহিদা যোগান দেওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোট কাটাকুটির অঙ্কে মুর্শিদাবাদে ‘পদ্ম’ ফোটানোর আশা
বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বেশ কম। তার উপর দীর্ঘদিন এই কাজ করার ফলে নানান কঠিন অসুখে তাঁরা আক্রান্ত হন। তবেৎসংসার সামাল দিতে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। একটাই এই গরমের মধ্যে বিড়ি তৈরি করতে গেলে এই সমস্ত শ্রমিকদের তাই একই জায়গায় একভাবে বসে থেকে সারাদিন ধরে বিড়ি তৈরি করতে হয় এবং এবং বাধা হয়ে গেলে সেগুলি আবার আগুনে সেঁকে নিতে হয়। কিন্তু এই গরমে বেশিক্ষণ এইভাবে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই চাহিদা থাকলেও বিড়ির যোগানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে অনেক সময় বাজারে বিড়ি কিনতে গিয়ে হতাশ হতে হচ্ছে বিড়িপ্রেমীদের।
সুমন সাহা