মোমো বি্ক্রেতা বিটেক ইঞ্জিনিয়ার রাজীব

BTech Momowala: বি-টেক ‘রাঁধুনির’ হাতের জাদুতে মজে শহরবাসী, এমন সুস্বাদু মোমো কোথায় মিলছে জানেন?

জলপাইগুড়ি: উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হলেই শুধু চাকরি নয়, যে কোনও ব্যবসাও হতে পারে অর্থ উপার্জনের চাবিকাঠি! এমনটাই কিন্তু বারংবার এই নয়া প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা দেখিয়ে দিচ্ছেন। এম.এ পাশ চায়েওয়ালার মতো সাম্প্রতিক কালে দেশ জুড়ে এরকম বহু উদাহরণ রয়েছে যারা মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে নিজেদের স্টার্টআপ শুরু করেছে নিঃসঙ্কোচে।

তেমনই জলপাইগুড়িবাসী এখন মজেছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের হাতের পুদিনা মোমোর স্বাদে। এক কথায় বলা যেতে পারে বি.টেক মোমো বিক্রেতার এখন জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। সন্ধে হলেই জলপাইগুড়ির ডিবিসি রোড সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার পাশে দোকানের সরঞ্জাম নিয়ে বসে পড়েন শহরের হাকিমপাড়ার বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার দম্পতি।

আরও পড়ুন: হেপাটাইটিসে রেকর্ড গড়েছে ভারত-বাড়ছে মৃত্যু! কীভাবে ছড়ায় এই রোগ? বাঁচার উপায় কী? জরুরি কথা জানুন

রকমারি মোমো থেকে শুরু করে রকমারি খাবারের স্বাদ নিতে উপচে পড়া ভিড় থাকে বেশিরভাগ সময়েই। তবে তিনি চাকরি ছাড়েননি। একটি বেসরকারি ইন্সটিটিউটে কর্মরত হওয়ার পাশাপাশি শুরু করেছেন এই ব্যবসা। চাকরির পাশাপাশি কেন এই উদ্যোগ? ইঞ্জিনিয়ার রাজীব সাহা জানান, বাবার কাজের সূত্রে ছোট থেকেই বাড়িতে রকমারি রান্নার পরিবেশ পেয়েছিলেন তিনি। সুপ্ত ইচ্ছেটা বাস্তবায়িত হল সম্প্রতি। বাবা আর নেই। পেশাগত চাপ সামলে বাবার ‘ভালবাসার কাজ’কে আপন করে নিয়েছেন ছেলে।

আরও পড়ুন: ড্রাই ফ্রুটস জলের বদলে দুধে ভেজালে কী হয় জানেন? এই স্ন্যাকস কি বেশি পুষ্টিকর? জরুরি কথা জানুন

এরই সঙ্গে তাঁর যুক্তি, কাজ সারার পর ফাঁকা সময়ে অন্যান্যদের মতো সময় না কাটিয়ে সেই সময়কে সঠিক কাজে লাগালে ভবিষ্যৎ হতে পারে আরও সুন্দর ও সুনিশ্চিত। রাজীবের এই কাজে হাতে হাত লাগিয়ে সবসময় পাশে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী-ও। তাদের নতুন এই দোকান ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়িবাসীর ভালবাসা পেয়েছে। দোকানে রয়েছে দু’জন কর্মীও। বেশ কয়েক রকমের ভিন্ন স্বাদের মোমোর পাশাপাশি দোকানে রয়েছে চাউমিন -সহ সুস্বাদু ফাস্ট ফুডের নানা পদের সমাহার।

আরও পড়ুন: হেপাটাইটিসে রেকর্ড গড়েছে ভারত-বাড়ছে মৃত্যু! কীভাবে ছড়ায় এই রোগ? বাঁচার উপায় কী? জরুরি কথা জানুন

স্বামীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দোকান সামলান ইঞ্জিনিয়ার স্ত্রী শ্রোয়েতাও। তবে তাঁদের দোকানের ‘চিকেন-পুদিনা মোমো’ -র টানে নিত্যদিন ভিড় জমান অনেকেই। প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মাইক্রোসফটে কাজ করা এক কর্মী তাঁর অবসর সময়ে অটো চালাচ্ছেন। আসলেই কোনও কাজ যে আসলে ছোট নয় তা এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা নিজেদের কাজের মাধ্যমেই অন্যদের শিখিয়ে দিচ্ছেন প্রত্যেক মুহূর্তে। নয়া প্রজন্মের এমন ছকভাঙা ভাবনাচিন্তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

সুরজিৎ দে