ক্যাটেস

Cassette Museum: নস্টালজিয়া বাঁচিয়ে রাখতে মিউজিয়াম গড়ে ফেলেছেন এই যুবক! কীসের জানেন?

জলপাইগুড়ি: ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এই বিশেষ সংগ্রহশালা বা মিউজিয়াম বানানোর চেষ্টায় রত এই যুবক। কিন্তু কীসের মিউজিয়াম জানেন?

মেলোডিয়াস যুগের এক অন্যতম চিহ্ন এ‌ই বিশেষ জিনিসটি। এটা এখন প্রায় বিলুপ্ত। কথা হচ্ছে অডিও ক্যাসেট নিয়ে। বিলুপ্ত অডিও ক্যাসেট জমানো জলপাইগুড়ির এই যুবকের নেশা। যদিও এখন কারওর গান শুনতে ইচ্ছা হলে স্পটিফাই, গানা কিংবা ইউটিউবের সাহায্যে সহজেই সেই প্রয়োজন মিটে যায়। এর জন্য হাতে একটা স্মার্টফোন থাকলেই চলে যায়, আর কোন‌ও কিছুর দরকার পড়ে না।

আজকের দিনে সিডি, ক্যাসেট কিংবা ভিসিডি এই শব্দগুলো কেমন যেন অচেনা শোনায়। আজকের প্রজন্ম হয়ত দেখেইনি এগুলোর ব্যবহার। ইন্টারনেটের উৎকর্ষতায় এগুলো যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগের জিনিস হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে। সেখানে পুরোনো অডিও রিল ক্যাসেট প্লেয়ার দিয়ে ৮০-৯০ এর দশকের গান প্রতিনিয়ত বাজিয়ে চলেছেন জলপাইগুড়ির রায়কত পাড়ার যুবক আশিস চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন: বিধ্বংসী আগুন! লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই সবকিছু

এই যুবক নতুনত্বকে অস্বীকার করছেন না। তবে পুরনো ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টায় পুরনো অডিও ক্যাসেট জমিয়ে মিউজিয়াম তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর জন্য সংগ্ৰহ করছেন ক্যাসেট এবং প্রতিদিন সেগুলো বাজাচ্ছেন। তাঁর কাছে ৭০০-এরও বেশি ৮০ ও ৯০ দশকেরও বেশি ক্যাসেট কাছে। তাঁর সঙ্গে কথা বলে যেটুকু বোঝা গেল, আশি এবং নব্বইয়ের দশকে বিনোদনের একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল ক্যাসেট এবং অডিও প্লেয়ার। সেগুলো আজকের দিনে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এমন বেশ কিছু বিরল সংগ্রহ নিয়ে তিনি এই মিউজিয়াম গড়তে চান।

সুরজিৎ দে