আলিপুরদুয়ার: মসলিন, জামদানি থেকে শুরু করে রাজশাহী সিল্ক কিনতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের কাছে ছুটছে হ্যামিল্টনগঞ্জের মানুষ। তবে এর জন্য বাংলাদেশে যেতে হচ্ছে না, এলাকায় বসেই সবটা হয়ে যাচ্ছে। কারণ এই প্রথমবার হ্যামিল্টনগঞ্জে বাংলাদেশের শাড়ির সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছেন তিন ব্যবসায়ী।
শাড়ি রতে যারা ভালবাসেন তাঁদের কাছে বিভিন্ন রকমের শাড়ির সম্ভার লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে হ্যান্ডলুম শাড়ির চল যথেষ্ট। কিন্তু জামদানি শাড়ির কথা এলে কোনও মহিলা আর মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেন না। বিশেষ করে বাংলাদেশের ঢাকাই জামদানি শাড়ি হলে তো কোনও কথাই নেই। হালকা মসলিন শাড়ি পছন্দ করেন অনেক মহিলাই।মসলিন, জামদানি, রাজশাহী সিল্ক সহ বাংলাদেশের গামছা এলাকায় মিলছে শুনেই সন্ধের পর থেকে হ্যামিলটনগঞ্জের মহিলাদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে দোকানের সামনে।
শাড়ি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, প্রথমবার শাড়ি নিয়ে হ্যামিল্টনগঞ্জে এসে ভাল সাড়া পাচ্ছেন।হাজার টাকা থেকে শাড়ির দাম শুরু, যা পনেরো হাজার টাকা অবদি আছে। সব ধরনের গ্রাহকরাই তাঁদের কাছে আসছে বলে ওই শাড়ি ব্যবসায়ীরা জানান। বাংলাদেশের মসলিন শাড়ির জগৎজোড়া নাম আছে। এই শাড়ি হালকা রঙের হয়। পাশাপাশি হালকাও হয়। কাজগুলি সূক্ষ হয়। যে কোনও অনুষ্ঠানে এই শাড়ি রলে মোহময়ী হয়ে ওঠেন মহিলারা, এমনটাই জানিয়েছেন ওই শাড়ি ব্যবসায়ীরা।
আলিপুরদুয়ার:নেপালি সম্প্রদায়ের অন্যতম সুস্বাদু খাবার সেল রুটি।নেপালিদের তিহার উৎসব চলাকালীন এই সেল রুটি খাওয়ার চল রয়েছে।এমনকি ভাইটিকা ও তার পরবর্তী সময়ে নেপালি সম্প্রদায়ের মহিলারা এই রুটি তৈরি করে থাকেন।
এই রুটিটি দেখতে রিংয়ের মত হয়। চালের গুঁড়ো-সহ নানা উপাদান মিশিয়ে এই রুটিটি তৈরি করা হয়। সেল রুটির পুরো রেসিপি জানালেন সাগর বিশ্বকর্মা। তিনি জানান, ‘এই খাবারটি আগে নেপালি মহিলারা শুধু তৈরি করতে জানলেও এখন ছেলেরা তৈরি করছে। খাবারটি প্রাচীন খাবার।বাড়িতে তিহারের সময় বন্ধুদের ডেকে খাওয়ান হয়।’
আতপ চালের গুঁড়ো দিয়ে আটা তৈরি হয়, যা দিয়ে তৈরি হয় খাবারটি। পিষে নেওয়া চালের আটার সঙ্গে জল, চিনি এবং ঘি দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করা হয়। এলাচ এবং লবঙ্গের মতো মশলা যোগ করা হয় মিশ্রণে। উপাদানগুলিকে মিশিয়ে কয়েক ঘণ্টা রেখে দেওয়া হয়। এরপর রান্নার তেল বা ঘি দিয়ে ভাজা হয় সেল রুটি। মিশ্রণটি তৈরির সময় জলের পরিবর্তে দুধ যোগ করলে তা আরও খেতে ভাল হয়।
সেল রুটি প্রচুর পরিমাণে রান্না করা হয় তিহার চলাকালীন। কমপক্ষে ১৫ দিনের জন্য ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যেতে পারে এই রুটিটি।নেপালিরা সেল রুটি বাড়ি থেকে দূরে বসবাসকারী পরিবারের সদস্যদের বিশেষ উপহার হিসাবে পাঠিয়ে থাকেন।
আলিপুরদুয়ার: মাছ ধরতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু দুই কিশোরের। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য জয়গাঁর শুক্রাজোতে। দুই কিশোরের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। সকালে নদীর ধারে খেলতে গিয়েছিল রমিত নাগাসিয়া ও ভোলা বরাই। রমিতের বয়স ১২ বছর। ভোলার বয়স ১৫। তারা শুক্রাজোত এলাকার বাসিন্দা। তাদের সঙ্গে খেলতে গিয়েছিল আরও দুই বন্ধু।
নদীতে মাছ ধরতে যাবে বলে অসাবধনতাবশত জলের গভীরে চলে যায় তারা। এরপরে টাল সামলাতে না পেড়ে ভেসে যান তারা।তাদের দুই বন্ধু এসে খবর দেয় গ্রামে।খবর দেওয়া হয় জয়গাঁ থানাতে। খবর পৌঁছায় কালচিনির বিডিও জয়দীপ চক্রবর্তীর কাছে।তিনি ঘটনাস্থলে সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের নিয়ে যান। জানা যায় দুপুর আড়াইটার দিকে পাওয়া যায় বি বাড়ির সামনে থেকে দুই কিশোরের দেহ।