মুর্শিদাবাদ: প্রেম বড় মধুর। আর ত্রিকোণপ্রেমের জেরে সংকটে এখন প্রেমিক সহ স্বামী।মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরপাড়ার দেবীপুর এলাকা। আর এই এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা ও এক পুরুষ। তাদের স্থানীয় স্কুল জীবনে শুরু হয় দু’জনের লায়লা মজনুর মতো প্রেম দিয়েই। আর সেখান থেকেই জন্ম নেয় ভালবাসা। কিন্তু তাদের প্রেমের বিষয়ে মহিলার বাবার বাড়ির মানুষ জেনে ফেললে, খুব তড়িঘড়ি সাগরপাড়ার খয়রামারীর বাসিন্দা এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় আজ থেকে প্রায় ১৬ বছর আগে ।
তারপর থেকে দু’জনের বৈবাহিক সংসার জীবন ভালই চলছিল এবং তাদের দুটো কন্যা সন্তান রয়েছে । এখন গৃহবধূর বয়স প্রায় ৩৬ বছর। স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই চলছে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক। জানা যায়, আজ থেকে দু’বছর আগে তার স্বামী হঠাৎ অসুস্থ হওয়ার কারণেই হাসপাতালে ভর্তি হন। আর এইদিকে স্ত্রী বাড়ি থেকে চম্পট দেন । সকলে মিলে খোঁজাখুঁজি করে শেষমেষ সেই পুরোনো প্রেমিকের বাড়িতে পাওয়া যায়। ওখান থেকে বুঝিয়ে আবার বাড়িতে ফেরত আনা হয় স্ত্রীকে। স্বামীর কাছে মাস দুয়েক থাকার পর আবার পালিয়ে যায় তার প্রেমিকের কাছে।
আরও পড়ুন: গরম তেল হাতে পড়েছে? দাঁদ যাচ্ছে না? সর্দি-কাশি? এই ফুল আর পাতাতেই মিলবে মুক্তি
এইভাবে স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়ে, স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের কাছে এই পর্যন্ত পাঁচ বার যাওয়া আসা করা হল বলে অভিযোগ। আর এদের ঘটনা নিয়ে সাগরপাড়া থানায় গ্রামের যারা বিশিষ্ট ব্যক্তি রয়েছে সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে। মহিলার বক্তব্য, স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই সবার সামনে এই ভাবেই করব প্রেম পারলে যেন ঠেকায় আমাকে।স্বামী সুখেন দত্তর বক্তব্য , ও প্রেমিক এর কাছে যাবে যাক, কোন সমস্যা নেই, কিন্তু আমাকে তো ডিভোর্স দেবে ! ডিভোর্স কেন দিচ্ছে না? যদিও গৃহবধূর দাবি এটা আমার সম্পুর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি কার কাছে থাকব। আর তাই বর্তমানে একজন প্রেমিকা আর সংকটে প্রেমিক ও স্বামী।
কৌশিক অধিকারী