সিপিএম প্রার্থীর ভোট প্রচার

CPIM in Bengal: রচনা-লকেট লড়াই হুগলিতে, কিন্তু চমকে দিলেন বাম প্রার্থী! এমন কাজ করলেন, জনতাও থ

সোমনাথ ঘোষ, চুঁচুড়া: আজ হুগলির বাম প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ নিজ এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচারে বের হন। ভদ্রেশ্বর তেলিনীপাড়া বয়েজ স্কুলের সামনে থেকে শুরু হয় প্রচার। বাজনার তালে ভদ্রেশ্বরের জিটি রোড, স্টেশন রোড সংলগ্ন ২০নং ওয়ার্ডের লিচুতলায় বিভিন্ন এলাকায় পথ পরিক্রমা করে প্রচার মিছিল। পথে প্রচারে গরম থেকে বাঁচতে ওআরএস-এ গলা ভেজান বাম প্রার্থী। ভদ্রেশ্বর এলাকার চটকল শ্রমিকদের সমস্যা, স্কুলবন্ধ, বেকারত্ব, কাজ না পেয়ে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে যাওয়া নিয়ে সরব হন মনোদীপ ঘোষ।

আর সেখানেই ভোটের প্রচারে দেওয়াল লিখনে এক পুরনো কৌশল নিল বামেরা। সেই কৌশলেই ডিজিটাল ছোঁয়া হুগলির বাম প্রার্থীর দেওয়াল লিখনে। একটা সময় ছিল যখন কাট আউট ফ্লেক্স ব্যানার ছিল না। ভোটের প্রচারে দেওয়াল লিখন ছিল মাধ্যম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রচারে কৌশল বদলেছে। দেওয়াল লিখতে গেলে বৈধ অনুমতির প্রয়োজন হয়। সরকারি দেওয়ালে লেখা যায় না। তবু দেওয়াল লিখন তার গরিমা ধরে রেখেছে এখনও। বাম ডান সব দলই দেওয়াল লিখে প্রচার করছে।

আরও পড়ুন: তমলুকে কি জোর লড়াই দেবে CPIM? সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে যা ঘটল নন্দীগ্রামে, নিশানায় বিজেপি!

হুগলিতে তৃণমূলের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের দিকে নজর থাকবে সবার। তবে বাম প্রার্থী ভোট ময়দানে নতুন মুখ মনোদীপ ঘোষের দেওয়াল লিখন নজর কাড়ছে। প্রার্থী মনোদীপের ছবি ডিজিটাল পেপারে ল্যামিনেশন করে দেওয়ালে ডিডিএল আঠা দিয়ে এমন ভাবে সাঁটানো হয়েছে যা দেওয়াল লিখনের সঙ্গে মানানসই। এতে প্রার্থীকে চিনতে সুবিধা হচ্ছে যারা দেওয়াল লিখন দেখছেন, তাদের। ভোট এলেই দেওয়াল ভরে ওঠে নানা ছবি ছড়ায়।

শিল্পী সুভাষ দত্ত বলেন, দেওয়াল লেখার পর প্রার্থীর ছবিকে ডিজিটাল প্রিন্ট করে আঠা দিয়ে এমন ভাবে বসানো হয়, যাতে মনে হবে দেওয়ালে ছবি আঁকা হয়েছে। ছবি সাঁটানোর আগে বেসটা এমন ভাবে তৈরী করা হয় যাতে রঙ মেশানোর পর আর বোঝার উপায় থাকে না দেওয়াল লেখা আর ছবি আলাদা। আর এই ছবি রোদ বৃষ্টিতেও নষ্ট হয় না। খরচও কম। নতুন ধরনের এই দেওয়াল প্রচার হুগলিতে নজর কাড়ছে বলাই যায়।