দাবা খেলা

Birbhum News: ক্রিকেট, ফুটবল অতীত!এবার মস্তিস্ক চাঙ্গা করতে মস্ত দাবার আসর সিউড়িতে

বীরভূম: কথায় আছে, অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। তাই ফাঁকা সময় অলস ভাবে না কাটিয়ে খেলায় মন দিতে পারেন যে কোনও বয়সেই। বয়সকালে মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখতে রকমারি খেলা বিশেষ সহায়ক হতে পারে। এতে চিন্তাভাবনার ক্ষমতা যেমন বাড়বে, তেমনই বুদ্ধির গোড়ায় শান দেওয়াও যাবে।এই খেলায় প্রখর বুদ্ধির প্রয়োজন। মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে দাবা খেলা বিশেষ কার্যকর হতে পারে। নাতি-নাতনির সঙ্গে বসেও কিন্তু বয়স্করা এক হাত দাবা খেলে নিতে পারেন। শুধু বয়সকালেই নয়, অফিস-পরিবারের চাপ সামলে ফাঁকা সময়ে দাবা খেলার অভ্যাস যে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্যই ভাল।

আর সেই কারণেই এবার বীরভূমের সিউড়ি দাবা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আয়োজনে বীরভূম জেলা ব্যাপী একদিনের দাবা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।সিউড়ি চৈতালী মোড় সংলগ্ন বীরভূম সমবায় ও কৃষি ব্যাংকের দ্বিতল কক্ষে বেলা সাড়ে ১০ টা নাগাদ এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এই প্রতিযোগিতায় সাঁইথিয়া, বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, বোলপুর,লাভপুর,কীর্ণাহার এমন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করে। উল্লেখ্য, স্বর্গীয় অমিয় নিমাই চ্যাটার্জির স্মৃতিতে এবার এই দাবা প্রতিযোগিতা তৃতীয় বর্ষে পড়ল। খেলা হয় (RAPID) ফরমেটে, ৫ রাউন্ডে।সময় নির্ধারিত হয় ১৫/১৫ মিনিট। সবার জন্য ছিল পুরস্কার ও সার্টিফিকেট। বালক/বালিকা মিলিয়ে বিভাগ ও বয়সভিত্তিক অনূর্ধ্ব ৮, অনূর্ধ্ব ১০, অনূর্ধ্ব ১২, অনূর্ধ্ব ১৫, অনূর্ধ্ব ১৯ এবং সর্বসাধারণের জন্য মোট ছটি বিভাগে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন : সিঁদুরচর্চিত মুখমণ্ডলে উজ্জ্বল জাগ্রত ত্রিনয়ন, এখানে মহেশ্বরের অপূর্ব রূপ, জাগ্রত এই শৈবপীঠ কোথায়

নবীন প্রবীণ সব বয়সের প্রতিযোগীদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মত। প্রথম থেকে পঞ্চম স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। প্রত্যেক গ্রুপের জন্য দেওয়া হয় আলাদা আলাদা পুরস্কার। মুখ্য বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তাপস বিশ্বাস।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সভাপতি সন্দীপ পাল, ব্যাংকের ম্যানেজার নৈমুর উদ্দিন রহমান প্রমুখ। বীরভূম জেলা দাবা সংস্থার সম্পাদক তথা শিক্ষক বিজয় সাউ জানান, এই প্রতিযোগিতার স্থানাধিকারীরা আগামী রাজ্যস্তর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে।

আরও পড়ুন : সবজি নাকি মিষ্টি? রসে টসটসে, মুখে দিলেই তৃপ্তি! অমৃত সমান এই মিষ্টি কী বলুন তো, কীভাবে এল বাংলার মাটিতে? জানুন লম্বা ইতিহাস

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য বিশেষ ভাবে নকশা করে এই খেলা তৈরি করা হয়েছে। অনলাইনে খেলা যায়, আবার অ্যাপ থেকে নামিয়েও নিয়েও খেলা যায়।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

বিশেষত প্রাপ্তবয়স্করা সপ্তাহে তিন দিন ১৫ মিনিট করে খেললেও মনঃসংযোগ বাড়বে।

সৌভিক রায়