সাইবার ক্রাইম

Cyber Crime: সারা বছরে ভারতে কত টাকার সাইবার প্রতারণা হয়? জানলে পায়ের তলার মাটি সরে যাবে

কলকাতাঃ ভারতের বিভিন্ন সাইবার থানা থেকে আরম্ভ করে স্থানীয় থানায়, প্রতিদিন সাইবার অপরাধের অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়ছে। কখনও কী ভেবে দেখেছেন সারা ভারতবর্ষে বছরে কত টাকার প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়ে? সেই সংখ্যা যদি শোনেন তাহলে চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যাবে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতবর্ষে বড় শহর থেকে ছোট শহরগুলিতে সাইবার প্রতারণার শিকার বেশি। সাইবার শিকার করতে গেলে যে তথ্য দরকার। সেই তথ্য পাওয়া যায় কোথা থেকে?  ২০২২সালে সাইবার প্রতারণার আর্থিক অংক ছিল ১০০০০ কোটি টাকার এদিক ওদিক। ২০২৩এ সেই আর্থিক প্রতারণার অঙ্ক এসে দাঁড়ায় ৭০,০০০কোটি টাকার কম বেশি। সেই প্রতারণার টাকার ১০%বেশি উদ্ধার হয়নি এখনও পর্যন্ত।

আরও পড়ুনঃ গরমে ভুলেও ছোঁবেন না এই ৫ খাবার! নিমেষে হতে পারে চরম বিপদ! হৃদরোগ, এমনকী মৃত্যুও…জানুন বিশেষজ্ঞের মত

সাইবার দফতরের বক্তব্য অনুযায়ী, অভিযোগ পাওয়া গেলেও যখনই তদন্ত নেমেছে সাইবার পুলিশ। প্রথমত তারা দেখেছে সেই প্রতারকদের IP Address বিদেশি। যেমন দুবাই, বাংলাদেশ, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশের। রাজ্যের সাইবার আধিকারিকদের দাবি, পাকিস্তান কিংবা ওই জাতীয় যে সমস্ত দেশ রয়েছে, সেখানে ওই IP সংক্রান্ত কোনও চিঠি লিখলে তার উত্তর পাওয়া যায় না। যার ফলে ওই প্রতারকদের নাগাল পাওয়া যায় না।   সাইবার ক্রাইম আধিকারিক সূত্রে খবর, প্রতিবছর ১৫-২০% হারে সাইবার অপরাধ বাড়ছে। সারা দেশের মধ্যে বছরে পশ্চিম বঙ্গে বছরে ৮০,০০০ এর বেশি সাইবার অপরাধের অভিযোগ জমা পড়ছে। যে অভিযোগ কলকাতা, শিলিগুড়ি, বর্ধমান, বাঁকুড়া এই ধরনের রাজ্যের ছোট বড় শহরগুলির থেকে হচ্ছে। এছাড়াও সারা বাংলার অভিযোগ রয়েছে। তবে সাইবার অপরাধীরা গ্রাম বাংলাকে অপেক্ষাকৃত কম টার্গেট করছে।

তবে এখন প্রশ্ন সমস্ত নথি কী করে পাচ্ছে অপরাধীরা? এক্ষেত্রে এক সাইবার দফতরের আধিকারিকের বক্তব্য, এই সমস্ত তথ্য পাচারের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলির ভূমিকা সব থেকে বেশি। কারণ ব্যাঙ্কগুলি বিভিন্ন এজেন্ট মারফত লোন দেবার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের গোপন নথি জোগাড় করে। যেগুলি সাইবার প্রতারকদের হাতে চলে যায়। ফলে সাইবার প্রতারকদের ফোন ৮০% বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে ওদের শিকারদের কাছে।   তবে এ পর্যন্ত যে সমস্ত সাইবার অপরাধী ধরা পড়েছে, তাদের শাস্তি হয়েছে।