Tag Archives: Cyber Attack

Amit Shah on Cyber Crime : সাইবার ক্রাইম রুখতে আরও কঠোর ভারত সরকার, নেওয়া হচ্ছে এই বিশেষ ব্যবস্থা

নয়াদিল্লি : সাইবার ক্রাইম এখন আর নতুন কোনও ইস্যু নয়৷ দেশে প্রায় প্রত্যেক দিনই কেউ না কেউ এই অনলাইন  অপরাধের শিকার হচ্ছেন৷  বিষয়টাকে আর হালকাভাবে নিতে নারাজ ভারত সরকার৷

দেশে এবার সাইবার অপরাধের মোকাবেলায় বিশেষ উদ্যোগ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ অন্তত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কথায় সেটা পরিষ্কার৷ কী করা হচ্ছে? আগামী পাঁচ বছরে ৫ হাজার সাইবার কমান্ডোকে প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ যারা সাইবার ইস্যু সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যার দেখভাল করবে৷ এখানেই শেষ নয়,  মঙ্গলবার সাইবার নিরাপত্তাকে জাতীয় নিরাপত্তার একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে জানিয়েছেন অমিত শাহ।

আরও পড়ুন : দূরপাল্লার ট্রেনে আপনি একা মহিলাযাত্রী? ভয় পাবেন না! জানুন আপনার সুরক্ষায় থাকা ‘মেরি সহেলী’-কে

নয়াদিল্লিতে I4C বা ভারতীয় সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ সেখানেই তিনি বলেছিলেন, সাইবার অপরাধের কোনও নির্দিষ্ট সীমা নেই, আর তাই সমস্ত স্টেকহোল্ডারকে এই বিপদের মোকাবেলা করতে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে সবাইকে সাবধানে থাকার পরামর্শও দেন তিনি৷

শাহ বলেছেন, “সাইবার নিরাপত্তা জাতীয় নিরাপত্তার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের অবশ্যই সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে, কারণ সাইবার নিরাপত্তা ছাড়া দেশের অগ্রগতি সম্ভব নয়।”

আরও পড়ুন : নিষিদ্ধ সমস্ত বাজি! দূষণ রোধে দীপাবলির আগে বড় সিদ্ধান্ত রাজধানীতে

এখানেই শেষ নয়৷ আরও একটি পরিসংখ্য়ানের কথা উল্লেখ করেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তাঁর মতে, বিশ্বের প্রায় ৪৬ শতাংশ ডিজিটাল লেনদেন ভারতে হয়ে থাকে৷ আর তাই সাইবার সিকিউরিটি আরও আঁটোসাটো না হলে দেশকে ভবিষ্যতে বড় সমস্যার মুখেও পড়তে হতে পারে৷

শাহ দেশে সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য I4C-এর অধীনে চারটি প্ল্যাটফর্মও উদ্বোধন করেছেন।

DDoS Attack: সাবধান! DDoS অ্যাটাক থেকে বাঁচুন, এগুলো কী? কীভাবে ক্ষতি করে? রইল নিরাপদ থাকার টিপস

কলকাতা: আজকের ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপে সাইবার আক্রমণ হয়ে উঠছে ক্রমবর্ধমান। ঘন ঘন বিভিন্ন ধরনের আক্রমণের মধ্যে অন্যতম ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অফ সার্ভিস (DDoS) আক্রমণ। সম্প্রতি, এলন মাস্ক, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এর (আগের টুইটার) মালিকের সঙ্গে প্রাক্তন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি নির্ধারিত কথোপকথনের ঠিক আগে যখন এক্স একটি DDoS আক্রমণের সম্মুখীন হয়, তখন এই ধরনের আক্রমণের তীব্রতা তুলে ধরেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঘটনাটি নিঃসন্দেহে DDoS আক্রমণের বিপদ এবং প্রভাবের দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করে। জেনে নেওয়া যাক একটি DDoS আক্রমণ কী, এটি কীভাবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিকে প্রভাবিত করে এবং ঝুঁকিগুলি হ্রাস করার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

DDoS আক্রমণ: এটা কী-

ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অফ সার্ভিস (DDoS) আক্রমণ হল সাইবার আক্রমণের একটি প্রকার, যা একটি ওয়েবসাইট, অনলাইন পরিষেবা বা নেটওয়ার্ককে লক্ষ্য করে অত্যধিক ট্র্যাফিক সহ ডিজাইন করা হয়েছে, এটি বৈধ ব্যবহারকারীদের কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য নয়। একটি নিয়মিত ডিনায়াল অফ সার্ভিস (DoS) আক্রমণের বিপরীতে, যা সাধারণত একটি একক উৎস থেকে উদ্ভূত, এই DDoS আক্রমণ একাধিক কম্পিউটারকে লক্ষ্য পূরণ করতে টার্গেট করে।

একটি DDoS আক্রমণের উদ্দেশ্য হল লক্ষ্যের সংস্থানগুলি, যেমন ব্যান্ডউইথ, প্রক্রিয়াকরণ শক্তি, বা মেমরিকে নিঃশেষ করা, যার ফলে পরিষেবাটি উল্লেখযোগ্যভাবে ধীর হয়ে যায় বা সম্পূর্ণভাবে ক্র্যাশ হয়ে যায়। এই ব্যাঘাত স্থায়ী হতে পারে, অর্থাৎ ঘন্টার পর ঘণ্টা বা এমনকি দিনের পরে দিনও। এটি আক্রমণের তীব্রতা এবং লক্ষ্যের প্রতিরক্ষার দৃঢ়তার উপর নির্ভর করে।

DDoS আক্রমণ: এটি কীভাবে কাজ করে-

DDoS আক্রমণগুলি লক্ষ্যের সার্ভারকে অপ্রতিরোধ্য করে কাজ করে বা প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক সহ নেটওয়ার্ক আছে এমন আক্রমণকারীরা এটি অর্জন করতে পারে। এমনই কয়েকটি পদ্ধতি:

HTTP আক্রমণ: এটি DDoS আক্রমণের সবচেয়ে সাধারণ ধরনগুলির মধ্যে একটি। যেখানে একটি সার্ভার বিপুল সংখ্যক HTTP অনুরোধের সঙ্গে জালিয়াতি করে। এমন একটি ঘটনা কল্পনা করা যাক, যেখানে অনেক ব্যবহারকারী একযোগে একটি ওয়েবসাইটে রিফ্রেশ বাটনে ক্লিক করছে- এটি সার্ভারকে ওভারলোড করে, যার ফলে সমস্ত অনুরোধ প্রসেস করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

ভলিউমেট্রিক আক্রমণ: এই আক্রমণগুলির লক্ষ্য একাধিক উৎস থেকে প্রচুর পরিমাণে ডেটা প্রেরণের মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করা। বটনেটগুলি সাধারণত এই ট্র্যাফিক তৈরি করার জন্য নিযুক্ত করা হয়, যার ফলাফল হয় যানজট যা নেটওয়ার্ককে আচ্ছন্ন করাএটি , বৈধ ব্যবহারকারীদের জন্য পরিষেবাটি অ্যাক্সেস করা কঠিন করে তোলে।

অ্যাপ্লিকেশন স্তরে আক্রমণ: এই আক্রমণগুলি একটি নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনে উচ্চ পরিমাণে অনুরোধ পাঠানোর মাধ্যমে নেটওয়ার্কের মধ্যে নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন বা পরিষেবাগুলিকে লক্ষ্য করে। এর লক্ষ্য হল অ্যাপ্লিকেশনের সংস্থানগুলি নিঃশেষ করা, যার ফলে এটি প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে পড়ে।

প্রোটোকল আক্রমণ: এই আক্রমণগুলি লক্ষ্য দ্বারা ব্যবহৃত যোগাযোগ প্রোটোকলের দুর্বলতাকে কাজে লাগায়। বিকৃত প্যাকেট পাঠিয়ে বা প্রোটোকলের ডিজাইনে দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে।

আরও পড়ুন: এসে গেল Swiggy UPI, জানুন কীভাবে এটি সেট করতে হবে, টাকা দেবেন কীভাবে? জানুন নিয়ম

কীভাবে একটি DDoS আক্রমণ সনাক্ত করতে হয়-

একটি DDoS আক্রমণ সনাক্ত করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, বিশেষ করে প্রাথমিক পর্যায়ে। যাই হোক, বেশ কিছু সূচক আছে যা এই ধরনের আক্রমণ সনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে:

DDoS আক্রমণের প্রভাব-

DDoS আক্রমণ ওয়েবসাইটগুলিতে বিধ্বংসী প্রভাব ফেলতে পারে। যা সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং অনলাইন পরিষেবা বিঘ্নিত করতে পারে। সবচেয়ে বেশি তাৎক্ষণিক ভাবে প্রভাবিত হতে পারে রাজস্ব, সুনাম এবং ব্যবহারকারীর বিশ্বাস। গুরুতর ক্ষেত্রে, একটি দীর্ঘায়িত DDoS আক্রমণ হতে পারে। এর ফলে উল্লেখযোগ্য আর্থিক ক্ষতি হয়, বিশেষ করে ইকমার্স সাইট এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মের উপরে যারা নির্ভর করে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ বিলম্ব হতে পারে। যেমন মাস্ক-ট্রাম্পেরকথোপকথন, যেখানে আক্রমণ উল্লেখযোগ্য বিলম্ব ঘটায়। অতিরিক্তভাবে, ডেটা ওভারলোড ব্যাকএন্ডকে প্রভাবিত করতে পারে, যা সম্ভাব্য ডেটা ক্ষতি বা দুর্নীতির দিকে পরিচালিত করে।

DDoS থেকে নিরাপদ থাকার টিপস-

আক্রমণ- যদিও সম্পূর্ণরূপে একটি DDoS আক্রমণ প্রতিরোধ করা চ্যালেঞ্জিং। এটি প্রশমিত করার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

ঝুঁকি- আক্রমণকারীরা তথ্যের স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত করতে পারে।

ওয়েবসাইটের কর্মক্ষমতা হঠাৎ কমে যাওয়া- যদি ওয়েবসাইট বা পরিষেবা হঠাৎ ধীর হয়ে যায় বা প্রতিক্রিয়াহীন হয়। বিশেষ করে অফ-পিক আওয়ারে, এটি একটি DDoS আক্রমণের একটি চিহ্ন হতে পারে।

অস্বাভাবিক ট্রাফিক স্পাইকস- একটি উল্লেখযোগ্য এবং ট্রাফিকের অপ্রত্যাশিত বৃদ্ধি, বিশেষ করে সাধারণত সাইট পরিদর্শনের সময় একটি লাল পতাকা প্রদর্শিত হলে।

নির্দিষ্ট আইপি ঠিকানা থেকে উচ্চ ট্রাফিক- যদি ট্রাফিক একটি একক আইপি ঠিকানা থেকে উদ্ভূত হয়। অনুরূপ বৈশিষ্ট্য সহ আইপি ঠিকানাগুলির গ্রুপেও একটি আক্রমণ হতে পারে।

একটি নির্দিষ্ট পেজে অপ্রতিরোধ্য অনুরোধ- যখন একটি ওয়েবসাইটে একটি নির্দিষ্ট পেজ বা অ্যাপ্লিকেশন, এটি একটি অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ সংখ্যক অনুরোধ গ্রহণ করলে, একটি DDoS আক্রমণে লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।

DDoS সুরক্ষা পরিষেবা-

সাইবার নিরাপত্তা সংস্থাগুলি DDoS সুরক্ষা প্রদান করে। যে পরিষেবাগুলি আগে আক্রমণ সনাক্ত এবং প্রশমিত করতে পারে৷ তারা প্রায়শই এই পরিষেবাগুলির উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করে। এই পরিষেবাগুলি প্রায়ই ট্রাফিক মনিটরিং, ফিল্টারিং এবং লোড অন্তর্ভুক্ত উচ্চ ট্র্যাফিক ভলিউম পরিচালনা করতে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

সীমিত করা: এর সংখ্যা সীমিত করে ব্যবহারকারী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে অনুরোধগুলি করতে পারে, তাতে ওয়েবসাইটগুলি DDoS-এর কার্যকারিতা কমাতে পারে এটি সার্ভারকে এই আক্রমণ থেকে আটকাতে সাহায্য করে।

একটি বিতরণ নেটওয়ার্ক (CDN) স্থাপন: CDN একাধিক সার্ভার জুড়ে কনটেন্ট বিতরণ করে। যে কোনও একক সার্ভারে লোড কমানো যেতে পারে। এটি আক্রমণকারীদের জন্য একটি লক্ষ্য করা আরও কঠিন করে তোলে।

নিয়মিত আপডেট এবং প্যাচ সিস্টেম: নিশ্চিত করা যে সমস্ত সিস্টেম এবং অ্যাপ্লিকেশন আপ টু ডেট আছে কি না। সর্বশেষ নিরাপত্তা প্যাচ DDoS আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।

রিয়েল-টাইমে ট্র্যাফিক মনিটর: রিয়েল-টাইম ট্র্যাফিক মনিটরিং প্রথম দিকে অস্বাভাবিক নিদর্শন সনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে। যা সম্ভাব্য DDoS-এর দ্রুত প্রতিক্রিয়ার জন্য অনুমতি দেয়।

Microsoft Outage: মাত্র কয়েক ঘণ্টায় ‘তোলপাড়’ বিশ্ব…! বাতিল হাজার হাজার বিমান, মুখ থুবড়ে পড়ল ব্যাঙ্ক, হাসপাতাল, কারণটা কী?

যেন ভার্চুয়াল লকডাউন। কয়েক ঘণ্টার জন্য অচল হয়ে যায় মাইক্রোসফট। প্রথমে বোঝা যায়নি কী হল। কম্পিউটার স্ক্রিন নীল। রিস্টার্ট করতে বলা হচ্ছে। কিন্তু বারবার রিস্টার্ট করেও লাভ হচ্ছে না কিছুই। তারপর জানা যায়, গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম ক্রাউডস্ট্রাইকের সফটওয়্যার আপডেটের কারণেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মাইক্রোসফট পরিষেবা।

মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তাতেই তোলপাড় পড়ে যায় গোটা বিশ্বে। হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল হয়। দেরি হয় হাজার হাজার বিমানের। যাত্রীদের লাইন পড়ে যায় এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন বিমানবন্দরে। অনলাইনে চেক ইন থেকে বোর্ডিং প্রক্রিয়া সারতে গিয়ে মাথায় হাত। শেষ পর্যন্ত ফিরতে হয় ম্যানুয়াল মোডে।

একই অবস্থা হাসপাতাল থেকে মিডিয়া হাউজেও। ব্রিটেনে অনলাইন বুকিং সিস্টেম বন্ধ হয়ে যায়। রোগীদের মেডিক্যাল হিস্ট্রি দেখতে গিয়ে জেরবার হন চিকিৎসকরা। সে দেশের প্রধান বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ লাইভ অনুষ্ঠান বাতিল করে দেয়। এ জন্য দর্শকদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছে তারা। আমেরিকায় কাজ করছিল না ৯১১ নম্বর। বন্ধ হয়ে যায় জরুরী পরিষেবা।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজক কমিটিও জানিয়েছে, মাইক্রোসফট বিভ্রাটের জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। অষ্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে ব্যাঙ্কগুলি মুখ থুবড়ে পড়ে। লগ ইন করতে সমস্যা হয়। সব মিলিয়ে ত্রাহি রব উঠে যায় প্রায় গোটা বিশ্বেই।

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

এই ঘটনার পিছনে আসল ‘কালপ্রিট’ হল ক্রাউডস্ট্রাইক। এই আমেরিকান সিকিউরিটি ফার্ম কোম্পানিগুলোকে ‘নিরাপদ আইটি পরিবেশ’ পরিচালনায় সাহায্য করে। র‍্যানস্যামওয়্যার, সাইবার অ্যাটাক থেকে বাঁচানোই এদের কাজ। পাশাপাশি কোম্পানির ডেটা যাতে চুরি না হয় সেটাও দেখে এরা। সাইবার থ্রেট থেকে রিয়েল টাইম সুরক্ষা প্রদানের জন্য ফ্যালকন সেন্সর আপডেট করেছিল তারা।

ক্রাউডস্ট্রাইক আশ্বস্ত করে বলে, “এটা কোনও নিরাপত্তা হুমকি বা সাইবার অ্যাটাক নয়। উইন্ডোজ হোস্টে সিঙ্গল কনটেন্ট আপডেটের ত্রুটি।“ সিস্টেম ব্যাক আপ এবং চালু হতে “কিছু সময় লাগতে পারে” বলেও জানানো হয়। সোজা কথায়, ফ্যালকন সেন্সর আপডেট করতে গিয়েই গোলযোগ বাঁধে। যা ঠিক করতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে।

Smart Phone Security: মোবাইলের স্পিড হঠাৎ স্লো? সাবধান! ৫টি লক্ষণ নজর করুন, ফোন হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচুন

প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দৌরাত্ম্য বাড়ছে সাইবার ক্রাইমের। দৌরাত্ম্য বাড়ছে ডার্ক ওয়েবের। সেজন্য ল্যাপটপ, স্মার্টফোনের মত গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসের সুরক্ষা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।
প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দৌরাত্ম্য বাড়ছে সাইবার ক্রাইমের। দৌরাত্ম্য বাড়ছে ডার্ক ওয়েবের। সেজন্য ল্যাপটপ, স্মার্টফোনের মত গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসের সুরক্ষা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।
অনেক সময় হ্যাকারদের হাত থেকে সুরক্ষায় অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করলেও সুরক্ষিত থাকেনা। অনেকেই কম্পিউটার হ্যাক হয়েছে কিন্তু বুঝতে পারেন না। তবে কয়েকটি লক্ষণ দেখলে সচেতন হন।
অনেক সময় হ্যাকারদের হাত থেকে সুরক্ষায় অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করলেও সুরক্ষিত থাকেনা। অনেকেই কম্পিউটার হ্যাক হয়েছে কিন্তু বুঝতে পারেন না। তবে কয়েকটি লক্ষণ দেখলে সচেতন হন।
কম্পিউটার কিংবা ল্যপটপ চালানোর সময় যদি দেখেন ইন্টারনেট খুব বেশি খরচ করছে, তাহলে সাবধান। সিস্টেমে কিছু ম্যালওয়্যার থাকতে পারে। যা ডেটা সংগ্রহ করে সংগৃহীত ডেটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে লিঙ্ক সার্ভারে পাঠায়।
কম্পিউটার কিংবা ল্যপটপ চালানোর সময় যদি দেখেন ইন্টারনেট খুব বেশি খরচ করছে, তাহলে সাবধান। সিস্টেমে কিছু ম্যালওয়্যার থাকতে পারে। যা ডেটা সংগ্রহ করে সংগৃহীত ডেটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে লিঙ্ক সার্ভারে পাঠায়।
ব্যবহার করা ছাড়াই যদি কম্পিউটারে ওয়েবক্যামের লাইট জ্বলে থাকতে দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে অন্য কেউ কম্পিউটার অ্যাকসেস নিয়েছে।
ব্যবহার করা ছাড়াই যদি কম্পিউটারে ওয়েবক্যামের লাইট জ্বলে থাকতে দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে অন্য কেউ কম্পিউটার অ্যাকসেস নিয়েছে।
হঠাৎ কম্পিউটার যদি দেখেন স্বাভাবিকের থেকে ধীরে গতিতে চলছে এটি হ্যাক হওয়ার অন্যতম একটি লক্ষণ। যদি কম্পিউটারে অ্যাপ খুলতে বা ওয়েব পেজ লোডিং দীর্ঘ সময় লাগে, সেক্ষেত্রে আশঙ্কা রয়েছে কম্পিউটার সিস্টেম ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছে।
হঠাৎ কম্পিউটার যদি দেখেন স্বাভাবিকের থেকে ধীরে গতিতে চলছে এটি হ্যাক হওয়ার অন্যতম একটি লক্ষণ। যদি কম্পিউটারে অ্যাপ খুলতে বা ওয়েব পেজ লোডিং দীর্ঘ সময় লাগে, সেক্ষেত্রে আশঙ্কা রয়েছে কম্পিউটার সিস্টেম ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছে।
হ্যাকাররা অনেক সময় নিজেদের শনাক্তকরণ এড়াতে অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করেও দিয়ে থাকে। যদি সিস্টেমে অ্যান্টিভাইরাস হঠাৎই বন্ধ রয়েছে এমন দেখা যায় তাহলে কম্পিউটার হ্যাক হবার আশঙ্কা রয়েছে বুঝতে হবে।
হ্যাকাররা অনেক সময় নিজেদের শনাক্তকরণ এড়াতে অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করেও দিয়ে থাকে। যদি সিস্টেমে অ্যান্টিভাইরাস হঠাৎই বন্ধ রয়েছে এমন দেখা যায় তাহলে কম্পিউটার হ্যাক হবার আশঙ্কা রয়েছে বুঝতে হবে।

Cyber Crime: সারা বছরে ভারতে কত টাকার সাইবার প্রতারণা হয়? জানলে পায়ের তলার মাটি সরে যাবে

কলকাতাঃ ভারতের বিভিন্ন সাইবার থানা থেকে আরম্ভ করে স্থানীয় থানায়, প্রতিদিন সাইবার অপরাধের অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়ছে। কখনও কী ভেবে দেখেছেন সারা ভারতবর্ষে বছরে কত টাকার প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়ে? সেই সংখ্যা যদি শোনেন তাহলে চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যাবে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতবর্ষে বড় শহর থেকে ছোট শহরগুলিতে সাইবার প্রতারণার শিকার বেশি। সাইবার শিকার করতে গেলে যে তথ্য দরকার। সেই তথ্য পাওয়া যায় কোথা থেকে?  ২০২২সালে সাইবার প্রতারণার আর্থিক অংক ছিল ১০০০০ কোটি টাকার এদিক ওদিক। ২০২৩এ সেই আর্থিক প্রতারণার অঙ্ক এসে দাঁড়ায় ৭০,০০০কোটি টাকার কম বেশি। সেই প্রতারণার টাকার ১০%বেশি উদ্ধার হয়নি এখনও পর্যন্ত।

আরও পড়ুনঃ গরমে ভুলেও ছোঁবেন না এই ৫ খাবার! নিমেষে হতে পারে চরম বিপদ! হৃদরোগ, এমনকী মৃত্যুও…জানুন বিশেষজ্ঞের মত

সাইবার দফতরের বক্তব্য অনুযায়ী, অভিযোগ পাওয়া গেলেও যখনই তদন্ত নেমেছে সাইবার পুলিশ। প্রথমত তারা দেখেছে সেই প্রতারকদের IP Address বিদেশি। যেমন দুবাই, বাংলাদেশ, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশের। রাজ্যের সাইবার আধিকারিকদের দাবি, পাকিস্তান কিংবা ওই জাতীয় যে সমস্ত দেশ রয়েছে, সেখানে ওই IP সংক্রান্ত কোনও চিঠি লিখলে তার উত্তর পাওয়া যায় না। যার ফলে ওই প্রতারকদের নাগাল পাওয়া যায় না।   সাইবার ক্রাইম আধিকারিক সূত্রে খবর, প্রতিবছর ১৫-২০% হারে সাইবার অপরাধ বাড়ছে। সারা দেশের মধ্যে বছরে পশ্চিম বঙ্গে বছরে ৮০,০০০ এর বেশি সাইবার অপরাধের অভিযোগ জমা পড়ছে। যে অভিযোগ কলকাতা, শিলিগুড়ি, বর্ধমান, বাঁকুড়া এই ধরনের রাজ্যের ছোট বড় শহরগুলির থেকে হচ্ছে। এছাড়াও সারা বাংলার অভিযোগ রয়েছে। তবে সাইবার অপরাধীরা গ্রাম বাংলাকে অপেক্ষাকৃত কম টার্গেট করছে।

তবে এখন প্রশ্ন সমস্ত নথি কী করে পাচ্ছে অপরাধীরা? এক্ষেত্রে এক সাইবার দফতরের আধিকারিকের বক্তব্য, এই সমস্ত তথ্য পাচারের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলির ভূমিকা সব থেকে বেশি। কারণ ব্যাঙ্কগুলি বিভিন্ন এজেন্ট মারফত লোন দেবার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের গোপন নথি জোগাড় করে। যেগুলি সাইবার প্রতারকদের হাতে চলে যায়। ফলে সাইবার প্রতারকদের ফোন ৮০% বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে ওদের শিকারদের কাছে।   তবে এ পর্যন্ত যে সমস্ত সাইবার অপরাধী ধরা পড়েছে, তাদের শাস্তি হয়েছে।