পুজো হবে আড়ম্বরহীন জানালেন উদ্যোক্তারা

Durga Puja 2024: উৎসবে ফেরা নয়, বরং আড়ম্বরহীন পুজোর মাধ্যমেই প্রতিবাদ এই পুজো কমিটির

নদিয়া: উৎসবে ফেরা নয় বরং সহযোগিতার সরকারি অর্থ মূল্য ফিরিয়ে দিয়ে আড়ম্বরহীন দুর্গাপুজোর সিদ্ধান্ত ৭৩ বছরের প্রাচীন নদিয়ার অন্যতম সেরা আকর্ষণ রানাঘাটের চারের পল্লীর। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দেখা গেছে অনেকেই ফিরিয়েছেন পুজোয় দেওয়া সরকারি অনুদান। তারা জানিয়েছেন প্রতি বছর উৎসবে মাতি, তবে এবছর নয়। ঘরের মেয়ে অভয়া বিচার পাক তার ঘরের প্রদীপ নিভেছে, এ সময় আনন্দের বহিঃপ্রকাশ নয়। যদিও এ সংখ্যা নিয়ে এবং অনুদান ফেরানোর ফর্ম নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে যায়। তবে নদিয়ার রানাঘাটে বহু প্রাচীন এবং সুপরিচিত ৭৩ বছরে পদার্পণ করা স্ট্যান্ড রোডের চারের পল্লী স্পোর্টস এন্ড কালচারাল এসোসিয়েশন রীতি মতন মহুকুমা শাসকের কাছে গিয়ে আবেদনের ভিত্তিতে অনুদান ফিরিয়ে দিয়ে সেই প্রতিলিপি ফ্লেক্স এবং ব্যানারে লাগিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রতিবাদের।

আরও পড়ুনঃ কুলতলিতে বাঘের আতঙ্ক, জাল দিয়ে ঘেরা হয়েছে গোটা গ্রাম

উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, চূর্ণী নদীর ধারে এই পুজো হয়ে আসছে ১৯৫২ সাল থেকে জেলার অন্যতম আকর্ষণ থাকে প্রতি বছরে। এ বছরেও চারদিন ব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড ব্যয়বহুল মণ্ডপসজ্জা এবং প্রতিমা নির্মাণ থেকে তারা বিরত থাকছেন। এলাকাবাসী স্বইচ্ছায় যে সহযোগিতা তুলে দেবেন তাতেই কোনরকমে পুজো সারবেন তারা। একজন মহিলা ডাক্তার যিনি সারা জীবন মানুষের প্রাণ বাঁচানোর শপথ নিয়ে নিজের জীবনকে উপেক্ষা করে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন রোগ ব্যাধির সঙ্গে নিয়মিত লড়াই করে আজকের তার নিরাপত্তা কোথায়? সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা তো অনেক দূর! শুধু তাই নয় দিকে দিকে এ বিষয়ে একজন মানুষ হিসাবে সাধারণ প্রতিবাদ করতে গিয়েও কখনও কখনও তাদের পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন রোষানলে। এসব ঘটনা থেকে সামগ্রিকভাবে বীতশ্রদ্ধ রানাঘাট চারের পল্লীর নাগরিকরা।

তাদের দাবি, পুজো আসবে পুজো যাবে কিন্তু নিভৃতে থেকে যাবে বিচার। তাই তাদের প্রতিবাদ চলতেই থাকবে এবার পূজোতেও। নিয়ম-নিষ্ঠা ঘরে দেবী দুর্গার আরাধনা হলেও আরম্ভরতা কিছুই থাকছেনা। তবে অভয়ার প্রতি অনাচারের প্রতিবাদ চলবে নানাভাবে। একমাস অতিক্রান্ত কিন্তু এখনও মেলেনি বিচার ! দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে তবেই স্বস্তি পাবে রাজ্যবাসী তখনই হবে আনন্দ উৎসব। এবারে শুধুই প্রতিবাদ এবং বিষাদ কারণ অভয়ার ঘরে নিভেছে প্রদীপ তাই ঝাড়বাতি কিংবা আলোর রোশনাই এবারে থাক বন্ধ।প্রসঙ্গত এই পুজো কমিটি ২০১৬ সালে প্রথম সরকারি অনুদান পায়। তবে এবারের এই মানবিক সিদ্ধান্তে যদি আগামীতে সরকারি তরফে তাদেরকে বঞ্চিত করা হয় তাহলেও তাদের কোনও আক্ষেপ নেই বলেই জানান তারা।

মৈনাক দেবনাথ