পশ্চিম মেদিনীপুর: বেশ কয়েকদিন অতিক্রান্ত, বন্যা পরিস্থিতি ঢিমে তালে উন্নতি হচ্ছে। ডিভিসি থেকে জল ছাড়া এবং একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে বানভাসি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কাটলেও এখনও স্বাভাবিক নয় সাধারণ জনজীবন। ঘাটাল পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ড এখনও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। এছাড়াও পঞ্চায়েত এলাকার একাধিক জায়গা জলের তলায়। এখনও বেশ কিছু জায়গায় রাস্তার উপর দিয়ে চলছে নৌকো। স্বাভাবিকভাবে পুজোর আগে ব্যাহত সাধারণ জনজীবন। তবে এর মধ্যে বাড়তি আশঙ্কা সাপের উপদ্রব। স্বাভাবিকভাবে ভয়ের পরিবেশে দিন কাটছে সাধারণ মানুষের।
টানা বেশ কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এবং বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ঘাটালে। আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলেও এখনও দুর্যোগ কাটেনি। এলাকা এখনও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে।। চলাচলের রাস্তায় মানুষের ভরসা নৌকা। একদিকে যখন চরম উদ্বেগে দিন কাটছে তখনই তাদের মাথার উপর নতুন করে আতঙ্ক সাপের। ইতিমধ্যে একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে বিষাক্ত সাপ। বিভিন্ন এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। স্বাভাবিকভাবে এমন পরিস্থিতিতে রাত এবং দিন কাটছে উৎকণ্ঠায়।
আরও পড়ুন: জিতাষ্টমীতে মেতে উঠবে গোটা মানভুম, চলছে টুকি ও ডালা তৈরির প্রস্তুতি
প্রসঙ্গত টানা বৃষ্টিতে, জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে ঘাটালের বিভিন্ন জায়গা। ঘাটাল থানার সামনে প্রায় গলা সমান জল। প্রতিদিন প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করছেন প্রশাসনের একাধিক আধিকারিকেরা। নিয়মিত মনিটারিং করছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসকও। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বন্যার্ত মানুষদের কাছে ত্রান পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে সোমবার থেকে জেলা জুড়ে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছে। একদিকে এখনও জল নামেনি অন্যদিকে ফের আবহাওয়া প্রতিকূল হলে বাঁচা দায় হয়ে উঠবে ঘাটালের মানুষজনের। ইতিমধ্যে এলাকায় স্বাস্থ্য ক্যাম্প বসানো হয়েছে। নৌকায় করে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। স্বাভাবিকভাবে শুধু জেলা নয় জেলা ছাড়িয়ে রাজ্যজুড়ে চর্চায় ঘাটালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি।
রঞ্জন চন্দ