হাটের বেহাল দশা

Bad Condition of Market: নোংরা আবর্জনা ও জল-কাদায় অস্তিত্ব সঙ্কটে রাজ আমলের দেওয়ানহাট

কোচবিহার: একটা সময় রাজ আমলে জেলার বেশকিছু এলাকায় বড় হাট বসত। আজও সেই এলাকাগুলিতে হাট বসে সপ্তাহের দু’দিন। ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসার পসরা সাজিয়ে বসেন হাটের দিনগুলিতে। জেলা শহর কোচবিহারের এমনই একটি প্রাচীন হাটের নাম দেওয়ান হাট। রাজ আমলের প্রাচীন হাট হলেও দীর্ঘ সময় ধরে এই হাটের অবস্থা একেবারেই জরাজীর্ণ। তবে একটা সময় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের আর্থিক সহায়তায় হাটের সংস্কারের কাজ হয়েছিল কিছুটা। তারপর পেরিয়ে গিয়েছে কয়েক বছর। উন্নয়ন তহবিলের টাকায় কিছু কাজ হয়েছে। তবে কাজের কাজ এগোয়নি কিছুই।

দীর্ঘ সময় ধরে এই হাটের ব্যবসায়ী আকবর জামাল জানান, হাটের এই সমস্যা বর্তমানে তীব্র আকার ধারণ করেছে। বহুবার ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। তবে এখনও কোন‌ও লাভ হয়নি। আগামীতে হাটকে বাঁচিয়ে রাখতে দ্রুত সংস্কার করতে হবে। নাহলে বেশিদিন বাঁচিয়ে রাখা যাবে না এই হাটকে। বর্তমান নোংরা আবর্জনায় হাটের বেহাল দশা। এছাড়া সামান্য বৃষ্টিতেই জল কাদা জমে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে হাটে আসা ক্রেতাদের। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি একেবারেই সুখকর নয়।

আর‌ও পড়ুন: তৈরি হচ্ছে মাস্টার প্ল্যান, মালদহ শহরে জমা জলের সমস্যা দূর হবে এবার

স্থানীয় বাসিন্দা শিবু চক্রবর্তী জানান, নানা সমস্যার কারণে হাটে ক্রেতার সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। দ্রুত সমস্যা সমাধান না করলে আগামী দিনে ক্রেতারা হয়ত আর হাটে আসতে চাইবেন না। তবে সপ্তাহে দু’দিন, রবিবার ও বুধবার এখানে হাট বসে। বেশ ভাল টাকার ব্যবসা হয়ে থাকে এই হাটে। তাই দ্রুত সরকারি উদ্যোগে দেওয়ান হাটের সংস্কার প্রয়োজন।

এই প্রাচীন বাজারের এমন বেহাল দশা প্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম। তিনি জানান, এই হাটের সংস্কারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ধীরে ধীরে হাটের আরও উন্নয়ন করা হবে। তবে দ্রুত উন্নয়ন না হলে এই হাটকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না বলে সকলের আশঙ্কা।

সার্থক পণ্ডিত