স্থানীয় মহিলা 

Drinking Water Crisis: চার বছর ধরে পানীয় জল পায় না এখানকার মানুষ!

পূর্ব বর্ধমান: এই তীব্র গরমে আবারও জলকষ্টের ছবি ধরা পড়ল পূর্ব বর্ধমান জেলায়। তাপমাত্রা ক্রমশ‌ই ঊর্ধ্বমুখী। এহেন অবস্থায় বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তারাও ঘন ঘন জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু পূর্বস্থলীর এক এলাকায় গত চার বছর ধরে পানীয় জল পাচ্ছেন না স্থানীয়রা।

পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী-২ ব্লকের মাজিদা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দাদের অবস্থা এখন নাজেহাল। রীতিমত হাসফাঁস অবস্থা গ্রামবাসীদের। এখন শুধুমাত্র জল চাইছেন স্থানীয়রা। এই প্রসঙ্গে চঞ্চল সিংহ রায় নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমাদের একটাই সমস্যা, সেটা হল জল। চার বছর ধরে আমরা জল পাচ্ছি না। একাধিক জায়গায় জানিয়েও এই সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। জলের সমস্যার সমাধান না হলে পরবর্তীকালে আমাদের বৃহত্তম আন্দোলন করতে হবে।

আর‌ও পড়ুন: ভাণ্ডার নিয়ে পা মেলালেন মা লক্ষ্মী! সে কী উৎসাহ

তীব্র গরমের মধ্যেও জলের জন্য নাজেহাল হচ্ছেন স্থানীয়রা। নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন? কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি এটাই। ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই টাইমকলের পয়েন্ট রয়েছে। কিন্তু কল থাকলেও জল নেই। স্থানীয়দের কথায়, কল বসানোর পর থেকে মাত্র ৩ থেকে ৪ দিন জল পাওয়া গিয়েছিল। তারপর থেকে আর জল পড়ে না।

পানীয় জল না থাকার কারণে বর্তমানে স্থানীয়দের পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে জল কিনে পান করতে হচ্ছে। আর যাদের জল কেনার সামর্থ্য নেই তাঁরা আর্সেনিকযুক্ত টিউবয়েলের জল পান করেই দিন কাটাচ্ছেন। এমনকি স্থানীয় এলাকার শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্য রাধারমন ঘোষের বাড়িতেও পৌঁছায় না জল। তিনিও তা স্বীকার করে নিয়েছেন। যদিও এই প্রসঙ্গে মাজিদা পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, চার বছর ধরে জল পড়ছে না সে বিষয়ে তাঁর জানা নেই। তিনি বলেন, একটি এলাকায় ইলেকট্রিক পোল বসাতে গিয়ে পাইপ ফেটে যাওয়ার কারণে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তা সমাধান করা হবে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী