নিম কাঠের মা মৃন্ময়ী 

Durga Puja 2024: থিমের রমরমায় আজও সকলের নজর কাড়ে বাঁকুড়ার এই দুর্গা! কারণ শুনে আপনিও চমকে যাবেন

বাঁকুড়া: ১৫০ বছর আগেকার পুজো। একই গ্রামে রয়েছে দুটি ঐতিহ্যবাহী পুজো। বাঁকুড়া জেলার ওন্দা ব্লকের দামোদরবাটি গ্রামে একটি পুজো ৪০০ বছর প্রাচীন এবং ওই একই গ্রামে রয়েছে ১৫০ বছরের পুরানো আরও একটি পুজো। দুই পুজোর ইতিহাস ভিন্ন। ইতিহাস ভিন্ন হলেও মূর্তির আদলটা একই। বিষ্ণুপুরের বৈষ্ণব ঘরানার মামৃন্ময়ী মূর্তি। যে মূর্তিতে স্থান পেয়েছেন দুর্গার গোটা পরিবার।

পরিবারের প্রায় ১৬ সদস্যের মধ্যে বিরাজ করছেন নিম কাঠের মৃন্ময়ী। বাঁকুড়ার দামোদরবাটি গ্রামের চৌধুরী বাড়ির প্রতিমায় দুর্গা ঠাকুর ছাড়াও রয়েছে লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, মহাদেব, কার্তিক, মহাদেব, বিষ্ণু, ব্রহ্মা এবং জয়া, বিজয়া ও ব্রহ্মানি, ইন্দ্রানী।

আরও পড়ুনঃ ডুয়ার্স গেলে মিস করবেন না এই জায়গা! পৌঁছে গেলে শুধু শান্তি আর শান্তি, জানুন বেড়ানোর খুঁটিনাটি

১৫০ বছর আগে চৌধুরী বাড়ির পূর্বপুরুষেরা খুঁজে পান একটি নিম কাঠ। সেই কাঠ দিয়ে তৈরি হয় মা দুর্গার মূর্তি। তখন থেকেই বনেদি এই পুজো চলে আসছে। আধুনিক থিম পুজো নয়! আরম্বরহীন পরিবারের বন্ধনে বাঁধা সাবেকিয়ানায় মোড়া দুর্গাপুজো। বৈষ্ণব ধারাতে পুজো করা হয় এই বাড়িতে। আগে মহালয়ার দিন থেকে শুরু হত দুর্গাপুজো। তবে সেটা এখন আর লোক বলের অভাবে সম্ভব হচ্ছে না।

বর্তমানে প্রতিদিন হয় নিত্যসেবা। ২০২৪ সালের দুর্গাপুজো শুরু হবে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত। এই পুজোয় হয় না কোনও বলিদান। আগে মহা নবমীতে কুমারী পুজোর প্রচলন ছিল, যা ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।দেড়’শ বছরের ইতিহাস, ঘরোয়া বনেদি পুজো সঙ্গে গ্রামের সুন্দর প্রকৃতি। যেন রূপকথার চারদিন। বাঁকুড়া জেলায় এই ধরনের বনেদি পুজো রয়েছে প্রচুর। দামোদর বাটি গ্রামের দেড়’শ বছরের পুরনো চৌধুরী বাড়ির পুজো তাদের অন্যতম। বাঁকুড়া এসে বিষ্ণুপুর যাওয়ার পথে একবার ঘুরে দেখতেই পারেন।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী